ETV Bharat / city

পরিকল্পনা করেই একবালপুরে কিশোরীকে গণধর্ষণ, পুলিশি জেরায় চাঞ্চল্য়কর তথ্য় - পর্ণশ্রী

পরিকল্পনা মাফিক কিশোরীকে বাইকে চাপিয়ে ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় রাহুল ও মনোজ শর্মা ৷ ফ্ল্যাটে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল বাকি তিনজন ৷ তারা মদ খাওয়ায় কিশোরীকে ৷ তারপর তাকে ধর্ষণ করে ৷

ekbalpur case
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Feb 9, 2020, 2:02 AM IST

Updated : Feb 9, 2020, 8:10 AM IST

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি : পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল । সেভাবেই পর্ণশ্রী থেকে একবালপুরের ফ্ল্যাটটিতে নিয়ে আসা হয় ক্লাস সেভেনের ওই ছাত্রীকে । সেখানেই একপ্রকার জোর করে তাকে মদ পান করানো হয়। তখন রাত প্রায় ন'টা । তারপর তার উপর একে একে ঝাঁপিয়ে পড়ে সবাই । জেরায় এই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের কাছে । যদিও নির্যাতিতাকে এখনও পর্যন্ত সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। কারণ সে মানসিকভাবে একেবারেই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে ।

স্কুলে যাতায়াতের সূত্র ধরে অমরজিৎ চৌপাল ওরফে রাহুল (21) ও মনোজ শর্মা সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিতি ছিল ওই কিশোরীর । রাহুলের বাড়ি মহেশতলা এলাকায় । মনোজ পর্নশ্রীর বাসিন্দা । এই দু'জনের সঙ্গেই ওই দিন সন্ধ্যায় বের হয়েছিল কিশোরী। বাইক চালাচ্ছিল রাহুল । মাঝখানে বসানো হয়েছিল ওই কিশোরীকে । তারপর সোজা নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুরের 4/3/H/51 ভূকৈলাশ রোডের ফ্ল‍্যাটটিতে ।

ekbalpur case
প্রথমে ধরা পড়ে চার অভিযুক্ত

ওই ফ্ল‍্যাটটি সঞ্জয় মিরধার মায়ের । যদিও সে মায়ের সঙ্গে থাকে 21/1 ময়ূরভঞ্জ রোডে । ভূকৈলাশ রোডের ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই থাকত । মায়ের কাছ থাকত ওই ফ্ল্যাটের চাবি ৷ সেই চাবি আগে থেকেই নিজের কাছে রেখেছিল সঞ্জয় । ওই দিন সন্ধে থেকেই একবালপুরের ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিল 24 বছরের বিকাশ মল্লিক, সঞ্জয় মিরধা (28) ও তাদের বন্ধু রাঁচির ঋত্বিক রাম(19) । তারা আগে থেকেই মদ খেয়ে ছিল । কিশোরীকে নিয়ে রাত ন'টা নাগাদ ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছায় রাহুল ও মনোজ । এরপর পরিকল্পনা মতোই শুধুমাত্র আনন্দ করার কথা বলে কিশোরীকে মদ পান করানো হয় । নেশাগ্রস্ত হয়ে গেলে ওই কিশোরীর উপর একে একে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা । তখন অবশ্য সঞ্জয় ওই ঘরে ছিল না বলেই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ । পাশের একটি ঘরে বসে সে মদ্যপান করছিল । রাতভর চলে অত্যাচার ।

Ekbalpur assault
পঞ্চম অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ


সকাল ন'টা নাগাদ হুঁশ ফেরে কিশোরীর । তখন ওই ঘরে কেউ ছিল না । সে ওখান থেকে বেরিয়ে কোনওরকমে চলে যায় সোজা পর্ণশ্রী থানায় । তখন রীতিমতো বিধ্বস্ত সে । কোনরকমে ডিউটি অফিসারকে গতরাতের সব কথা জানায় । ওই কিশোরী মানসিকভাবে এতটাই বিধ্বস্ত যে তাকে সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি তদন্তকারী অফিসারেরা । সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করার পর ওই চারজনের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । আজ সঞ্জয়কে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ ।

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি : পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল । সেভাবেই পর্ণশ্রী থেকে একবালপুরের ফ্ল্যাটটিতে নিয়ে আসা হয় ক্লাস সেভেনের ওই ছাত্রীকে । সেখানেই একপ্রকার জোর করে তাকে মদ পান করানো হয়। তখন রাত প্রায় ন'টা । তারপর তার উপর একে একে ঝাঁপিয়ে পড়ে সবাই । জেরায় এই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের কাছে । যদিও নির্যাতিতাকে এখনও পর্যন্ত সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। কারণ সে মানসিকভাবে একেবারেই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে ।

