ETV Bharat / city

কলকাতা পুলিশের বৈঠকে সরকারি অনুদান দাবি কালীপূজা কমিটিগুলির

দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও অনুদান দিতে হবে রাজ্য সরকারকে, এমনটাই দাবি করল পুজো কমিটিগুলি ৷ নগরপাল অনুজ শর্মার উপস্থিতিতে এই দাবি তোলা হয় গতকালের পূজা সমন্বয় বৈঠকে ৷

কলকাতা পুলিশের বৈঠকে অনুদানের দাবি কালীপূজা কমিটির
author img

By

Published : Oct 22, 2019, 4:25 AM IST

Updated : Oct 22, 2019, 12:52 PM IST

কলকাতা, 22 অক্টোবর: দুর্গাপূজায় রাজ্য সরকার অনুদান দিচ্ছে কয়েক বছর ধরেই । এবছর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় অনুদান বেড়েছে অনেকটাই । অনুমোদিত পুজো কমিটিগুলোকে 25 হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার । এবার কালীপূজা কমিটিগুলি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দাবি জানাল অনুদানের । গতকাল কলকাতা পুলিশের সঙ্গে শহরের পুজো কমিটিগুলির সমন্বয় বৈঠকে এই দাবি করা হয় । যদিও এ বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনও উত্তর ছিল না ।

দুর্গাপুজোয় কলকাতা পুলিশের কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বত্র । একই ভাবে কালীপূজা সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করতে চাইছে পুলিশ । সেই সূত্রেই আজ শহর কলকাতার কালীপূজা কমিটিগুলির সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করে কলকাতা পুলিশ । বৈঠকে হাজির ছিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা । দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর মধ্যে চরিত্রগত পার্থক্য রয়েছে। পুলিশের কাছে দুই পুজোর চ্যালেঞ্জ দু'রকমের । দুর্গাপুজো সামাল দিয়ে শহর সচল রাখাই পুলিশের লক্ষ্য থাকে । কালীপূজায় ভিড় হয় না তেমন । এখানে কলকাতা পুলিশের চ্যালেঞ্জ থাকে শব্দ-দানবের হাত থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করার ।

বহুদিন ধরেই কলকাতা শহরে শব্দবাজি নিষিদ্ধ । শব্দবাজির ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া আছে 90 ডেসিবেল । কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বেশ কিছু বাজি। সেই নিষিদ্ধ বাজির তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ। সেগুলি হল ক্র্যাকার, ভুঁই পটকা, আগুনে পটকা, বোমা । আর্সেনিক সালফেট বা পটাশিয়াম ক্লোরেট দিয়ে তৈরি সব বাজি নিষিদ্ধ । ছুঁচো বাজি, উড়ন তুবড়ি, চটপটি, চকলেট বোমা, রকেট বা শব্দ উৎপাদনকারী সব বাজি নিষিদ্ধ শহরে । কিন্তু প্রতি বছরই বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে ব্যাপক পরিমাণে শব্দ বাজি ফাটে তিলোত্তমায় । বাজির কারণে গোটা শহরে ছড়ায় দূষণ । অনেক ক্ষেত্রে ঘটে যায় অগ্নিকাণ্ড । কলকাতা পুলিশের কাছে বাজি তাণ্ডব বন্ধ করাই থাকে কালীপূজার মূল চ্যালেঞ্জ । আজ সমন্বয় বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম কালীপূজা কমিটিগুলোকে বাজির তাণ্ডবের হাত থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করতে বিশেষ আবেদন জানান৷

দেখুন ভিডিয়ো

গতকাল পূজা কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয় । সেখানেই দাবি ওঠে অনুদানের । মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে কালীঘাট গরমিল সংঘ । তাদের তরফে বলা হয়, ''দুর্গাপূজার সময় মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন পুজো কমিটি গুলোর সঙ্গে । তাঁরা চান, উনি কালীপূজা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করুন । তাঁরা নানা দিক থেকে বঞ্চিত । কমিটির একাংশের দাবি, দুর্গাপূজা এতদিন ধরে চলে যে অনেক সময় পুজোর প্যান্ডেল কালীপূজার আগে খোলা হয় না । চাঁদাও মেলেনা তেমন ভাবে । বিজ্ঞাপন নেই । এই অবস্থায় কালীপূজা করা কষ্টকর ।

