ETV Bharat / city

ভেষজ আবির-রংও ক্ষতিকর, সাবধানে খেলার পরামর্শ চিকিৎসকের - colour

রং এবং আবির। তা সে ভেষজ হোক অথবা রাসায়নিক মিশ্রিত। উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। যদিও রাসায়নিক মিশ্রিত রং এবং আবিরের তুলনায় কম ক্ষতিকারক ভেষজ আবির, রং। তবে, রং খেলায় মেতে ওঠার সময় নিজেকেই সাবধানে থাকতে হবে। ছোটোদেরও রাখতে হবে সাবধানে।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Mar 21, 2019, 6:41 AM IST

কলকাতা, 21 মার্চ : রং এবং আবির। তা সে ভেষজ হোক অথবা রাসায়নিক মিশ্রিত। উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। যদিও রাসায়নিক মিশ্রিত রং এবং আবিরের তুলনায় কম ক্ষতিকারক ভেষজ আবির, রং। তবে, রং খেলায় মেতে ওঠার সময় নিজেকেই সাবধানে থাকতে হবে। ছোটোদেরও রাখতে হবে সাবধানে। এমনই পরামর্শ দিলেন বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক চক্রবর্তী।

দোলযাত্রায় যে রং খেলা হয়, তার দুটো প্রকার আছে। একটি রং, যাকে আবির বলা হয়। অন্য একটি, যাতে বিভিন্ন ধরনের কেমিকাল ব্যবহার করা হয়। এই রং জলে গুলে অথবা অন্য কোনও মাধ্যমের সঙ্গে মিশিয়ে মাখানো হয়। দুটি ক্ষেত্রেই বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ কথা জানিয়ে চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "বিভিন্ন জায়গায় এখন আবিরের সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভেষজ আবিরের সঙ্গে হয়তো রাসায়নিক থাকছে না। কিন্তু যেটা রাসায়নিক মেশানো আবির, এটা ধোয়ার পরে দেখা যাচ্ছে অনেকক্ষণ ধরে রং থাকছে। এগুলো শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।"

তিনি বলেন, "দোলযাত্রার পরে এমন অনেক রোগী আসেন, যাঁদের অনেক দিন ধরে সর্দি-কাশি রয়েছে। এবং শুরু হয়েছিল রং খেলার পর থেকে। এক্ষেত্রে শ্বাসনালী সরু হয়ে যাওয়া, যাঁর হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট আছে, তাঁর সেগুলি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।" তিনি বলেন, "এটাও মাথায় রাখতে হবে, যাঁর অ্যাজমা বা হাঁপানি নেই, হঠাৎ করে রঙের সংস্পর্শে এলে তাঁরও অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে বেশ কিছু উগ্র, ক্ষতিকর কেমিকাল মেশানো থাকে যে রঙে।"

ভেষজ রং-ও কি তা হলে ক্ষতিকর? চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে যে সব রং তৈরি করা হয়, সেই তুলনায় ভেষজ রং কম ক্ষতিকর। চামড়ায় সমস্যা বা অন্যান্য রাসায়নিকের যে সমস্যা দেখা দেয়, এ সব হবে এমন ঝুঁকি নেই। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, আবির একটি ধুলো। যাঁর ডাস্ট অ্যালার্জি অর্থাৎ ধুলোয় অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আবিরও কিন্তু একটি ধুলো। আশপাশের বাতাসে ভাসমান যে ধুলোর মাত্রা থাকে, তার থেকে আবিরের ঘনত্ব অনেক বেশি। কারও ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলে, তাঁর ক্ষেত্রে আবির বেশি ক্ষতিকর।"

