ETV Bharat / city

"প্রশ্নফাঁস"-এর জেরে ফের প্রবেশিকা যাদবপুরে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "নতুন করে আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবার হয়ত আমরা বাইরের থার্ড পার্টিকে পরীক্ষাটা নেওয়া করাব। অফলাইনেও করা যায় কি না ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে।"

"প্রশ্নফাঁস"-এর জেরে ফের প্রবেশিকা যাদবপুরে
"প্রশ্নফাঁস"-এর জেরে ফের প্রবেশিকা যাদবপুরে
author img

By

Published : Jan 29, 2021, 10:44 PM IST

কলকাতা, 29 জানুয়ারি : পরীক্ষার শুরুতেই বাইরে ছড়িয়ে গিয়েছিল প্রশ্নপত্র। যার জেরে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের সেই বিতর্কিত প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, আজ ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ়, ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট তথা আইএসএলএম ফ্যাকাল্টির অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

25 জানুয়ারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গুগল ফর্মে 50টি মাল্টিপল কোয়েশ্চেনের সেই লিঙ্ক আপলোড করা হয় পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে। দুপুর 2টো থেকে 3টে পর্যন্ত হয় পরীক্ষা । কিন্তু, দুপুর 2টোর কিছুক্ষণ পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় ঘুরতে দেখা যায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের স্ক্রিনশট বা স্ক্রিন রেকর্ডিং। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কোনও বাইরের মানুষও গুগল ফর্মটিতে ঢুকে প্রশ্নপত্র দেখতে পাচ্ছিলেন। কারণ, পরীক্ষার লিঙ্কে ক্লিক করলে লগ-ইনের কোনও অপশন ছাড়াই সরাসরি গুগল ফর্মটি খুলে যাচ্ছিল। ঘটনাটি সামনে আসতেই তীব্র বিতর্ক দানা বাধে।

ঘটনাটি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওইদিনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বিভাগীয় প্রধানের কাছে। তাঁর থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশও স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরে আজ ফ্যাকাল্টির অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে নেওয়া হয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত।

এই সংক্রান্ত খবর : জার্নালিজ়মের প্রবেশিকা পরীক্ষার শুরুতেই ছড়িয়ে পড়ল প্রশ্নপত্র, বিতর্কে যাদবপুর

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "নতুন করে আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবার হয়ত আমরা বাইরের থার্ড পার্টিকে পরীক্ষাটা নেওয়া করাব। অফলাইনেও করা যায় কি না ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে।" জানা গেছে, মোটামুটিভাবে ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে, কবে, কখন, ঠিক কোন পদ্ধতিতে 611 জন স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে তা আগামীতে ঠিক করা হবে।

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপনে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও স্নাতকে প্রাপ্ত নম্বরকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হতো মেধাতালিকা। কিন্তু, মাঝপথে "প্রশ্নফাঁস" ঘটনার জেরে থমকে যায় গোটা প্রক্রিয়াটি। স্বাভাবিকভাবেই এই ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে আরও বেশদিন সময় লাগবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

কলকাতা, 29 জানুয়ারি : পরীক্ষার শুরুতেই বাইরে ছড়িয়ে গিয়েছিল প্রশ্নপত্র। যার জেরে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের সেই বিতর্কিত প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, আজ ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ়, ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট তথা আইএসএলএম ফ্যাকাল্টির অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

25 জানুয়ারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গুগল ফর্মে 50টি মাল্টিপল কোয়েশ্চেনের সেই লিঙ্ক আপলোড করা হয় পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে। দুপুর 2টো থেকে 3টে পর্যন্ত হয় পরীক্ষা । কিন্তু, দুপুর 2টোর কিছুক্ষণ পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় ঘুরতে দেখা যায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের স্ক্রিনশট বা স্ক্রিন রেকর্ডিং। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কোনও বাইরের মানুষও গুগল ফর্মটিতে ঢুকে প্রশ্নপত্র দেখতে পাচ্ছিলেন। কারণ, পরীক্ষার লিঙ্কে ক্লিক করলে লগ-ইনের কোনও অপশন ছাড়াই সরাসরি গুগল ফর্মটি খুলে যাচ্ছিল। ঘটনাটি সামনে আসতেই তীব্র বিতর্ক দানা বাধে।

ঘটনাটি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওইদিনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বিভাগীয় প্রধানের কাছে। তাঁর থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশও স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরে আজ ফ্যাকাল্টির অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে নেওয়া হয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত।

এই সংক্রান্ত খবর : জার্নালিজ়মের প্রবেশিকা পরীক্ষার শুরুতেই ছড়িয়ে পড়ল প্রশ্নপত্র, বিতর্কে যাদবপুর

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "নতুন করে আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবার হয়ত আমরা বাইরের থার্ড পার্টিকে পরীক্ষাটা নেওয়া করাব। অফলাইনেও করা যায় কি না ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়া হবে।" জানা গেছে, মোটামুটিভাবে ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে, কবে, কখন, ঠিক কোন পদ্ধতিতে 611 জন স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে তা আগামীতে ঠিক করা হবে।

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপনে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও স্নাতকে প্রাপ্ত নম্বরকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হতো মেধাতালিকা। কিন্তু, মাঝপথে "প্রশ্নফাঁস" ঘটনার জেরে থমকে যায় গোটা প্রক্রিয়াটি। স্বাভাবিকভাবেই এই ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে আরও বেশদিন সময় লাগবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.