কলকাতা, 17 ডিসেম্বর : প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি এবং এআইসিসির এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক শুরু করলেন । সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৈঠক । প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবনে বৈঠক চলছে । উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন জেলা সভাপতিকে আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে । সূত্রের খবর, মূলত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার কংগ্রেস কর্মীদের রণকৌশল ঠিক করার জন্যই বিশেষ বার্তা দেবেন জিতিন প্রসাদ ।
আজকের বৈঠকে মূলত তৃণমূল স্তরে বামফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতা এবং আসন বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে । কংগ্রেসের এই ঘরোয়া বৈঠকে অভ্যন্তরীণ কলহ এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই দলের হাইকমান্ডের থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কংগ্রেস সভানেত্রীর বার্তা নিয়েই এ রাজ্যে বৈঠকে এসেছেন জিতিন প্রসাদ ।
বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা ভালোভাবে দেখছে না দলের একাংশ । দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলার কংগ্রেস সভাপতি দলের মধ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন । পুরুলিয়া-সহ সিংহভাগ কংগ্রেস বিধায়ক এবং জেলা সভাপতি বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিরোধিতা করে একাধিকবার এআইসিসিকে অভিযোগ জানিয়েছেন।
কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি পরীক্ষা করার জন্য এআইসিসির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা । বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট ভেঙে দিতে মরিয়া ছিলেন তাঁরা । এখনও রাজ্যের অনেক কংগ্রেস নেতা চাইছেন এককভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে । আজ দীপা দাশমুন্সি, নেপাল মাহাত, শংকর মালাকার-সহ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি এবং নেতৃত্ব আসন সমঝোতার বিরুদ্ধেই সওয়াল করবেন বলে জানা গিয়েছে ।
আজকের বৈঠকে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান । শারীরিক অসুস্থতার কারণ জানিয়ে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের মতানৈক্য তৈরি হয়েছে । যাকে সাংগঠনিক সংঘাত বলা যেতে পারে । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান সদ্য কোরোনা-মুক্ত হওয়ার গত সপ্তাহে প্রথম বিধানসভায় এসেছেন । তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে এতটাই বিরোধ যে তিনি আজকের বৈঠকে অনুপস্থিত রইলেন ।
যাঁরা দল ছেড়েছেন তাঁদের দলে ফেরানোর বার্তাও আজকের বৈঠক থেকে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে । কীভাবে দলছাড়াদের, ফের কংগ্রেস শিবিরে ফেরানো যায় সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জেলা সভাপতিদের সঙ্গে।