তা হলে উপায়? এই বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, "রং খেলবেন না, এটা বলা মুশকিল। রং খেলুন। কিন্তু নিজের ভালোটা বুঝে চলতে হবে। যিনি জানেন তাঁর ডাস্ট অ্যালার্জি রয়েছে বা বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা থেকে কোনও সমস্যা হয়, তাঁর পক্ষে রং না খেলাটাই বাঞ্ছনীয়।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "যদি কারও অজানা থাকে রং বা আবিরে তাঁর কোন
ও সমস্যা রয়েছে কি না, কিন্তু খেলার পরে দেখা গেল সমস্যা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ রয়েছে। এগুলো তিনি খেতে পারেন। এর ফলে সাময়িক উপকার হবে। দীর্ঘমেয়াদী উপকারও হবে। এই ওষুধ খাওয়ার পরও যদি সমস্যা না কমে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।"

ভেষজ আবির থেকে শুধুমাত্র ডাস্ট অ্যলার্জি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু ভেষজ নয়, এমন আবির, রং, যেখানে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কে, কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, তার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বিভিন্ন দোকানে রাসায়নিক মিশিয়ে যে সব রং বিক্রি হচ্ছে, সেগুলির কোয়ালিটি চেক হয় বলেও মনে হয় না। এ কথা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, "এর ফলে ঠিক কোন কোন ধরনের রাসায়নিক মেশানো হয়েছে, সঠিকভাবে তা জানা থাকে না। প্রতিটি রাসায়নিকের বিভিন্ন রকমের বিক্রিয়া হতে পারে‌।"

সমস্যা কোথায় কোথায় দেখা দিতে পারে? চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "শুধু ফুসফুসে নয়। চামড়ায়ও সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় রং ওঠাতে সময় লাগে। সেই একই ধরনের রং যদি আবিরের সঙ্গে মেশানো হয় এবং সেটা যদি কোনওভাবে আমরা ইনহেল করে ফেলি। অর্থাৎ শ্বাসনালীতে নিয়ে ফেলি, সেই রং কিন্তু শ্বাসনালীতে গিয়ে বসে যেতে পারে। এটা শ্বাসনালীর ভিতরে সিলিয়া অর্থাৎ চুলের মতো এক ধরনের কাঠামো রয়েছে, যেটা আমাদের শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, শ্লেষ্মা তুলতে সাহায্য করে। এই ধরনের রাসায়নিক কিন্তু সিলিয়াগুলোকে নষ্ট করে দেয়। এর ফলে শ্লেষ্মা তোলার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "কেউ যদি একসঙ্গে অনেকটা এই ধরনের রাসায়নিক রং ইনহেল করে নেন অর্থাৎ শ্বাস নিয়ে ফেলেন, তাঁর ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।"

কী করা দরকার এই অবস্থায়? বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, "রাসায়নিক মেশানো রং একদম কঠোরভাবে যদি বর্জন করা যায়, তা হলে সব থেকে ভালো। যার কোনওরকমের শ্বাসনালী, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের আবির বা কোনও ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসাই উচিত নয়। একান্তই যদি সংস্পর্শে আসতে হয় এবং কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এই ওষুধে না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।" তিনি বলেন, "চোখেও রং ঢুকে গেলে খুব সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে আগে চোখ ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলা উচিত। অন্য কিছু ব্যবহার করা উচিত নয়। সাবানের সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। চোখের ভিতরটা পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে ধুতে হবে, যতক্ষণ না চোখ পরিষ্কার লাগছে। তারপরও যদি সমস্যা থাকে, সঙ্গে সঙ্গে চোখের চিকিৎসক অথবা কোনও হাসপাতালের এমারজেন্সিতে যোগাযোগ করা উচিত।"

সাধারণত কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়? এই চিকিৎসক বলেন, "সাধারণ সমস্যা সব থেকে বেশি হয় চামড়া সংক্রান্ত বিষয়ে। চামড়ায় অ্যালার্জি, চুলকানি। চোখে জল পড়া, চোখ চুলকোতে থাকে, চোখ লাল হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট, টানা হাঁচি বা কাশি হতে পারে। বুকের মধ্যে ভার লাগছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে অনেকটা রং ভিতরে চলে গেলে এবং যদি ওই রঙে রাসায়নিক মেশানো থাকে, সে ক্ষেত্রে ঘন কফ বা তার সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে, এমন সমস্যাও দেখা দিতে পারে।" এ সব ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং চোখ, চামড়ার ক্ষেত্রে জায়গাটা পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয় বলেও তিনি জানান।

ছোটোদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "ছোটোদের ক্ষেত্রে চোখে রং চলে যাওয়ার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। একজন মানুষ, অন্য মানুষের দিকে রং ছুড়ছেন। এই অবস্থায়, ছোটোদের উচ্চতা কম বলে তার চোখে রং ঢুকে যেতে পারে। এর ফলে ছোটোদের চোখে রং ঢুকে যাওয়ার সমস্যাটি খুব সাধারণ। শ্বাসনালীতে রং ঢুকে গেলে হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।" তিনি বলেন, "এই ধরনের পরিস্থিতিতে পরিষ্কার কোনও জায়গায় চুপচাপ যদি কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়, তা হলে কিছু সময়ের মধ্যে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া উচিত। যদি না হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।"

সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন? তিনি বলেন, "মানুষ রং খেলবে না এটা বলা মুশকিল। রং খেলবেন। কিন্তু সাবধানতার সঙ্গে খেলতে হবে। বিশেষ করে যে রংগুলি ক্ষতিকর এবং বাদুড়ে রং বলি, মানে অনেকক্ষণ থেকে যায়। এই রং চামড়ার পক্ষে ক্ষতিকর। এই রং শ্বাসনালীতে চলে গেলেও ক্ষতিকর। এই ধরনের রং যেন ব্যবহার না করা হয়।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "ভেষজ আবির যেগুলিকে বলা হচ্ছে, সেগুলি ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু যাঁর শ্বাসনালীর সমস্যা রয়েছে বা অ্যালার্জি রয়েছে, তিনি যেন সেই আবির ব্যবহার না করেন।"

কলকাতা, 21 মার্চ : রং এবং আবির। তা সে ভেষজ হোক অথবা রাসায়নিক মিশ্রিত। উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। যদিও রাসায়নিক মিশ্রিত রং এবং আবিরের তুলনায় কম ক্ষতিকারক ভেষজ আবির, রং। তবে, রং খেলায় মেতে ওঠার সময় নিজেকেই সাবধানে থাকতে হবে। ছোটোদেরও রাখতে হবে সাবধানে। এমনই পরামর্শ দিলেন বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক চক্রবর্তী।

দোলযাত্রায় যে রং খেলা হয়, তার দুটো প্রকার আছে। একটি রং, যাকে আবির বলা হয়। অন্য একটি, যাতে বিভিন্ন ধরনের কেমিকাল ব্যবহার করা হয়। এই রং জলে গুলে অথবা অন্য কোনও মাধ্যমের সঙ্গে মিশিয়ে মাখানো হয়। দুটি ক্ষেত্রেই বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ কথা জানিয়ে চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "বিভিন্ন জায়গায় এখন আবিরের সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভেষজ আবিরের সঙ্গে হয়তো রাসায়নিক থাকছে না। কিন্তু যেটা রাসায়নিক মেশানো আবির, এটা ধোয়ার পরে দেখা যাচ্ছে অনেকক্ষণ ধরে রং থাকছে। এগুলো শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।"

তিনি বলেন, "দোলযাত্রার পরে এমন অনেক রোগী আসেন, যাঁদের অনেক দিন ধরে সর্দি-কাশি রয়েছে। এবং শুরু হয়েছিল রং খেলার পর থেকে। এক্ষেত্রে শ্বাসনালী সরু হয়ে যাওয়া, যাঁর হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট আছে, তাঁর সেগুলি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।" তিনি বলেন, "এটাও মাথায় রাখতে হবে, যাঁর অ্যাজমা বা হাঁপানি নেই, হঠাৎ করে রঙের সংস্পর্শে এলে তাঁরও অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে বেশ কিছু উগ্র, ক্ষতিকর কেমিকাল মেশানো থাকে যে রঙে।"

