ETV Bharat / city

টালিগঞ্জ থানায় পুলিশ নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেপ্তার 4, সরানো হতে পারে OC-কেও - টালিগঞ্জ থানায় পুলিশ নিগ্রহের ঘটনায় সরানো হতে পারে OC অনুপ ঘোষকে

টালিগঞ্জ থানায় পুলিশকে নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেপ্তার 4 । খোঁজ চলছে বাকিদের । লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনায় টালিগঞ্জ থানার OC অনুপ ঘোষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়েছে । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) মানেননি । তার জেরেই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে । এমনকী তাঁকে ওই থানার OC পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ।

ফাইল ছবি
author img

By

Published : Aug 14, 2019, 2:41 AM IST

কলকাতা, 14 অগাস্ট : টালিগঞ্জ থানায় পুলিশকে নিগ্রহের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে । খোঁজ চলছে আরও কয়েকজনের । নানা জায়গায় চালানো হয় চিরুনি তল্লাশি । পুলিশের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশের পর মাঠে নেমেছে গুণ্ডা-দমন শাখাও । যার ফল মিলেছে হাতেনাতে । অন্যদিকে লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনায় টালিগঞ্জ থানার OC অনুপ ঘোষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়েছে । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) মানেননি । তার জেরেই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে । এমনকী তাঁকে ওই থানার OC পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ।

আরও পড়ুন : টালিগঞ্জ থানা থেকে যুবককে ছাড়ানোর চেষ্টা, উর্দি ধরে টান

পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুতুল হালদার এবং পূর্ণিমা দাসকে । সেই সঙ্গে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে । যদিও তাদের নাম এখনও সামনে আনেনি পুলিশ । ঘটনার CCTV ফুটেজে পরিষ্কার দেখা গেছে পুতুল হালদারকে । চেতলার মাটালিবাগানে প্রথমবার অভিযান চালিয়ে পুতুলের প্রতাপ টের পেয়েছিল পুলিশ । ওই বস্তিতে পুতুল খুবই প্রভাবশালী । রাজনৈতিক নেতাদের হাত রয়েছে তার মাথার উপর । এর আগেও নাকি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে । সেটাও ঝামেলার কারণেই । আর এই পুতুল দাসের ভাইপো রণজয় হালদার, যাকে মত্ত অবস্থায় বাইক চালানোর অভিযোগে 11 তারিখ রাতে আটক করেছিল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ ।

আরও পড়ুন : টালিগঞ্জ থানায় পুলিশ নিগ্রহে রেয়াত নয়, দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের

রণজয়কে আটকের খবর পেয়ে থানায় আসে তার পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা । পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তাদের । দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় । এক পুলিশকর্মীর উর্দি ধরে টানা হয় । রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত থানার সামনে চলে ঝামেলা । পরে আটক যুবককে ছেড়ে দেওয়া হলে পরিস্থিতি শান্ত হয় । যুবকের পরিবারের অভিযোগ ছিল, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা নেশা করে ছিলেন । সেই কারণেই রণজয়কে মারধর করা হয় । প্রতিবাদ জানাতে গেলে মহিলাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ । এ নিয়ে তারা টালিগঞ্জ থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে । অন্যদিকে এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ ।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে DC সাউথের রিপোর্ট চান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । পাশাপাশি যুগ্ম-কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মাকে ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি । মুরলীধর শর্মা নিজে টালিগঞ্জ থানায় যান । উপস্থিত সমস্ত পুলিশকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন । খতিয়ে দেখেন CCTV ফুটেজ । সেই ফুটেজ থেকেই আকাশ এবং গুল্লু নামে দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ । গতকাল সন্ধ্যায় চেতলা রোডে ওই দু'জনের বাড়ির সামনে হানা দেয় পুলিশ । সেখানেও বাধার মুখে পড়তে হয় । পুতুল বাহিনী রীতিমতো ঘিরে ফেলে পুলিশকে । তবে শেষরক্ষা হয়নি । পুতুল এবং তার শাগরেদ পূর্ণিমা ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে । বাকি দু'জন আকাশ এবং গুল্লু কি না, তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি । তবে লালবাজার জানাচ্ছে, ওই দিন যারা ঝামেলা পাকিয়ে ছিল তাদের কাউকে ছাড়া হবে না ।

কলকাতা, 14 অগাস্ট : টালিগঞ্জ থানায় পুলিশকে নিগ্রহের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে । খোঁজ চলছে আরও কয়েকজনের । নানা জায়গায় চালানো হয় চিরুনি তল্লাশি । পুলিশের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশের পর মাঠে নেমেছে গুণ্ডা-দমন শাখাও । যার ফল মিলেছে হাতেনাতে । অন্যদিকে লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনায় টালিগঞ্জ থানার OC অনুপ ঘোষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়েছে । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) মানেননি । তার জেরেই কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে । এমনকী তাঁকে ওই থানার OC পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ।

আরও পড়ুন : টালিগঞ্জ থানা থেকে যুবককে ছাড়ানোর চেষ্টা, উর্দি ধরে টান

পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুতুল হালদার এবং পূর্ণিমা দাসকে । সেই সঙ্গে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে । যদিও তাদের নাম এখনও সামনে আনেনি পুলিশ । ঘটনার CCTV ফুটেজে পরিষ্কার দেখা গেছে পুতুল হালদারকে । চেতলার মাটালিবাগানে প্রথমবার অভিযান চালিয়ে পুতুলের প্রতাপ টের পেয়েছিল পুলিশ । ওই বস্তিতে পুতুল খুবই প্রভাবশালী । রাজনৈতিক নেতাদের হাত রয়েছে তার মাথার উপর । এর আগেও নাকি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে । সেটাও ঝামেলার কারণেই । আর এই পুতুল দাসের ভাইপো রণজয় হালদার, যাকে মত্ত অবস্থায় বাইক চালানোর অভিযোগে 11 তারিখ রাতে আটক করেছিল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ ।

