কলকাতা, 12 নভেম্বর: COVID-19-এর চিকিৎসায় লাগামহীন বিলের অভিযোগে কলকাতার নাম করা দুই বেসরকারি হাসপাতালকে মোটা অঙ্কের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)। রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, COVID-19 রোগীদের চিকিৎসার খরচ হিসাবে তৈরি বিলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ এবং এই কমিশনের অ্যাডভাইসরি অমান্য করেছে ওই দুই বেসরকারি হাসপাতাল।
ওই দুই বেসরকারি হাসপাতালের একটি আনন্দপুরে এবং অন্যটি নিউ আলিপুরে অবস্থিত। রাজ্যের এই স্বাস্থ্যকমিশন জানিয়েছে, COVID-19-এ আক্রান্ত কলকাতার বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে নিউ আলিপুরের বেসরকারি ওই হাসপাতালে গত 6 জুলাই ভরতি করানো হয়েছিল। ওই হাসপাতালে তিনি গত 20 জুলাই পর্যন্ত ভরতি ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ হিসাবে ওই হাসপাতালে বিল করা হয় 4 লাখ 34 হাজার 800 টাকা। এই বিল নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। কমিশন জানিয়েছে, এই বিলের কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই বিলে দেখানো হয়েছে, চিকিৎসকের চার্জ হিসাবে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এটা সরকারি নির্দেশে বেধে দেওয়া চার্জের দ্বিগুণ।
শুধুমাত্র তাই নয়। এই বিলের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, COVID-19-এর প্রোটেকশন চার্জ হিসাবে প্রতিদিন 5 হাজার 500 টাকা করে নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন 4 হাজার টাকা আইসোলেশনের চার্জ হিসাবে নেওয়া হয়েছে। RMO-র জন্য প্রতিদিন 1 হাজার 500 টাকা করে চার্জ নেওয়া হয়েছে। ডায়াটিশিয়ানের প্রতিবার ভিজিটের জন্য 1 হাজার 750 টাকা করে চার্জ নেওয়া হয়েছে। মার্কেট রেটের সঙ্গে তুলনায় প্যাথলজির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে চার্জ অনেক বেশি নেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী এই বিল 2.5 লাখ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। অভিযোগকারীর বক্তব্যকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। ওই বিল থেকে 1 লাখ 84 হাজার 800 টাকা বেসরকারি ওই হাসপাতালকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, COVID-19-এ আক্রান্ত হাওড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে গত 16 জুলাই ভরতি করানো হয়েছিল আনন্দপুরের বেসরকারি এক হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে তিনি গত 3 অগাস্ট পর্যন্ত ছিলেন। এই রোগীর চিকিৎসার খরচ হিসাবে বেসরকারি ওই হাসপাতালে যে বিল করা হয়েছে, সেখানে রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইসরি মানা হয়নি। এ কথার পাশাপাশি এই কমিশন জানিয়েছে, ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, চিকিৎসার সহযোগী বিভিন্ন সামগ্রীর ক্ষেত্রে অনেক বেশি চার্জ ধরা হয়েছে এই বিলে। প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এই বিলে 1 লাখ 67 হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ডায়াবেটিসের জন্য প্রতিদিন 20 বার করে রক্ত পরীক্ষার খরচ ধরা হয়েছে এই বিলে।
কমিশন জানিয়েছে, আনন্দপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে এই রোগীর চিকিৎসার খরচ হিসাবে যে বিল দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রোগীর পরিজনরা দিয়েছেন 1 লাখ 59 হাজার টাকা ৷ বিমা সংস্থা দিয়েছে 7 লাখ 84 হাজার টাকা। এই বিল থেকে 1 লাখ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বেসরকারি ওই হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন।
কোরোনার চিকিৎসায় লাগামহীন বিল, দুই হাসপাতালকে মোটা অঙ্কের টাকা ফেরানোর নির্দেশ কমিশনের - কোরোনার চিকিৎসায় লাগামহীন বিল