দুর্গাপুজোয় 25000 টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য । তাই কালীপূজার ক্ষেত্রে ন্যূনতম 10 হাজার টাকা অনুদানের দাবি জানানো হয় ৷ বেশ কয়েকটি পূজা কমিটির দাবি, বিদ্যুতের মাশুলের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হোক তাদের । তাদের বক্তব্য, ''কালীপুজো আলোর উৎসব । দুর্গাপুজোর সময় বিদ্যুতের মাশুলে প্রচুর ছাড় দেওয়া হয়েছে । আমাদের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় নেই । আমাদের জন্যও ছাড়ের ব্যবস্থা করুক রাজ্য ।"

কলকাতা, 22 অক্টোবর: দুর্গাপূজায় রাজ্য সরকার অনুদান দিচ্ছে কয়েক বছর ধরেই । এবছর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় অনুদান বেড়েছে অনেকটাই । অনুমোদিত পুজো কমিটিগুলোকে 25 হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার । এবার কালীপূজা কমিটিগুলি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দাবি জানাল অনুদানের । গতকাল কলকাতা পুলিশের সঙ্গে শহরের পুজো কমিটিগুলির সমন্বয় বৈঠকে এই দাবি করা হয় । যদিও এ বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনও উত্তর ছিল না ।

দুর্গাপুজোয় কলকাতা পুলিশের কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বত্র । একই ভাবে কালীপূজা সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করতে চাইছে পুলিশ । সেই সূত্রেই আজ শহর কলকাতার কালীপূজা কমিটিগুলির সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করে কলকাতা পুলিশ । বৈঠকে হাজির ছিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা । দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর মধ্যে চরিত্রগত পার্থক্য রয়েছে। পুলিশের কাছে দুই পুজোর চ্যালেঞ্জ দু'রকমের । দুর্গাপুজো সামাল দিয়ে শহর সচল রাখাই পুলিশের লক্ষ্য থাকে । কালীপূজায় ভিড় হয় না তেমন । এখানে কলকাতা পুলিশের চ্যালেঞ্জ থাকে শব্দ-দানবের হাত থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করার ।

বহুদিন ধরেই কলকাতা শহরে শব্দবাজি নিষিদ্ধ । শব্দবাজির ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া আছে 90 ডেসিবেল । কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বেশ কিছু বাজি। সেই নিষিদ্ধ বাজির তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ। সেগুলি হল ক্র্যাকার, ভুঁই পটকা, আগুনে পটকা, বোমা । আর্সেনিক সালফেট বা পটাশিয়াম ক্লোরেট দিয়ে তৈরি সব বাজি নিষিদ্ধ । ছুঁচো বাজি, উড়ন তুবড়ি, চটপটি, চকলেট বোমা, রকেট বা শব্দ উৎপাদনকারী সব বাজি নিষিদ্ধ শহরে । কিন্তু প্রতি বছরই বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে ব্যাপক পরিমাণে শব্দ বাজি ফাটে তিলোত্তমায় । বাজির কারণে গোটা শহরে ছড়ায় দূষণ । অনেক ক্ষেত্রে ঘটে যায় অগ্নিকাণ্ড । কলকাতা পুলিশের কাছে বাজি তাণ্ডব বন্ধ করাই থাকে কালীপূজার মূল চ্যালেঞ্জ । আজ সমন্বয় বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম কালীপূজা কমিটিগুলোকে বাজির তাণ্ডবের হাত থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করতে বিশেষ আবেদন জানান৷

দেখুন ভিডিয়ো

গতকাল পূজা কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয় । সেখানেই দাবি ওঠে অনুদানের । মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে কালীঘাট গরমিল সংঘ । তাদের তরফে বলা হয়, ''দুর্গাপূজার সময় মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন পুজো কমিটি গুলোর সঙ্গে । তাঁরা চান, উনি কালীপূজা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করুন । তাঁরা নানা দিক থেকে বঞ্চিত । কমিটির একাংশের দাবি, দুর্গাপূজা এতদিন ধরে চলে যে অনেক সময় পুজোর প্যান্ডেল কালীপূজার আগে খোলা হয় না । চাঁদাও মেলেনা তেমন ভাবে । বিজ্ঞাপন নেই । এই অবস্থায় কালীপূজা করা কষ্টকর ।

দুর্গাপুজোয় 25000 টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য । তাই কালীপূজার ক্ষেত্রে ন্যূনতম 10 হাজার টাকা অনুদানের দাবি জানানো হয় ৷ বেশ কয়েকটি পূজা কমিটির দাবি, বিদ্যুতের মাশুলের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হোক তাদের । তাদের বক্তব্য, ''কালীপুজো আলোর উৎসব । দুর্গাপুজোর সময় বিদ্যুতের মাশুলে প্রচুর ছাড় দেওয়া হয়েছে । আমাদের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় নেই । আমাদের জন্যও ছাড়ের ব্যবস্থা করুক রাজ্য ।"