ভেষজ রং-ও কি তা হলে ক্ষতিকর? চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে যে সব রং তৈরি করা হয়, সেই তুলনায় ভেষজ রং কম ক্ষতিকর। চামড়ায় সমস্যা বা অন্যান্য রাসায়নিকের যে সমস্যা দেখা দেয়, এ সব হবে এমন ঝুঁকি নেই। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, আবির একটি ধুলো। যাঁর ডাস্ট অ্যালার্জি অর্থাৎ ধুলোয় অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আবিরও কিন্তু একটি ধুলো। আশপাশের বাতাসে ভাসমান যে ধুলোর মাত্রা থাকে, তার থেকে আবিরের ঘনত্ব অনেক বেশি। কারও ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলে, তাঁর ক্ষেত্রে আবির বেশি ক্ষতিকর।"

তা হলে উপায়? এই বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, "রং খেলবেন না, এটা বলা মুশকিল। রং খেলুন। কিন্তু নিজের ভালোটা বুঝে চলতে হবে। যিনি জানেন তাঁর ডাস্ট অ্যালার্জি রয়েছে বা বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা থেকে কোনও সমস্যা হয়, তাঁর পক্ষে রং না খেলাটাই বাঞ্ছনীয়।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "যদি কারও অজানা থাকে রং বা আবিরে তাঁর কোন
ও সমস্যা রয়েছে কি না, কিন্তু খেলার পরে দেখা গেল সমস্যা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ রয়েছে। এগুলো তিনি খেতে পারেন। এর ফলে সাময়িক উপকার হবে। দীর্ঘমেয়াদী উপকারও হবে। এই ওষুধ খাওয়ার পরও যদি সমস্যা না কমে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।"

ভেষজ আবির থেকে শুধুমাত্র ডাস্ট অ্যলার্জি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু ভেষজ নয়, এমন আবির, রং, যেখানে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কে, কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, তার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বিভিন্ন দোকানে রাসায়নিক মিশিয়ে যে সব রং বিক্রি হচ্ছে, সেগুলির কোয়ালিটি চেক হয় বলেও মনে হয় না। এ কথা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, "এর ফলে ঠিক কোন কোন ধরনের রাসায়নিক মেশানো হয়েছে, সঠিকভাবে তা জানা থাকে না। প্রতিটি রাসায়নিকের বিভিন্ন রকমের বিক্রিয়া হতে পারে‌।"

সমস্যা কোথায় কোথায় দেখা দিতে পারে? চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "শুধু ফুসফুসে নয়। চামড়ায়ও সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় রং ওঠাতে সময় লাগে। সেই একই ধরনের রং যদি আবিরের সঙ্গে মেশানো হয় এবং সেটা যদি কোনওভাবে আমরা ইনহেল করে ফেলি। অর্থাৎ শ্বাসনালীতে নিয়ে ফেলি, সেই রং কিন্তু শ্বাসনালীতে গিয়ে বসে যেতে পারে। এটা শ্বাসনালীর ভিতরে সিলিয়া অর্থাৎ চুলের মতো এক ধরনের কাঠামো রয়েছে, যেটা আমাদের শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, শ্লেষ্মা তুলতে সাহায্য করে। এই ধরনের রাসায়নিক কিন্তু সিলিয়াগুলোকে নষ্ট করে দেয়। এর ফলে শ্লেষ্মা তোলার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "কেউ যদি একসঙ্গে অনেকটা এই ধরনের রাসায়নিক রং ইনহেল করে নেন অর্থাৎ শ্বাস নিয়ে ফেলেন, তাঁর ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।"

কী করা দরকার এই অবস্থায়? বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, "রাসায়নিক মেশানো রং একদম কঠোরভাবে যদি বর্জন করা যায়, তা হলে সব থেকে ভালো। যার কোনওরকমের শ্বাসনালী, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের আবির বা কোনও ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসাই উচিত নয়। একান্তই যদি সংস্পর্শে আসতে হয় এবং কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এই ওষুধে না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।" তিনি বলেন, "চোখেও রং ঢুকে গেলে খুব সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে আগে চোখ ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলা উচিত। অন্য কিছু ব্যবহার করা উচিত নয়। সাবানের সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। চোখের ভিতরটা পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে ধুতে হবে, যতক্ষণ না চোখ পরিষ্কার লাগছে। তারপরও যদি সমস্যা থাকে, সঙ্গে সঙ্গে চোখের চিকিৎসক অথবা কোনও হাসপাতালের এমারজেন্সিতে যোগাযোগ করা উচিত।"

