কলকাতা, 18 অগস্ট: খুন, অপহরণ থেকে শুরু করে সরকারকে বিপাকে ফেলতে নানা ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপ, কোনও কিছুই বাদ দেননি কেশব বর্মন ওরফে কৈলাস কোচ (Kailash Koch) ৷ বৃহস্পতিবার সেই তিনিই স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন (KLO Terrorist Surrender) ! কলকাতার ভবানী ভবনে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সামনে তিনি যখন হাজির হন, তখনও সঙ্গে ছিল অত্য়াধুনিক একে-47 রাইফেল ! রাজ্য পুলিশের ডিজি (West Bengal DGP) মনোজ মালব্যের (Manoj Malaviya) হাতে সেই মারণাস্ত্র তুলে দেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: KLO Leader Kailash Koch Surrenders আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও সম্পাদক কৈলাস কোচ
তথ্য বলছে, রাজ্যের সরকারকে নাস্তানাবুদ করাই কৈলাসের প্রধান লক্ষ্য ছিল ৷ এর জন্য তাঁর হাতিয়ার ছিল সন্ত্রাস ৷ কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (Kamtapur Liberation Organisation) বা কেএলও (KLO)-এর সদস্য থাকাকালীন গেরিলা প্রশিক্ষণও (Guerrilla Training) নিয়েছিলেন কৈলাস ৷ শুধুমাত্র এই প্রশিক্ষণের জন্যই টানা একবছর অসমে কাটিয়েছিলেন তিনি ৷ যেকোনও মুহূর্তে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হত তাঁকে ৷ ফলে শারীরিকভাবে সর্বদাই সুস্থ থাকাটা বাধ্যতামূলক ছিল ৷ এমনকী, অস্ত্র হাতে না থাকলেও যাতে শুধুমাত্র খালি হাতেই শত্রুকে ধরাশায়ী করা যায়, সেই প্রশিক্ষণও নেওয়া ছিল কৈলাসের ৷
আরও পড়ুন: Suspected Al Qaeda Terrorists Arrest জঙ্গি সন্দেহে ধৃত দু'জনকেই 14 দিনের হেফাজতে পেল এসটিএফ
কেবলমাত্র কেএলও নয়, অন্য়ান্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল কৈলাস কোচের ৷ 2019 থেকে 2021 সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের নানা প্রান্তে গা-ঢাকা দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি ৷ অসমের জঙ্গলেও আত্মসমর্পণ করেছিলেন দীর্ঘদিন ৷ 2008 থেকে 2012 সাল পর্যন্ত কোচবিহার, মালদা-সহ বিভিন্ন জেলায় অসংখ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন কৈলাস ৷ তাঁর বিরুদ্ধে সেই সময় একাধিক খুন ও অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