Intro:কলকাতা, ২১ অক্টোবর: দুর্গাপূজায় রাজ্য সরকার অনুদান দিচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। এবছর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় অনুদান বেড়েছে অনেকটাই। 25 হাজার টাকা করে অনুমোদিত পুজো কমিটিগুলোকে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার কালী পূজা কমিটি গুলি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দাবি জানালেন অনুদানের। আজ কলকাতা পুলিশের সঙ্গে শহরের পুজো কমিটিগুলির সমন্বয় বৈঠকে এই দাবি ওঠে জোরদারভাবে। যদিও এ বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো উত্তর ছিল না।



Body:দুর্গাপুজোয় কলকাতা পুলিশের কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বত্র। একই ভাবে কালীপুজো সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করতে চাইছে পুলিশ। সেই সূত্রেই আজ শহর কলকাতার কালী পূজা কমিটি গুলির সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করে কলকাতা পুলিশ। বৈঠকে হাজির ছিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। আসলে দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর মধ্যে চরিত্রগত পার্থক্য রয়েছে। পুলিশের কাছে দুই পুজোর চ্যালেঞ্জ দু'রকমের। দুর্গাপুজোর সামাল দিয়ে শহর সচল রাখাই পুলিশের উদ্দেশ্য থাকে। কালী পুজোর ক্ষেত্রে ভিড় হয় না তেমন। এখানে কলকাতা পুলিশের চ্যালেঞ্জ থাকে শব্দ দানবের হাত থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করা।

বহুদিন ধরেই কলকাতা শহরে শব্দবাজি নিষিদ্ধ। শব্দবাজির ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া আছে 90 ডেসিবেল। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বেশকিছু বাজি। সেই নিষিদ্ধ বাজির তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ। সেগুলি হল ক্র‍্যাকার, ভুঁই পটকা, আগুনে পটকা, বম্ব। আর্সেনিক সালফেট বা পটাশিয়াম ক্লোরেট দিয়ে তৈরি সব বাজি নিষিদ্ধ। ছুঁচো বাজি, উড়ন তুবড়ি, চটপটি, চকলেট বোমা, রকেট বা শব্দ উৎপাদনকারী যেকোনো বাজি নিষিদ্ধ কলকাতায়। অথচ প্রায় প্রতি বছরই বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে ব্যাপক পরিমাণে শব্দ বাজি ফাটে শহরে। বাজির কারণে গোটা শহরে ছড়ায় দূষণ। অনেক ক্ষেত্রে ঘটে যায় অগ্নিকাণ্ড। কলকাতা পুলিশের কাছে বাজি তাণ্ডব বন্ধ করাই থাকে কালীপুজোর মূল চ্যালেঞ্জ। আজ সমন্বয় বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম কালীপুজো কমিটিগুলোকে বাজির তাণ্ডবের হাত থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করতে বিশেষ আবেদন জানান।


Conclusion:অন্যদিকে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর সেখানেই দাবি ওঠে অনুদানের। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে কালীঘাট গরমিল সংঘ। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “ দুর্গাপূজার সময় মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন পুজো কমিটি গুলোর সঙ্গে। আমরা চাইছি উনি কালী পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করুন। আমরা নানা দিক থেকে বঞ্চিত। দুর্গাপূজো এতদিন ধরে চলে যে অনেক সময় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল কালীপুজোর আগে খোলা হয় না। চাঁদাও পাওয়া যায় না তেমন ভাবে। বিজ্ঞাপন নেই। এই অবস্থায় কালী পুজো করা সত্যিই কষ্টকর। সরকার দুর্গাপুজোয় 25000 টাকা করে অনুদান দিয়েছে। কালীপুজোর ক্ষেত্রে অন্তত 10 হাজার টাকা অনুদানের দাবি জানাচ্ছি।" পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি পূজা কমিটি দাবি জানায়, বিদ্যুতের মাশুলের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার। তাদের বক্তব্য, “কালীপুজো আলোর উৎসব। দুর্গাপুজোর সময় বিদ্যুতের মাশুলে প্রচুর ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। আমাদের জন্যও ছাড়ের ব্যবস্থা করা হোক।"
Last Updated : Oct 22, 2019, 12:52 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.