কলকাতা, 21 অগস্ট: রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ ৷ বিশেষত উৎসবের মরশুমে এই প্রকোপ আরও বাড়তে পারে আশাঙ্কা প্রকাশ করে তিলোত্তমার নাগরিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্য়ের বিভিন্ন পৌরনিগমকে মশা বাহিত রোগের বিষয়েও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন ৷ তবে বর্তমানে শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় নাগরিকদেরই দোষারোপ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ তিনি জানালেন, রাজ্যের ডেঙ্গি প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা সঠিকভাবে নগরবাসী না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পৌরনিগম (KMC to take action against non cooperation over Dengue Prevention Workers) ৷ প্রয়োজনে পুলিশের দারস্থও হতে পারে পৌরনিগম ৷
ডেঙ্গি নজরদারিতে পৌরনিগমের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে ৷ যাঁরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে দেখবেন ডেঙ্গি প্রতিরোধ বিধি মানা হচ্ছে কি না ৷ বেশকিছু বন্ধ বাড়ির ভিতরে ঢুকতে পারছে না স্বাস্থ্য কর্মীরা। ফলে সেখানে জল জমে মশা জন্মাচ্ছে। তেমনি বহু বাড়ি আছে যেখানে মানুষজন স্বাস্থ্য কর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। অথচ বাড়িতে ছাদে কিংবা বাগানের জমা জলে মশার লার্ভা জন্মালেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা করছেন না । কিন্তু এবার থেকে আর এমনটা মেনে নেবেন না ফিরহাদরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, জেলাগুলিকে সতর্কবার্তা নবান্নর
এই প্রসঙ্গেই বলেন ‘‘কলকাতা কর্পোরেশনের বহু বাড়ি আছে যেখানে এখনও আমরা ঢুকতে পারছি না। ডেঙ্গির মশা কোথায় গিয়ে কীভাবে কামড়াচ্ছে তা বুঝে ওঠা যায় না । তবে একই জায়গায় অনেকের ডেঙ্গি হয়েছে এইরকম ঘটনা খুব কম । এদিক ওদিক টুকটাক আছে । যে 6টি ওয়ার্ড একটু চিন্তার সেখানে গিয়ে দেখেছি, বেশ কিছু বন্ধ বাড়িতে জল জমে আছে। কিছু মানুষ যাঁরা আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। যখন বলা হচ্ছে মশার লার্ভা আছে জল ফেলে দিন, তখন পৌরনিগমের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন নাগরিকরা ৷ এই বিষয়গুলো দেখতে কাউন্সিলরদের বলেছি। ’’
তিনি জানান, স্বাস্থ্য বিভাগকেও জানানো হয়ছে, দরকারে পুলিশের সাহায্য নিতে হবে। কারণ নাগরিকদের অসচেতনতার জন্য ডেঙ্গি ছড়াবে এটা হতে পারে না। সকলকে অনুরোধ নিজের বাড়ির ছাদ, পিছনের অংশ পরিষ্কার রাখুন। নাগরিকদের সচেতনতা পেলে আমরা অবশ্যই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।