ETV Bharat / city

Bengal BJP : শাহী-সফরের জন্যই কি কেন্দ্রীয় নির্দেশে বঙ্গ বিজেপিতে ঐক্যের ছবি ?

বিজেপিতে আচমকা ঐক্যের ছবি দেখা যাচ্ছে ৷ তাহলে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Factionalism in BJP) এখন অতীত, উঠছে প্রশ্ন ৷

is factionalism in bjp ends after central leadership direction
Bengal BJP : শাহী-সফরের জন্যই কি কেন্দ্রীয় নির্দেশে বঙ্গ বিজেপিতে ঐক্যের ছবি ?
author img

By

Published : Apr 29, 2022, 9:37 PM IST

কলকাতা, 29 এপ্রিল : গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে পিছনে ফেলে কি বিজেপি ফের ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ? নাকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে একতার ছবি কর্মীদের কাছে দেখাতে বাধ্য হচ্ছেন নেতারা ? আপাতত এই দু’টি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে (is factionalism in bjp ends after central leadership direction?) ৷ একেবারে বুথস্তরের কর্মী থেকে রাজ্যস্তরের মেজ-সেজ নেতারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে উৎসুক ৷

সম্প্রতি একটি কর্মসূচিতে একমঞ্চে দেখা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Bengal BJP Chief Sukanta Majumder), জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP National Vice President Amit Shah) ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে (BJP MP Locket Chatterjee) ৷ তাঁরা একসঙ্গে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন ৷ আক্রমণ শানিয়েছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে ৷

অথচ গত কয়েকমাসে এই নেতারাই কখনও দলের অন্দরে, কখনও প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ৷ দলের বিভিন্ন কর্মপন্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ৷ সেই কারণেই একেবারে শুরুতে উল্লেখিত দু‘টি প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে ৷ যদিও সুকান্ত মজুমদার গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি মানতে নারাজ ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই ।’’

যদিও বিজেপির একটি সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির পণ্ডিত দিনদয়াল মার্গে বিজেপির সদর দফতরকে নির্দেশ এসেছে ৷ নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (BJP National President JP Nadda) ৷ বঙ্গ বিজেপিকে একজোট লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন তিনি ৷ তার পরই দ্বন্দ্ব ভুলে নেতারা হাতে হাত রেখে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন আবার ৷

ওই সূত্র বলছে যে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সম্প্রতি দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন নাড্ডা ৷ তাঁকে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মোদি-শাহের দলের সভাপতি ৷ পাশাপাশি কলকাতায় বিজেপির সদর কার্যালয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ দিলীপ-সুকান্তকে একসঙ্গে বিজেপির পুরনো ও নতুন কর্মীদের নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি ৷

প্রশ্ন উঠছে, গত কয়েকমাস ধরেই বিজেপির অন্দরে ডামাডোল চলছে ৷ সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর যে যে কমিটি গুলি তৈরি করেছেন, তা নিয়ে বিভিন্ন স্তরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে ৷ কেউ দলের অন্দরে বলেছেন ৷ আবার কেউ প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন ৷ এতদিন ধরে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে হঠাৎ এখন কেন সকলকে একজোট করতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ৷ উঠছে প্রশ্ন ৷

বিজেপির একটি সূত্রের খবর, আগামী মে মাসে বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) ৷ তিনি যেমন সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, তেমনই দলের বিভিন্নস্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন ৷ সেই কারণে শাহী-সফরের আগে বিতর্কে ইতি টানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুকান্ত, দিলীপদের ৷

তবে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি সর্বভারতীয় দল । তাই দিল্লির অফিস আমাদের হেডকোয়ার্টার । তাই এটা রুটিন নির্দেশ । আলাদা কিছু নয় ৷"

আরও পড়ুন : Sukanta on Arjun : বেসুরো নন, এলাকার সমস্যার কথা তুলে ধরছেন অর্জুন : সুকান্ত

কলকাতা, 29 এপ্রিল : গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে পিছনে ফেলে কি বিজেপি ফের ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ? নাকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে একতার ছবি কর্মীদের কাছে দেখাতে বাধ্য হচ্ছেন নেতারা ? আপাতত এই দু’টি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে (is factionalism in bjp ends after central leadership direction?) ৷ একেবারে বুথস্তরের কর্মী থেকে রাজ্যস্তরের মেজ-সেজ নেতারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে উৎসুক ৷

সম্প্রতি একটি কর্মসূচিতে একমঞ্চে দেখা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Bengal BJP Chief Sukanta Majumder), জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP National Vice President Amit Shah) ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে (BJP MP Locket Chatterjee) ৷ তাঁরা একসঙ্গে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন ৷ আক্রমণ শানিয়েছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে ৷

অথচ গত কয়েকমাসে এই নেতারাই কখনও দলের অন্দরে, কখনও প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ৷ দলের বিভিন্ন কর্মপন্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ৷ সেই কারণেই একেবারে শুরুতে উল্লেখিত দু‘টি প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে ৷ যদিও সুকান্ত মজুমদার গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি মানতে নারাজ ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই ।’’

যদিও বিজেপির একটি সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির পণ্ডিত দিনদয়াল মার্গে বিজেপির সদর দফতরকে নির্দেশ এসেছে ৷ নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (BJP National President JP Nadda) ৷ বঙ্গ বিজেপিকে একজোট লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন তিনি ৷ তার পরই দ্বন্দ্ব ভুলে নেতারা হাতে হাত রেখে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন আবার ৷

ওই সূত্র বলছে যে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সম্প্রতি দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন নাড্ডা ৷ তাঁকে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মোদি-শাহের দলের সভাপতি ৷ পাশাপাশি কলকাতায় বিজেপির সদর কার্যালয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ দিলীপ-সুকান্তকে একসঙ্গে বিজেপির পুরনো ও নতুন কর্মীদের নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি ৷

প্রশ্ন উঠছে, গত কয়েকমাস ধরেই বিজেপির অন্দরে ডামাডোল চলছে ৷ সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর যে যে কমিটি গুলি তৈরি করেছেন, তা নিয়ে বিভিন্ন স্তরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে ৷ কেউ দলের অন্দরে বলেছেন ৷ আবার কেউ প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন ৷ এতদিন ধরে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে হঠাৎ এখন কেন সকলকে একজোট করতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ৷ উঠছে প্রশ্ন ৷

বিজেপির একটি সূত্রের খবর, আগামী মে মাসে বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) ৷ তিনি যেমন সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, তেমনই দলের বিভিন্নস্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন ৷ সেই কারণে শাহী-সফরের আগে বিতর্কে ইতি টানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুকান্ত, দিলীপদের ৷

তবে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি সর্বভারতীয় দল । তাই দিল্লির অফিস আমাদের হেডকোয়ার্টার । তাই এটা রুটিন নির্দেশ । আলাদা কিছু নয় ৷"

আরও পড়ুন : Sukanta on Arjun : বেসুরো নন, এলাকার সমস্যার কথা তুলে ধরছেন অর্জুন : সুকান্ত

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.