ETV Bharat / city

Kasba Vaccine Controversy : অনলাইন কোচিং ক্লাসের চেইন খুলে আইএএস তৈরি করতে চেয়েছিল দেবাঞ্জন

author img

By

Published : Jun 28, 2021, 7:24 PM IST

অনলাইন কোচিং ক্লাসের চেইন খুলে ভবিষ্যতের আইএএস তৈরি করতে চেয়েছিল দেবাঞ্জন দেব ! করোনা ও লকডাউনের আবহে সেই মতো কাজও শুরু করেছিল সে ৷ পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্য়কর তথ্য ৷

Kasba Vaccine Controversy : Debanjan Deb wanted to start online coaching center for IAS training
Kasba Vaccine Controversy : অনলাইন কোচিং ক্লাসের চেইন খুলে আইএএস তৈরি করতে চেয়েছিলেন দেবাঞ্জন !

কলকাতা, 28 জুন : বুদ্ধিমান হওয়া সত্ত্বেও প্রবল খামখেয়ালি ৷ শুধুমাত্র এই কারণেই শিক্ষাগত যোগ্যতায় খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি কসবা টিকা কেলেঙ্কারির ‘নায়ক’ দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb) ৷ আর সম্ভবত, সেই জন্যই গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই নিজের মুঠোয় পোরার স্বপ্ন দেখত সে ! অন্তত এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের ৷ তাঁদের হাতে আসা তথ্য বলছে, দেবাঞ্জনের পরের লক্ষ্য ছিল, একটি অনলাইন কোচিং ক্লাসের চেইন খোলা ৷ তবে সেই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যেতে হল তাকে ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা এবং লকডাউন আবহকে কাজে লাগিয়ে এবং তার ভুয়ো আইএএস আধিকারিকের পরিচয়কে ঢাল করে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছিল দেবাঞ্জন ৷ উদ্দেশ্য ছিল, এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে অনলাইন কোচিং ক্লাসের কাজ আরম্ভ করা ৷

আরও পড়ুন : Kasba Vaccine Controversy : তৃণমূল নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে সিবিআই তদন্ত দাবি সায়ন্তনের

দেবাঞ্জনের বাড়ি কলকাতার আনন্দপুর থানা এলাকার 218 নম্বর মাদুরদহে ৷ সেই বাড়িতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার তদন্ত চালিয়েছে পুলিশ ৷ আর সেই তল্লাশিতেই একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ সেইসব তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটেই দেবাঞ্জনের এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে ৷

কলকাতা শহরে এমন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রাশিক্ষণ দেওয়া হয় ৷ রাজ্যের বহু প্রাক্তন আমলা ও উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে আসেন ৷ দেবাঞ্জন এই প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কাজ করতে চাইছিল ৷ যাতে তাদের প্রতিষ্ঠা ও সুনাম ব্য়বহার করে সহজেই প্রচুর পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী জোগাড় করা যায় ৷ পাশাপাশি, এতে তার শিক্ষামহলে পরিচয় ও যাতায়াতও বাড়ত ৷

দেবাঞ্জন নিজে আইএএস হতে পারেনি ৷ কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল, ভবিষ্যতের আইএএসদের গড়ার ! অর্থাৎ, তার তৈরি অনলাইন কোচিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েই আমলা পদে চাকরি পাবেন তরুণ-তরুণীরা ৷ পুলিশের দাবি, জেরার মুখে একথা স্বীকারও করেছে দেবাঞ্জন ৷

আরও পড়ুন : সারদার সুদীপ্ত সেনের পথে হেঁটেই কি প্রতারণার জাল বিস্তার দেবাঞ্জনের ?

এছাড়া, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে জমি নিয়ে প্রতারণারও অভিযোগ উঠেছে ৷ ভুয়ো আইএএস, রাজ্য়ের ভুয়ো যুগ্ম সচিব, কলকাতা পৌরনিগমের ভুয়ো ডেপুটি কমিশনার, আরও কত কী ! দেবাঞ্জনের একই অঙ্গে এত রূপ দেখে ভিরমি খাওয়ার দশা হয়েছে দুঁদে পুলিশ অফিসারদেরও ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, পৌরনিগমের ডেপুটি কমিশনার পরিচয় দিয়েই বহু মানুষকে বাইপাস লাগোয়া একাধিক জমিতে ভুয়ো প্রকল্প করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন ৷ প্রতারণা করেছিলেন তাঁদের সঙ্গেও ৷ একজন মানুষের পক্ষে একই সময় এত কিছু কীভাবে করা সম্ভব, তা ভেবে কার্যত কুল-কিনারা পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা ৷

তবে পুলিশের মতে, সময় মতো সতর্ক হলে দেবাঞ্জন এতটা বাড়াবাড়ি করার সুযোগ পেত না ৷ অভিযোগ, ছেলে যে আইএএস নয়, সেটা আগেই জানতে পেরেছিলেন দেবাঞ্জনের বাবা ৷ কিন্তু তিনি স্রেফ বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন ৷ এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ওর বিরুদ্ধে আগেই ঠিক মতো তদন্ত করা হলে এভাবে প্রতারণার জাল বিস্তার করতে পারত না দেবাঞ্জন ৷’’

ঠিক কোন প্রসঙ্গে একথা বলেছেন ওই আধিকারিক ? জানা গিয়েছে, 2020 সালের মার্চ মাসে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে একটি মৌখিক অভিযোগ করা হয় ৷ চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু, সেবার পুলিশ সামান্য জেরা করেই ছেড়ে দেয় তাকে ৷

আরও পড়ুন : 2020 সালে প্রতারণা মামলায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয় দেবাঞ্জন, জেরায় মিলছে একাধিক তথ্য