সাধারণত কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়? এই চিকিৎসক বলেন, "সাধারণ সমস্যা সব থেকে বেশি হয় চামড়া সংক্রান্ত বিষয়ে। চামড়ায় অ্যালার্জি, চুলকানি। চোখে জল পড়া, চোখ চুলকোতে থাকে, চোখ লাল হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট, টানা হাঁচি বা কাশি হতে পারে। বুকের মধ্যে ভার লাগছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে অনেকটা রং ভিতরে চলে গেলে এবং যদি ওই রঙে রাসায়নিক মেশানো থাকে, সে ক্ষেত্রে ঘন কফ বা তার সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে, এমন সমস্যাও দেখা দিতে পারে।" এ সব ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং চোখ, চামড়ার ক্ষেত্রে জায়গাটা পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয় বলেও তিনি জানান।

ছোটোদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "ছোটোদের ক্ষেত্রে চোখে রং চলে যাওয়ার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। একজন মানুষ, অন্য মানুষের দিকে রং ছুড়ছেন। এই অবস্থায়, ছোটোদের উচ্চতা কম বলে তার চোখে রং ঢুকে যেতে পারে। এর ফলে ছোটোদের চোখে রং ঢুকে যাওয়ার সমস্যাটি খুব সাধারণ। শ্বাসনালীতে রং ঢুকে গেলে হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।" তিনি বলেন, "এই ধরনের পরিস্থিতিতে পরিষ্কার কোনও জায়গায় চুপচাপ যদি কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়, তা হলে কিছু সময়ের মধ্যে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া উচিত। যদি না হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।"

সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন? তিনি বলেন, "মানুষ রং খেলবে না এটা বলা মুশকিল। রং খেলবেন। কিন্তু সাবধানতার সঙ্গে খেলতে হবে। বিশেষ করে যে রংগুলি ক্ষতিকর এবং বাদুড়ে রং বলি, মানে অনেকক্ষণ থেকে যায়। এই রং চামড়ার পক্ষে ক্ষতিকর। এই রং শ্বাসনালীতে চলে গেলেও ক্ষতিকর। এই ধরনের রং যেন ব্যবহার না করা হয়।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "ভেষজ আবির যেগুলিকে বলা হচ্ছে, সেগুলি ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু যাঁর শ্বাসনালীর সমস্যা রয়েছে বা অ্যালার্জি রয়েছে, তিনি যেন সেই আবির ব্যবহার না করেন।"

Intro:কলকাতা, ২০ মার্চ: রং এবং, আবির। তা সে ভেষজ হোক অথবা, রাসায়নিক মিশ্রিত। উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। যদিও রাসায়নিক মিশ্রিত রং এবং আবিরের তুলনায় কম ক্ষতিকারক ভেষজ আবির, রং। তবে, রং খেলায় মেতে ওঠার সময় নিজেকেই সাবধানে থাকতে হবে। ছোটদেরও রাখতে হবে সাবধানে। এমনই পরামর্শ দিলেন বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক চক্রবর্তী।
Body:দোলযাত্রায় যে রং খেলা হয়, তার দুটো প্রকার আছে। একটি রং, যা শুধুমাত্র গায়ে মাখানো হয়। যেটাকে আবির, ফাগ বলা হয়। অন্য একটি, যেটা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এই রং জলে গুলে অথবা অন্য কোনও মাধ্যমের সঙ্গে মিশিয়ে মাখানো হয়। দুটি ক্ষেত্রেই বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ কথা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, "বিভিন্ন জায়গায় এখন আবিরের সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভেষজ আবিরের সঙ্গে হয়তো রাসায়নিক থাকছে না। কিন্তু যেটা রাসায়নিক মেশানো আবির, অনেকে আবিরের সঙ্গে রং ও মিশিয়ে দেন, এটা ধোয়ার পরে দেখা যাচ্ছে অনেকক্ষণ ধরে রং থাকছে। এগুলো শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।"