আরও পড়ুন : টালিগঞ্জ থানায় পুলিশ নিগ্রহে রেয়াত নয়, দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের

রণজয়কে আটকের খবর পেয়ে থানায় আসে তার পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা । পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তাদের । দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় । এক পুলিশকর্মীর উর্দি ধরে টানা হয় । রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত থানার সামনে চলে ঝামেলা । পরে আটক যুবককে ছেড়ে দেওয়া হলে পরিস্থিতি শান্ত হয় । যুবকের পরিবারের অভিযোগ ছিল, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা নেশা করে ছিলেন । সেই কারণেই রণজয়কে মারধর করা হয় । প্রতিবাদ জানাতে গেলে মহিলাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ । এ নিয়ে তারা টালিগঞ্জ থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে । অন্যদিকে এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ ।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে DC সাউথের রিপোর্ট চান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । পাশাপাশি যুগ্ম-কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মাকে ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি । মুরলীধর শর্মা নিজে টালিগঞ্জ থানায় যান । উপস্থিত সমস্ত পুলিশকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন । খতিয়ে দেখেন CCTV ফুটেজ । সেই ফুটেজ থেকেই আকাশ এবং গুল্লু নামে দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ । গতকাল সন্ধ্যায় চেতলা রোডে ওই দু'জনের বাড়ির সামনে হানা দেয় পুলিশ । সেখানেও বাধার মুখে পড়তে হয় । পুতুল বাহিনী রীতিমতো ঘিরে ফেলে পুলিশকে । তবে শেষরক্ষা হয়নি । পুতুল এবং তার শাগরেদ পূর্ণিমা ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে । বাকি দু'জন আকাশ এবং গুল্লু কি না, তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি । তবে লালবাজার জানাচ্ছে, ওই দিন যারা ঝামেলা পাকিয়ে ছিল তাদের কাউকে ছাড়া হবে না ।

Intro:কলকাতা, ১৩ অগাস্ট: গতরাতে নানা জায়গায় চালানো হয় চিরুনি তল্লাশি। পুলিশের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশের পর মাঠে নেমেছে গুন্ডা দমন শাখাও। আর তার ফল মিলেছে হাতেনাতে। পুলিশ নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 4 জনকে। খোঁজ চলছে আরও কয়েকজনের। এদিকে, টালিগঞ্জ থানার ওসি অনুপ ঘোষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়েছে লালবাজারে। সূত্র জানাচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর(SOP) মানেননি। আর তার জেরেই তাকে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। এমন কি তাকে ওই থানার ওসির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে খবর।


Body:পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুতুল হালদার এবং পূর্ণিমা দাসকে। একই সঙ্গে আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে। যদিও তাদের নাম এখনো সামনে আনেনি পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরিষ্কার দেখা যায় পুতুলকে। চেতলার মাটালিবাগানে প্রথম বার হানা দিয়ে পুতুলের প্রতাপটের পেয়েছিল পুলিশ। স্থানীয় সোর্স জানিয়েছিল, ওই বস্তিতে পুতুল খুবই প্রভাবশালী। রাজনৈতিক নেতাদের হাত রয়েছে তার মাথার উপর। এর আগেও নাকি গ্রেপ্তার হয়েছে সে। সেসব ও ঝামেলার কারণেই। এই পুতুলের ভাইপোকেই মদ্যপ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। তার জেরেই ঘটে গেছে এত বড় ঘটনা।


ঘটনা রবিবার রাতের। মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালানোর অভিযোগে রনজয় হালদার নামে এক যুবককে আটক করে টালীগঞ্জ থানা। শহর জুড়ে একের পর এক ঘটনার জেরে এমনিতেই রাতের কলকাতায় তৎপর রয়েছে পুলিশ। সেই সূত্রেই রনজয়কে আটক করা হয়। খবর পেয়ে ওই যুবকের বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশিরা চলে আসেন টালীগঞ্জ থানায়। আটক রনজয়কে মারধরের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়রা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা। চলে ধস্তাধস্তি। এক পুলিশকর্মীকে রীতিমতো উর্দি ধরে টেনে মারধর করা হয়। অশান্ত পরিস্থিতিতে টালীগঞ্জ থানা বাধ্য হয় ওই যুবককে ছেড়ে দিতে। আটক যুবকের পরিবারের অভিযোগ ছিল, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিলেন। সেই কারণেই রনজয়কে মারধর করা হয়। তার প্রতিবাদ জানাতে গেলে মহিলাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে তারা কালিগঞ্জ থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।


Conclusion:ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে DC সাউথের রিপোর্ট চান পুলিশ কমিশনার। পাশাপাশি যুগ্ম-কমিশনার অপরাধ মুরলীধর শর্মাকে ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। মুরলীধর নিজে টালীগঞ্জ থানায় যান। উপস্থিত সমস্ত পুলিশকর্মীদের থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন। খতিয়ে দেখেন থানায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজ থেকেই আকাশ এবং গুল্লু নামে দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। গত সন্ধ্যায় চেতলা রোডে ওই দুজনের বাড়ির সামনে হানা দেয় পুলিশ। সেখানেও বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। পুতুল বাহিনী রীতিমতো ঘিরে ফেলে পুলিশকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুতুল এবং তার শাগরেদ পূর্ণিমা ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে। বাকি দুজন আকাশ এবং গুল্লু কিনা তা অবশ্য এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে লালবাজার জানাচ্ছে ওই দিন জানা ঝামেলা পাকিয়ে ছিল তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.