কলকাতা, 20 নভেম্বর : ডেঙ্গি সহ মশা বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এবার 100 দিনের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের সামিল করার নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পৌরনিগম । নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মশা বাহিত সব রকম রোগ দমন করতে হবে । এর জন্য 100 দিনের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হবে । পৌরনিগমের চারটি দপ্তরে ওই কর্মীদের ভাগ করে দেওয়া হবে । কঠিন বর্জ্য পদার্থ দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর, পরিবেশ ও হেরিটেজ দপ্তর, ও সিভিল অর্থাৎ নাগরিক দপ্তরে ওই কর্মীরা কাজ করবে ।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে কর্মীরা সঠিকভাবে সাফাইয়ের কাজ করছে কি না সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে । বিশেষ করে পুকুর, জলাশয়, জলাভূমি, রাস্তাঘাট জঞ্জালমুক্ত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সেইসঙ্গে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা একটি সাপ্তাহিক রিপোর্ট তৈরি করবেন ৷ জমা দেবেন পৌরনিগমের সদর দপ্তরে । সেই রিপোর্ট রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে পাঠাবে পৌরনিগম ৷ সাপ্তাহিক রিপোর্ট কলকাতা পৌরনিগমের কমিশনারের কাছে প্রত্যেক সোমবার জমা দিতে হবে । এবং এই নির্দেশিকা অনুযায়ী 15 ডিসেম্বর 2019 অবধি এ ভাবেই যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে ডেঙ্গি সহ অন্যান্য মশা বাহিত রোগ নিধনের কাজ চালিয়ে যেতে হবে ।
সেইসঙ্গে আরও একটি নির্দেশিকা জারি করেছে পৌরনিগম ৷ এতে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি পুকুর ও জলাশয় এবং জলের ট্যাঙ্ক যেগুলি পৌরনিগমের অন্তর্গত তার চারপাশে রাস্তা তৈরি করা হবে । যাতে ওই পুকুর বা জলাশয় গুলির পাশে মানুষ হাঁটতে পারে । পুকুরের চারধার বাঁধিয়ে দিতে হবে যাতে সকালে এবং বিকেলে সাধারণ মানুষ এই জলাভূমির চারপাশে হাঁটতে বা বসতে পারে । পৌরনিগমের পরিবেশ ও হেরিটেজ দপ্তর এই কাজে নজরদারি করবে । এবং কঠিন বর্জ্য পদার্থ দপ্তর ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন বসাবে । যাতে জলাভূমি গুলিতে কোনও ভবেই ময়লা না ফেলে সাধারণ মানুষ । পরিবেশ দূষণ রুখতে ও মশা বাহিত রোগ রুখতেই পৌরনিগমের এই পদক্ষেপ ৷