কলকাতা, 12 নভেম্বর : বেঙ্গল গ্লোবাল বিসনেজ সামিটে (Bengal Global Business Summit- BGBS) যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত 12 লক্ষ 30 হাজার কোটির টাকার বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে ৷ তার প্রেক্ষিতেই রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অধুনা মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রের (Amit Mitra) কাছে সরাসরি সেই বিনিয়োগের হিসাব চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) ৷ তিনি টুইটারে এই ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করে এই বিনিয়োগের হিসাব চান ৷ আগেই রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন ৷ এবার তা প্রকাশের পর হিসেবও চাইলেন ৷
ভিডিয়োটি রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায়, "মমতা সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রের কাছে আমার বিনম্র আবেদন, পাঁচ দফা বেঙ্গল বিসনেজ সামিটে 12 লক্ষ 30 হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের যে দাবি করা হয়েছে তা পশ্চিমবঙ্গের কোথায় করা হচ্ছে ? কোন সংস্থাগুলি এই বিনিয়োগ করছে ? বর্তমানে ওই বিনিয়োগের পরিস্থিতি কী ? তা থেকে কতটা রোজগার হয়েছে ? এসব প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর তাঁর দেওয়া উচিত ৷ ওঁর দেওয়া চিঠি আমি পড়েছি ৷ আমি যে ইস্যুতে কথা বলতে চেয়েছি, সেই সম্পর্কে বিন্দুমাত্র কিছু জানানো হয়নি ৷ সাধারণ মানুষের এটা জানার অধিকার রয়েছে ৷ আমি আশা করছি উনি (অমিত মিত্র) নিশ্চয়ই এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেবেন ৷"
এর আগে 2015 থেকে 2019 অবধি রাজ্যে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল বিজনেস সামিটের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল ৷ 2020-এর অগস্ট নাগাদ এনিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও পাঠান তিনি ৷ শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তিনি ৷ এবার সেই শ্বেতপত্রে প্রকাশিত বিনিয়োগের হিসাব চাইলেন ৷ রাজ্য এবং রাজ্যপালের সংঘাত একটা নতুন মোড় নিয়েছে গত কয়েকদিনে। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের কথা ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যপাল সক্রিয় হয়েছেন এই নিয়ে সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে। তির্যক প্রশ্নবাণ পাশাপাশি বিনিয়োগ থেকে শুরু করে শিল্প সম্মেলন থেকে বাস্তবে কতটা লাভ হয়েছে তা জানতে আগ্রহী জগদীপ ধনকড়। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই নিয়ে তাঁকে জবাব দেওয়ার পরও তিনি খুশি নন। বরং এই মুহূর্তে তিনি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতেই বেশি আগ্রহী। তবে রাজ্য সরকারের হয়ে ব্যাটন ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক মুখ্য উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ৷ এই নিয়ে চলছে রাজ্য সরকার এবং রাজভবনের মধ্যে সংঘাত।
আরও পড়ুন : Jagdeep Dhankhar : শিল্প সম্মেলন নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান, রাজ্য়পালের নিশানায় রাজ্য সরকার
-
Time @DrAmitMitra Chief Economic Advisor @MamataOfficial to respond to five issues flagged #BGBS. His four page discourse skips these altogether. pic.twitter.com/g51mIC73zI
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 11, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Time @DrAmitMitra Chief Economic Advisor @MamataOfficial to respond to five issues flagged #BGBS. His four page discourse skips these altogether. pic.twitter.com/g51mIC73zI
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 11, 2021Time @DrAmitMitra Chief Economic Advisor @MamataOfficial to respond to five issues flagged #BGBS. His four page discourse skips these altogether. pic.twitter.com/g51mIC73zI
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 11, 2021
সংঘাতের সূত্রপাত বাণিজ্য সম্মেলনকে ঘিরেই। গত 9 নভেম্বর ইকোপার্কের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তাঁকে সমর্থনের কথাই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে রাজ্যের হয়ে শিল্প নিয়ে আসার জন্য বিদেশে গিয়ে প্রচারের কথা বলেন। তাতে ইতিবাচক সাড়া দেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, কোনও সংঘাতের জায়গাই নেই। একটাই পথ, এক সঙ্গে সেই পথে চলতে হবে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। আর এই বক্তব্য পেশ করার পরের দিনই তিনি টুইট করেন রাজ্যের কাছে জবাব চেয়ে। একেবারে বিপরীত অবস্থান নিতে দেখা যায় তাঁকে। রাজ্যপালকে এভাবে আক্রমণ করার পর অমিত মিত্র টুইটে জবাব দেন রাজ্যপালকে ৷ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনগুলির পর কত টাকার বিনিয়োগ এসেছে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শ্বেতপত্র চান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সেই দাবির জবাব দেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
রাজ্যপাল টুইট করে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনগুলির সাফল্য নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, একবছর পরেও তার উত্তর পাননি তিনি। তারই জবাব দিয়ে অমিত মিত্র চিঠি পোস্ট করেন। তাঁর দাবি, গত বছর 24 নভেম্বর রাজ্যপালকে এই বিষয়ে জানিয়ে চার পাতার চিঠিতে জবাব দিয়েছিলেন। রাজ্যপালকে পাঠানো সেই চিঠিতে অমিত মিত্র উল্লেখ করেছিলেন, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে 2015 থেকে 2019 সাল পর্যন্ত 12,32,603 কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু রাজ্যপালের দাবি, সঠিক উত্তর তিনি পাননি