এছাড়াও, জেরায় দেবাঞ্জন পুলিশকে জানিয়েছে, 2020 সালে অশোক রায় নামে ব্যক্তির কাছ থেকে মাসিক 65 হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে একটি অফিস ঘর নেয় সে ৷ তবে কে এই অশোক রায়, তা এখনও জানা যায়নি ৷ পুলিশ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে ।

কলকাতা, 28 জুন : বুদ্ধিমান হওয়া সত্ত্বেও প্রবল খামখেয়ালি ৷ শুধুমাত্র এই কারণেই শিক্ষাগত যোগ্যতায় খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি কসবা টিকা কেলেঙ্কারির ‘নায়ক’ দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb) ৷ আর সম্ভবত, সেই জন্যই গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই নিজের মুঠোয় পোরার স্বপ্ন দেখত সে ! অন্তত এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের ৷ তাঁদের হাতে আসা তথ্য বলছে, দেবাঞ্জনের পরের লক্ষ্য ছিল, একটি অনলাইন কোচিং ক্লাসের চেইন খোলা ৷ তবে সেই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যেতে হল তাকে ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা এবং লকডাউন আবহকে কাজে লাগিয়ে এবং তার ভুয়ো আইএএস আধিকারিকের পরিচয়কে ঢাল করে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছিল দেবাঞ্জন ৷ উদ্দেশ্য ছিল, এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে অনলাইন কোচিং ক্লাসের কাজ আরম্ভ করা ৷

আরও পড়ুন : Kasba Vaccine Controversy : তৃণমূল নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে সিবিআই তদন্ত দাবি সায়ন্তনের

দেবাঞ্জনের বাড়ি কলকাতার আনন্দপুর থানা এলাকার 218 নম্বর মাদুরদহে ৷ সেই বাড়িতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার তদন্ত চালিয়েছে পুলিশ ৷ আর সেই তল্লাশিতেই একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ সেইসব তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটেই দেবাঞ্জনের এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে ৷

কলকাতা শহরে এমন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রাশিক্ষণ দেওয়া হয় ৷ রাজ্যের বহু প্রাক্তন আমলা ও উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে আসেন ৷ দেবাঞ্জন এই প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কাজ করতে চাইছিল ৷ যাতে তাদের প্রতিষ্ঠা ও সুনাম ব্য়বহার করে সহজেই প্রচুর পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী জোগাড় করা যায় ৷ পাশাপাশি, এতে তার শিক্ষামহলে পরিচয় ও যাতায়াতও বাড়ত ৷

দেবাঞ্জন নিজে আইএএস হতে পারেনি ৷ কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল, ভবিষ্যতের আইএএসদের গড়ার ! অর্থাৎ, তার তৈরি অনলাইন কোচিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েই আমলা পদে চাকরি পাবেন তরুণ-তরুণীরা ৷ পুলিশের দাবি, জেরার মুখে একথা স্বীকারও করেছে দেবাঞ্জন ৷

আরও পড়ুন : সারদার সুদীপ্ত সেনের পথে হেঁটেই কি প্রতারণার জাল বিস্তার দেবাঞ্জনের ?

এছাড়া, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে জমি নিয়ে প্রতারণারও অভিযোগ উঠেছে ৷ ভুয়ো আইএএস, রাজ্য়ের ভুয়ো যুগ্ম সচিব, কলকাতা পৌরনিগমের ভুয়ো ডেপুটি কমিশনার, আরও কত কী ! দেবাঞ্জনের একই অঙ্গে এত রূপ দেখে ভিরমি খাওয়ার দশা হয়েছে দুঁদে পুলিশ অফিসারদেরও ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, পৌরনিগমের ডেপুটি কমিশনার পরিচয় দিয়েই বহু মানুষকে বাইপাস লাগোয়া একাধিক জমিতে ভুয়ো প্রকল্প করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন ৷ প্রতারণা করেছিলেন তাঁদের সঙ্গেও ৷ একজন মানুষের পক্ষে একই সময় এত কিছু কীভাবে করা সম্ভব, তা ভেবে কার্যত কুল-কিনারা পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা ৷

তবে পুলিশের মতে, সময় মতো সতর্ক হলে দেবাঞ্জন এতটা বাড়াবাড়ি করার সুযোগ পেত না ৷ অভিযোগ, ছেলে যে আইএএস নয়, সেটা আগেই জানতে পেরেছিলেন দেবাঞ্জনের বাবা ৷ কিন্তু তিনি স্রেফ বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন ৷ এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ওর বিরুদ্ধে আগেই ঠিক মতো তদন্ত করা হলে এভাবে প্রতারণার জাল বিস্তার করতে পারত না দেবাঞ্জন ৷’’

ঠিক কোন প্রসঙ্গে একথা বলেছেন ওই আধিকারিক ? জানা গিয়েছে, 2020 সালের মার্চ মাসে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে একটি মৌখিক অভিযোগ করা হয় ৷ চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু, সেবার পুলিশ সামান্য জেরা করেই ছেড়ে দেয় তাকে ৷

আরও পড়ুন : 2020 সালে প্রতারণা মামলায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয় দেবাঞ্জন, জেরায় মিলছে একাধিক তথ্য

এছাড়াও, জেরায় দেবাঞ্জন পুলিশকে জানিয়েছে, 2020 সালে অশোক রায় নামে ব্যক্তির কাছ থেকে মাসিক 65 হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে একটি অফিস ঘর নেয় সে ৷ তবে কে এই অশোক রায়, তা এখনও জানা যায়নি ৷ পুলিশ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.