তিনি বলেন, "দোলযাত্রার পরে এমন অনেক রোগী পায়, যাঁদের অনেক দিন ধরে সর্দি-কাশি রয়েছে এবং শুরু হয়েছিল রং খেলার পর থেকে। এক্ষেত্রে শ্বাসনালী সরু হয়ে যাওয়া, যার হাঁপানি আছে বা শ্বাসকষ্ট আছে, তাঁর সেগুলি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।" এই চিকিৎসক বলেন, "এটাও মাথায় রাখতে হবে, যাঁর অ্যাজমা বা হাঁপানি নেই, হঠাৎ করে রঙের সংস্পর্শে এলে বিশেষ করে বেশ কিছু উগ্র, ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো থাকে রঙে, তা হলে তাঁরও কিন্তু হঠাৎ করে অ্যাজমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।"

ভেষজ রং-ও কি তা হলে ক্ষতিকর? চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "বিভিন্ন রাসায়নিক মিশিয়ে যে সব রং তৈরি করা হয়, সেই তুলনায় ভেষজ রং কম ক্ষতিকর। চামড়ায় সমস্যা বা অন্যান্য রাসায়নিকের যে সমস্যা দেখা দেয়, এ সব হবে এমন ঝুঁকি নেই। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, আবির একটি ধুলো। যার ডাস্ট অ্যালার্জি অর্থাৎ, ধুলোয় অ্যালার্জি রয়েছে, বহু মানুষ রয়েছেন যাদের ধুলো লাগলে হাঁচি-কাশি শুরু হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে আবিরও কিন্তু একটি ধুলো। আশপাশের বাতাসে ভাসমান যে ধুলোর মাত্রা থাকে, তার থেকে আবিরের ঘনত্ব অনেক বেশি। কারও ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলে, তাঁর ক্ষেত্রে আবির বেশি ক্ষতিকর।"

তা হলে, উপায়? এই বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, "রং খেলবেন না, এটা বলা মুশকিল। রং খেলুন। কিন্তু নিজের ভালোটা বুঝে চলতে হবে। যিনি জানেন তাঁর ডাস্ট অ্যালার্জি রয়েছে বা বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা থেকে কোনও সমস্যা হয়, তাঁর পক্ষে রং না খেলাটাই বাঞ্ছনীয়।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "যদি কারও অজানা থাকে রং বা আবিরে তাঁর কোন
ও সমস্যা রয়েছে কি না, কিন্তু খেলার পরে দেখা গেল সমস্যা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ রয়েছে।এগুলো তিনি খেতে পারেন। এর ফলে সাময়িক উপকার হবে। দীর্ঘমেয়াদী উপকারও হবে। এই ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি সমস্যা না কমে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।"

ভেষজ আবির থেকে শুধুমাত্র ডাস্ট অ্যলার্জি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু ভেষজ নয়, এমন আবির, রং, যেখানে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে কে, কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, তার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বিভিন্ন দোকানে রাসায়নিক মিশিয়ে যে সব রং বিক্রি হচ্ছে, সেগুলির কোয়ালিটি চেক হয় বলেও মনে হয় না। এ কথা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, "এর ফলে ঠিক কোন কোন ধরনের রাসায়নিক মেশানো হয়েছে, সঠিকভাবে তা জানা থাকে না। প্রতিটি রাসায়নিকের বিভিন্ন রকমের বিক্রিয়া হতে পারে‌।"