লাগামহীন বিলের অভিযোগ কোরোনা রোগীদের চিকিৎসায় ৷ এজন্য দুই বেসরকারি হাসপাতালকে মোটা অঙ্কের টাকা ফেরতের নির্দেশ কমিশনের ৷
কলকাতা, 12 নভেম্বর: COVID-19-এর চিকিৎসায় লাগামহীন বিলের অভিযোগে কলকাতার নাম করা দুই বেসরকারি হাসপাতালকে মোটা অঙ্কের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)। রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, COVID-19 রোগীদের চিকিৎসার খরচ হিসাবে তৈরি বিলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ এবং এই কমিশনের অ্যাডভাইসরি অমান্য করেছে ওই দুই বেসরকারি হাসপাতাল।
ওই দুই বেসরকারি হাসপাতালের একটি আনন্দপুরে এবং অন্যটি নিউ আলিপুরে অবস্থিত। রাজ্যের এই স্বাস্থ্যকমিশন জানিয়েছে, COVID-19-এ আক্রান্ত কলকাতার বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে নিউ আলিপুরের বেসরকারি ওই হাসপাতালে গত 6 জুলাই ভরতি করানো হয়েছিল। ওই হাসপাতালে তিনি গত 20 জুলাই পর্যন্ত ভরতি ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ হিসাবে ওই হাসপাতালে বিল করা হয় 4 লাখ 34 হাজার 800 টাকা। এই বিল নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। কমিশন জানিয়েছে, এই বিলের কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই বিলে দেখানো হয়েছে, চিকিৎসকের চার্জ হিসাবে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এটা সরকারি নির্দেশে বেধে দেওয়া চার্জের দ্বিগুণ।
শুধুমাত্র তাই নয়। এই বিলের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, COVID-19-এর প্রোটেকশন চার্জ হিসাবে প্রতিদিন 5 হাজার 500 টাকা করে নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন 4 হাজার টাকা আইসোলেশনের চার্জ হিসাবে নেওয়া হয়েছে। RMO-র জন্য প্রতিদিন 1 হাজার 500 টাকা করে চার্জ নেওয়া হয়েছে। ডায়াটিশিয়ানের প্রতিবার ভিজিটের জন্য 1 হাজার 750 টাকা করে চার্জ নেওয়া হয়েছে। মার্কেট রেটের সঙ্গে তুলনায় প্যাথলজির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে চার্জ অনেক বেশি নেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী এই বিল 2.5 লাখ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। অভিযোগকারীর বক্তব্যকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। ওই বিল থেকে 1 লাখ 84 হাজার 800 টাকা বেসরকারি ওই হাসপাতালকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, COVID-19-এ আক্রান্ত হাওড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে গত 16 জুলাই ভরতি করানো হয়েছিল আনন্দপুরের বেসরকারি এক হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে তিনি গত 3 অগাস্ট পর্যন্ত ছিলেন। এই রোগীর চিকিৎসার খরচ হিসাবে বেসরকারি ওই হাসপাতালে যে বিল করা হয়েছে, সেখানে রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইসরি মানা হয়নি। এ কথার পাশাপাশি এই কমিশন জানিয়েছে, ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, চিকিৎসার সহযোগী বিভিন্ন সামগ্রীর ক্ষেত্রে অনেক বেশি চার্জ ধরা হয়েছে এই বিলে। প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এই বিলে 1 লাখ 67 হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ডায়াবেটিসের জন্য প্রতিদিন 20 বার করে রক্ত পরীক্ষার খরচ ধরা হয়েছে এই বিলে।
কমিশন জানিয়েছে, আনন্দপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে এই রোগীর চিকিৎসার খরচ হিসাবে যে বিল দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রোগীর পরিজনরা দিয়েছেন 1 লাখ 59 হাজার টাকা ৷ বিমা সংস্থা দিয়েছে 7 লাখ 84 হাজার টাকা। এই বিল থেকে 1 লাখ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বেসরকারি ওই হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন।