কলকাতা, 8 জানুয়ারি: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে জনসচেতনতা মূলক প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । অন্যদিকে, মেলা নিয়ে এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তাতে সন্তুষ্ট আদালত । তবে, মেলার আগে আগামী কয়েকদিনে জনসচেতনতামূলক প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । আজই 13 জানুয়ারি তারিখে মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । ওইদিনই মেলা আদৌ হবে কি না সেই বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে কলকাতা হাইকোর্ট ।
শুক্রবার দুপুরে মামলার শুনানিতে বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে প্রশ্ন করে, কেন ই-স্নান বাধ্যতামূলক করছেন না এই বছরের জন্য ? বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্নান করতে গিয়ে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ালে আপনারা তা কীভাবে আটকাবেন ? প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা চাইছি জল স্পর্শ না করে যাতে স্নানের ব্যবস্থা করা যায় । সবকিছুই এখন অনলাইনে হচ্ছে তাহলে আমরা কেন ই-স্নানের ব্যবস্থা করতে পারব না ? এটাকে বাধ্যতামূলক করতে পারব না কেন ?
আরও পড়ুন: সংক্রমণ এড়াতে গঙ্গাসাগরে কী সুরক্ষাবিধি ? হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ই-স্নান পাশাপাশি একাধিক কিওস্ক রাখা হচ্ছে, যেখান থেকে পুণ্যার্থীরা জল সংগ্রহ করতে পারবেন । কিন্তু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ই-স্নানের পক্ষেই যুক্তি দেন । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলার শুনানিতে প্রথম থেকেই জানাচ্ছিল, মেলা বা স্নান পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে নয় আদালত । কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে লাখ লাখ পুণ্যার্থীর সুরক্ষার কী হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছে ডিভিশন বেঞ্চ । তবে এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার যে সুরক্ষা পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট ।
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, "জনসচেতনতামূলক প্রচার রাজ্য সরকারকে বাড়ানোর যেমন নির্দেশ দিয়েছে আদালত, পাশাপাশি যে সমস্ত পুণ্যার্থী ই-স্নান করবেন বা যাঁরা জলে নামবেন না, তাঁদেরকে যদি কোনরকম পুরস্কার বা ইনসেন্টিভ দেওয়া যায়, এমন ব্যবস্থাও করতে পারে রাজ্য সরকার ।"