কলকাতা, 29 অগাস্ট : জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের 100 বছর ৷ নির্বিচারে চলেছিল গুলি ৷ সেই হত্য়াকাণ্ডকে স্মরণে রেখে বিধানসভায় গৃহীত হল সর্বদলীয় প্রস্তাব । প্রস্তাব গ্রহণের পরই মুখ্য়মন্ত্রী ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে নাম না নিয়ে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন ৷ তাঁর কথায়, ''ঐক্য়ের দেশে আগামী দিনে দেশে একটি রাজনৈতিক দল, একটি জাতির দাবি উঠবে । একজন নেতৃত্বের নাম উঠবে । দেশ ধীরে ধীরে সামরিক শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।''
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '' জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড, রবীন্দ্রনাথের নাইট উপাধি ত্যাগ, গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল । সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন বাংলার মানুষ । তাঁরা দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ দিয়েছিলেন । দেশে সবার অবদান রয়েছে । যখন বাংলায় অত্যাচার হচ্ছে, তখন অন্য রাজ্য এগিয়ে আসছে বাংলার পাশে । এটাই আমাদের সংস্কৃতি ছিল । বর্তমানে সেটা বদলে গিয়েছে । বর্তমানে একটি দল ওই বাতাবরণ নষ্ট করে দিয়েছে । যারা গান্ধিজিকে হত্যা করেছিল, তারাই আজ গর্বের কথা বলছে ।''
BJP-এর নাম না করে এদিন তিনি বলেন, ''দেশকে, ইতিহাসকে বদলে দিচ্ছে একটি রাজনৈতিক দল ।'' ইতিহাস জোর করে বদলানো যায় না, বদলানো যায় না মানবিকতাও, এমনটাই বলেন মুখ্য়মন্ত্রী । কাশ্মীর ইশু নিয়েও সরব হন মমতা ৷ বলেন, ''কাশ্মীর নিয়ে সব দলের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল কেন্দ্রের । তাহলে সমস্যা এতটা জটিল হত না । বন্দুকের নলের সামনে কীভাবে আছে ওখানকার মানুষ, তা আমরা জানি না । খুব খারাপ লাগছে । সেখানে গেলে কাউকে দেখাও করতে দেওয়া হচ্ছে না ।''
ঘটনায় নিহত শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় এক মিনিট নীরবতা পালন করেন বিধায়করা । এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের 100 বছরের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন । সর্বসম্মত এই প্রস্তাব নিয়ে দেড় ঘণ্টা আলোচনা হয় বিধানসভায় । অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই প্রস্তাবে আলোচনার মাধ্যমে সম্মত হন সব দলের বিধায়করাই । কংগ্রেসের বিধায়ক অসিত মিত্র, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার, BJP-এর পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এই প্রস্তাবের উপর আলোচনা করেন ।