ETV Bharat / city

সিডি মামলায় কালীঘাট থানায় মুকুলকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের - ষড়যন্ত্রমূলক সিডি সংক্রান্ত মামলা

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গোপন তথ্য রয়েছে, এমন একটি সিডি দেড় কোটি টাকার বদলে দেওয়া হবে বলে সুজিত শ্যাম নামে এক ব্যক্তিকে ফোন করেন এক অজানা ব্যক্তি ৷ ফোনে মুকল রায়ের নাম উল্লেখ করায় সুজিত শ্যাম কালীঘাট থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ জানান ৷

highcourt
হাইকোর্ট
author img

By

Published : Jan 28, 2020, 1:19 AM IST

কলকাতা, 27 জানুয়ারি : রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সিডি সংক্রান্ত মামলায় আগামী 10 ফেব্রুয়ারি কালীঘাট থানায় মুকুল রায়কে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট ৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গোপন তথ্য রয়েছে, এমন একটি সিডি দেড় কোটি টাকার বদলে দেওয়া হবে বলে সুজিত শ্যাম নামে এক ব্যক্তিকে ফোন করেন এক অজানা ব্যক্তি ৷ ফোনে মুকল রায়ের নাম উল্লেখ করা হলে সুজিতের সন্দেহ হয় ৷ তিনি কালীঘাট থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ জানান ৷

মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, "18-02-2019 তারিখে কালীঘাট থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয় । সুজিত শ্যাম নামে ওই ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁর অভিযোগ, এক ভদ্রলোক ফোন করে তাঁকে বলেছে, দেড় কোটি টাকা দিলে তাঁকে একটি সিডি দিতে পারেন ৷ যে সিডিতে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা তৃণমূল সরকারকে বিপদে ফেলবে। তৃণমূল সরকারকে রাজ্য থেকে অপসারিত করা যাবে। ওই ব্যক্তি বলেন, এই সিডিটির বিষয়ে তিনি আগে BJP নেতা মুকুল রায়কে জানিয়েছিলেন । মুকুলবাবু বলেছিলেন দুই কোটি টাকা দিয়ে সিডিটা কিনে নেবেন ৷ কিন্তু পরে মুকুলবাবু আর উৎসাহ দেখাননি । এই ঘটনার পর সুজিত শ্যাম সন্দেহ করছেন যে মুকুল রায়ের কোনও সহকারীই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন । এসবই মুকুলবাবুর পরিকল্পনামাফিক করা হচ্ছে । মুকুল রায়ই ষড়যন্ত্রের মাথা । এই মর্মে তিনি কালীঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুকুল রায়কে কালীঘাট থানায় ডাকা হয়েছিল । চলতি বছরের 18 জানুয়ারি তিনি কালীঘাট থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন । দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । ফের 28 জানুয়ারি মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল কালীঘাট থানা। আমরা সেইজন্যই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি । মিথ্যা মামলায় তাঁকে বারবার হেনস্থা করার জন্যই পরিকল্পনা করে এইসব করা হচ্ছে । আজ হাইকোর্টকে সে কথা জানানো হয়েছে । হাইকোর্ট আগামী 10 ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটার সময় কালীঘাট থানায় গিয়ে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুকুল রায়কে । 12 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে৷"

মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্তের বক্তব্য

আজ হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে মুকুল রায়ের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, "অকারণে শুধুমাত্র হেনস্থা করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে । পুনরায় যেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে থানায় না ডাকা হয় ৷" অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, "এই মামলার তদন্তকারী অফিসার মনে করেন এই ঘটনার এখনও তদন্ত প্রয়োজন । 18 জানুয়ারি মুকুলবাবু কালীঘাট থানায় হাজিরা দিলেও তিনি কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি । সেই জন্যই তাঁকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য 28 জানুয়ারি কালীঘাট থানায় ডাকা হয়েছে । ইতিমধ্যে তাঁকে মেইল করে এবং বাই পোস্টে চিঠিও পাঠানো হয়েছে ৷"


মুকুল রায়ের তরফে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "দিল্লিতে 8 ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন । মুকুল রায় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত । ফলে এখন কোনওভাবেই পুলিশের সঙ্গে দেখা করার সময় নেই তাঁর । শুধু শুধু তাঁকে কেন হেনস্থা করবে পুলিশ?" বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যর সওয়ালের জবাবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, "আমাকে বিষয়টি সম্পর্কে এই মামলার তদন্তকারী অফিসারের থেকে জানতে হবে । সেই জন্য আমি মুকুল রায়কে নির্দেশ দিচ্ছি আগামী 10 ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটার সময় তিনি যেন তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন । সেই অনুযায়ী তদন্তকারী অফিসার রিপোর্ট দেবে হাইকোর্টকে । আগামী 12 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।"

আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, FIR-এ একটি জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে এর আগে ইউটিউবে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের ফাঁস হওয়া একটি কথোপকথনের উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেই চ্যানেলের মালিককে গুগলের মাধ্যমে একটি নোটিশ দিয়েছিলেন কিন্তু এখনও অবধি কোনও জবাব আসেনি৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরকেও পাঠানো নোটিশের কোনও জবাব আসেনি৷ তাই হাইকোর্ট কালীঘাট থানার OC-কে নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীকে একটি নোটিশ দিতে, যেখানে মামলার পরবর্তী শুনানির দিনে মুকুল রায়ের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা থাকবে৷"

কলকাতা, 27 জানুয়ারি : রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সিডি সংক্রান্ত মামলায় আগামী 10 ফেব্রুয়ারি কালীঘাট থানায় মুকুল রায়কে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট ৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গোপন তথ্য রয়েছে, এমন একটি সিডি দেড় কোটি টাকার বদলে দেওয়া হবে বলে সুজিত শ্যাম নামে এক ব্যক্তিকে ফোন করেন এক অজানা ব্যক্তি ৷ ফোনে মুকল রায়ের নাম উল্লেখ করা হলে সুজিতের সন্দেহ হয় ৷ তিনি কালীঘাট থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ জানান ৷

মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, "18-02-2019 তারিখে কালীঘাট থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয় । সুজিত শ্যাম নামে ওই ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁর অভিযোগ, এক ভদ্রলোক ফোন করে তাঁকে বলেছে, দেড় কোটি টাকা দিলে তাঁকে একটি সিডি দিতে পারেন ৷ যে সিডিতে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা তৃণমূল সরকারকে বিপদে ফেলবে। তৃণমূল সরকারকে রাজ্য থেকে অপসারিত করা যাবে। ওই ব্যক্তি বলেন, এই সিডিটির বিষয়ে তিনি আগে BJP নেতা মুকুল রায়কে জানিয়েছিলেন । মুকুলবাবু বলেছিলেন দুই কোটি টাকা দিয়ে সিডিটা কিনে নেবেন ৷ কিন্তু পরে মুকুলবাবু আর উৎসাহ দেখাননি । এই ঘটনার পর সুজিত শ্যাম সন্দেহ করছেন যে মুকুল রায়ের কোনও সহকারীই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন । এসবই মুকুলবাবুর পরিকল্পনামাফিক করা হচ্ছে । মুকুল রায়ই ষড়যন্ত্রের মাথা । এই মর্মে তিনি কালীঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুকুল রায়কে কালীঘাট থানায় ডাকা হয়েছিল । চলতি বছরের 18 জানুয়ারি তিনি কালীঘাট থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন । দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । ফের 28 জানুয়ারি মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল কালীঘাট থানা। আমরা সেইজন্যই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি । মিথ্যা মামলায় তাঁকে বারবার হেনস্থা করার জন্যই পরিকল্পনা করে এইসব করা হচ্ছে । আজ হাইকোর্টকে সে কথা জানানো হয়েছে । হাইকোর্ট আগামী 10 ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটার সময় কালীঘাট থানায় গিয়ে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুকুল রায়কে । 12 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে৷"

মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্তের বক্তব্য

আজ হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে মুকুল রায়ের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, "অকারণে শুধুমাত্র হেনস্থা করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে । পুনরায় যেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে থানায় না ডাকা হয় ৷" অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, "এই মামলার তদন্তকারী অফিসার মনে করেন এই ঘটনার এখনও তদন্ত প্রয়োজন । 18 জানুয়ারি মুকুলবাবু কালীঘাট থানায় হাজিরা দিলেও তিনি কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি । সেই জন্যই তাঁকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য 28 জানুয়ারি কালীঘাট থানায় ডাকা হয়েছে । ইতিমধ্যে তাঁকে মেইল করে এবং বাই পোস্টে চিঠিও পাঠানো হয়েছে ৷"


মুকুল রায়ের তরফে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "দিল্লিতে 8 ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন । মুকুল রায় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত । ফলে এখন কোনওভাবেই পুলিশের সঙ্গে দেখা করার সময় নেই তাঁর । শুধু শুধু তাঁকে কেন হেনস্থা করবে পুলিশ?" বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যর সওয়ালের জবাবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, "আমাকে বিষয়টি সম্পর্কে এই মামলার তদন্তকারী অফিসারের থেকে জানতে হবে । সেই জন্য আমি মুকুল রায়কে নির্দেশ দিচ্ছি আগামী 10 ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটার সময় তিনি যেন তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন । সেই অনুযায়ী তদন্তকারী অফিসার রিপোর্ট দেবে হাইকোর্টকে । আগামী 12 ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।"

আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, FIR-এ একটি জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে এর আগে ইউটিউবে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের ফাঁস হওয়া একটি কথোপকথনের উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেই চ্যানেলের মালিককে গুগলের মাধ্যমে একটি নোটিশ দিয়েছিলেন কিন্তু এখনও অবধি কোনও জবাব আসেনি৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরকেও পাঠানো নোটিশের কোনও জবাব আসেনি৷ তাই হাইকোর্ট কালীঘাট থানার OC-কে নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীকে একটি নোটিশ দিতে, যেখানে মামলার পরবর্তী শুনানির দিনে মুকুল রায়ের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা থাকবে৷"

Intro:রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সংক্রান্ত মামলায় আগামী 10 ফেব্রুয়ারি ফেরিঘাট থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ মুকুল রায় কে

কলকাতা 27 জানুয়ারি:
রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সিডি সংক্রান্ত মামলায় আগামী 10 ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটায় কালী ঘাট থানায় মুকুল রায় কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই নির্দেশ দিলেন।


Body:মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত থেকে জানা গেল, কালীঘাট থানায় 18-02-2019 একটা অভিযোগ দায়ের হয়। সুজিত শ্যাম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করে জানান একজন ভদ্রলোক ফোন করে তাকে বলছে যে দেড় কোটি টাকা দিলে তাকে একটা সিডি তিনি দিতে পারেন। যে সিডিতে এমন কিছু আছে যেটা তৃণমূল সরকারকে বিপদে ফেলবে। তৃণমূল সরকার রাজ্য থেকে অপসারিত হবে। এই সিডিটা তিনি বিজেপি নেতা মুকুল রায় কে জানিয়েছিলেন। মুকুলবাবু বলেছিলেন দুই কোটি টাকা দিয়ে সিডিটা কিনে নেবেন। কিন্তু পরে আর মুকুলবাবু উৎসাহ দেখাননি। সুজিত শ্যাম সন্দেহ করছেন যে মুকুল রায়ের ক্লায়েন্ট ওনার সাথে যোগাযোগ করছেন। এসবই মুকুলবাবুর পরিকল্পনামাফিক হচ্ছে। মুকুল রায়ের ই ষড়যন্ত্র। এই মর্মে তিনি কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কালীঘাট থানায় ডাকা হয়েছিল। গত 18 জানুয়ারি তিনি কালীঘাট থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফের 28 জানুয়ারি মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল কালিঘাট থানা। আমরা সেই জন্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আসলে মিথ্যা মামলায় তাকে বারবার হেনস্থা করার জন্য এসব করা হচ্ছে। আজ হাইকোর্ট কে সে কথা জানিয়েছি। হাইকোর্ট আগামী 10 ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটার সময় কালীঘাট থানায় গিয়ে তদন্তকারী অফিসারের সাথে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুকুল রায় কে। আমি 12 ই ফেব্রুয়ারি আবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।"

আজ মামলার শুনানিতে মুকুল রায়ের হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি জানান," অকারণে শুধুমাত্র হেনস্থা করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে মক্কেলের বিরুদ্ধে। পুনরায় যেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় না ডাকা হয়।" অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান," এই মামলা তদন্তকারী অফিসার মনে করছেন এই ঘটনায় এখনও তদন্ত প্রয়োজন। গত 18 ই জানুয়ারি মুকুলবাবু কালীঘাট থানায় গিয়েছিলেন বটে কিন্তু তিনি কোন প্রশ্নের জবাব দেননি। সেই জন্য তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য 28 জানুয়ারি কালীঘাট থানায় আবার ডাকা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে মেইল করে এবং বাই পোস্টে চিঠি পাঠানো হয়েছে।" কিন্তু মুকুল রায় তরফে বিকাশ ভট্টাচার্য্য জানান," দিল্লিতে 8 ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন। মুকুল রায় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। ফলে এখন কোনোভাবেই পুলিশের সাথে দেখা করার সময় নেই তার। কেন শুধু শুধু তাকে হেনস্থা করবে পুলিশ?" তখন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন," বিষয়টা কি তা আমাকে এই মামলার তদন্তকারী অফিসারের থেকে জানতে হবে। সেই জন্য আমি মুকুল রায় কে নির্দেশ দিচ্ছি আগামী 10 ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটার সময় তিনি তদন্তকারী অফিসারের সাথে দেখা করে কথা বলবেন। সেই অনুযায়ী তদন্তকারী অফিসার রিপোর্ট দেবে হাইকোর্টকে। আগামী 12 ই ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি করা হবে।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.