স্কুলে যাতায়াতের সূত্র ধরে অমরজিৎ চৌপাল ওরফে রাহুল (21) ও মনোজ শর্মা সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিতি ছিল ওই কিশোরীর । রাহুলের বাড়ি মহেশতলা এলাকায় । মনোজ পর্নশ্রীর বাসিন্দা । এই দু'জনের সঙ্গেই ওই দিন সন্ধ্যায় বের হয়েছিল কিশোরী। বাইক চালাচ্ছিল রাহুল । মাঝখানে বসানো হয়েছিল ওই কিশোরীকে । তারপর সোজা নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুরের 4/3/H/51 ভূকৈলাশ রোডের ফ্ল‍্যাটটিতে ।

ekbalpur case
প্রথমে ধরা পড়ে চার অভিযুক্ত

ওই ফ্ল‍্যাটটি সঞ্জয় মিরধার মায়ের । যদিও সে মায়ের সঙ্গে থাকে 21/1 ময়ূরভঞ্জ রোডে । ভূকৈলাশ রোডের ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই থাকত । মায়ের কাছ থাকত ওই ফ্ল্যাটের চাবি ৷ সেই চাবি আগে থেকেই নিজের কাছে রেখেছিল সঞ্জয় । ওই দিন সন্ধে থেকেই একবালপুরের ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিল 24 বছরের বিকাশ মল্লিক, সঞ্জয় মিরধা (28) ও তাদের বন্ধু রাঁচির ঋত্বিক রাম(19) । তারা আগে থেকেই মদ খেয়ে ছিল । কিশোরীকে নিয়ে রাত ন'টা নাগাদ ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছায় রাহুল ও মনোজ । এরপর পরিকল্পনা মতোই শুধুমাত্র আনন্দ করার কথা বলে কিশোরীকে মদ পান করানো হয় । নেশাগ্রস্ত হয়ে গেলে ওই কিশোরীর উপর একে একে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা । তখন অবশ্য সঞ্জয় ওই ঘরে ছিল না বলেই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ । পাশের একটি ঘরে বসে সে মদ্যপান করছিল । রাতভর চলে অত্যাচার ।

Ekbalpur assault
পঞ্চম অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ


সকাল ন'টা নাগাদ হুঁশ ফেরে কিশোরীর । তখন ওই ঘরে কেউ ছিল না । সে ওখান থেকে বেরিয়ে কোনওরকমে চলে যায় সোজা পর্ণশ্রী থানায় । তখন রীতিমতো বিধ্বস্ত সে । কোনরকমে ডিউটি অফিসারকে গতরাতের সব কথা জানায় । ওই কিশোরী মানসিকভাবে এতটাই বিধ্বস্ত যে তাকে সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি তদন্তকারী অফিসারেরা । সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করার পর ওই চারজনের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । আজ সঞ্জয়কে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ ।

Intro:
কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল। সেভাবেই পর্ণশ্রী থেকে একবালপুরের ফ্ল্যাটটিতে নিয়ে আসা হয় সপ্তম শ্রেণীর ওই পড়ুয়াকে। ওই ঘরে আগে থেকেই মজুদ ছিল মদ। ছাত্রী আসার পর তাকে খাওয়ানো হয় সেটা। তখন রাত প্রায় ন'টা। তারপর একে একে ঝাঁপিয়ে পড়ে সবাই। জেরায় এমনই সব তথ্য পাচ্ছে তদন্তকারীরা। যদিও নিগৃহীতাকে এখনো পর্যন্ত সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। কারণ সে মানসিকভাবে একেবারেই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।



Body:স্কুলে যাতায়াতের সূত্র ধরেই অমরজিৎ চৌপাল ওরফে রাহুল(21) এবং মনোজ শর্মা সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিতি ছিল ওই মহিলার। রাহুলের বাড়ি মহেশতলা এলাকায়। মনোজ পর্নশ্রী এলাকার বাসিন্দা। এই দুজনের সঙ্গেই সন্ধ্যায় বের হয় নিগৃহীতা। বাইক চালায় রাহুল। মাঝখানে বসানো হয় সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে। তারপর সোজা নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুরের 4/3/H/51 ভূকৈলাস রোডের ফ্ল‍্যাটটিতে। ওই ফ্ল‍্যাটটি সঞ্জয় মিরধার মায়ের। যদিও সে মায়ের সঙ্গে থাকে 21/1 ময়ূরভঞ্জ রোডে। ভূকৈলাশ রোডের ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই থাকে। মায়ের কাছ থেকে ওই ফ্লাটের চাবি আগে থেকেই নিয়ে দেখেছিল সঞ্জয়। সন্ধ্যা থেকেই হাজির ছিল একবালপুরের 24 বছরের বিকাশ মল্লিক, সঞ্জয় মিরধা(28) এবং তাদের বন্ধু রাঁচির ঋত্বিক রাম(19)। তারা আগে থেকেই এদের রেখেছিল হুইস্কি। ওই নাবালিকাকে নিয়ে রাত ন'টা নাগাদ ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছায় রাহুল এবং মনোজ। পরিকল্পনা মতোই এরপর শুধুমাত্র আনন্দ করার কথা বলে ওই নাবালিকাকে পান করানো হয় মদ। নেশাগ্রস্ত হয়ে গেলে ওই নাবালিকার ওপর একেএকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। তখন অবশ্য সঞ্জয় ওই ঘরে ছিল না বলেই জেনেছে পুলিশ। পাশের একটি ঘরে বসে সে মদ্যপান করছিল। রাতভর চলে অত্যাচার।


Conclusion:সকাল ন'টা নাগাদ হুঁশ ফেরে ওই নাবালিকার। তখন ওই ঘরে কেউ ছিল না। সে ওইখান থেকে বেরিয়ে কোনো রকমে চলে যায় সোজা পর্ণশ্রী থানায়। তখন রীতিমতো বিধ্বস্ত সে। কোনরকমে ডিউটি অফিসারকে সব কথা জানায়। ওই নাবালিকা মানসিকভাবে এতটাই বিধ্বস্ত যে তাকে সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি তদন্তকারী অফিসার। ধৃত সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করার পর ওই চারজনের মুখোমুখি জিজার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল সঞ্জয়কে আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে।
Last Updated : Feb 9, 2020, 8:10 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.