সমস্যা কোথায় কোথায় দেখা দিতে পারে? চিকিৎসা কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "শুধু ফুসফুসে নয়। চামড়ায়ও সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় রং ওঠাতে সময় লাগে। সেই একই ধরনের রং যদি আবিরের সঙ্গে মেশানো হয় এবং, সেটা যদি কোনওভাবে আমরা ইনহেল করে ফেলি অর্থাৎ, শ্বাসনালীতে নিয়ে ফেলি, সেই রং কিন্তু শ্বাসনালীতে গিয়ে বসে যেতে পারে। এটা শ্বাসনালীর ভিতরে সিলিয়া অর্থাৎ, চুলের মতো এক ধরনের কাঠামো রয়েছে, যেটা আমাদের শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, শ্লেষ্মা তুলতে সাহায্য করে। এই ধরনের রাসায়নিক কিন্তু সিলিয়াগুলোকে নষ্ট করে দেয়। এর ফলে শ্লেষ্মা তোলার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "কেউ যদি এক সঙ্গে অনেকটা এই ধরনের রাসায়নিক রং ইনহেল করে নেন অর্থাৎ, শ্বাস নিয়ে ফেলেন, তাঁর ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।"

কী করনীয়? বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, "রাসায়নিক মেশানো রং একদম কঠোরভাবে যদি বর্জন করা যায়, তা হলে সব থেকে ভালো। যার কোনও রকমের শ্বাসনালী, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের আবির বা কোনও ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসাই উচিত নয়। একান্তই যদি সংস্পর্শে আসতে হয়, এবং কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এই ওষুধে না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।" তিনি বলেন, "চোখেও রং ঢুকে গেলে খুব সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে আগে চোখ ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলা উচিত। অন্য কিছু ব্যবহার করা উচিত নয়। সাবানের সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। চোখের ভিতরটা পরিস্কার ঠান্ডা জল দিয়ে ধুতে হবে, যতক্ষণ না চোখ পরিষ্কার লাগছে। তার পরেও যদি সমস্যা থাকে, সঙ্গে সঙ্গে চোখের চিকিৎসক অথবা, কোনও হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে যোগাযোগ করা উচিত।"

সাধারণত কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়? এই চিকিৎসক বলেন, "সাধারণ সমস্যা সব থেকে বেশি হয় চামড়া সংক্রান্ত বিষয়ে। চামড়ায় অ্যালার্জি, চুলকানি। চোখে জল পড়া, চোখ চুলকোতে থাকে, চোখ লাল হয়ে যায়। ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা, এ ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, টানা হাঁচি বা কাশি হতে পারে। বুকের মধ্যে ভার লাগছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে অনেকটা রং ভিতরে চলে গেলে এবং, যদি ওই রঙে রাসায়নিক মেশানো থাকে, সে ক্ষেত্রে ঘন কফ বা তার সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে, এমন সমস্যাও দেখা দিতে পারে।" এ সব ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং চোখ, চামড়ার ক্ষেত্রে জায়গাটা পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয় বলেও তিনি জানান।

ছোটদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, "ছোটদের ক্ষেত্রে চোখে রং চলে যাওয়ার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। একজন মানুষ, অন্য মানুষের দিকে রং ছুড়ছেন। এই অবস্থায়, ছোটদের উচ্চতা কম বলে তার চোখের রং ঢুকে যেতে পারে। এর ফলে ছোটদের চোখে রং ঢুকে যাওয়ার সমস্যাটি খুব সাধারণ। শ্বাসনালীতে রং ঢুকে গেলে হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।" তিনি বলেন, "এই ধরনের পরিস্থিতিতে পরিষ্কার কোনও জায়গায় চুপচাপ যদি কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়, তা হলে কিছু সময়ের মধ্যে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া উচিত। যদি না হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।"Conclusion:সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন? তিনি বলেন, "মানুষ রং খেলবে না এটা বলা মুশকিল। রং খেলবেন। কিন্তু সাবধানতার সঙ্গে খেলতে হবে। বিশেষ করে যে রঙগুলি ক্ষতিকর এবং বাদুরে রং বলি, মানে অনেকক্ষণ থেকে যায়। এই রং চামড়ার পক্ষে ক্ষতিকর। এই রং শ্বাসনালীতে চলে গেলেও ক্ষতিকর। এই ধরনের রং যেন ব্যবহার না করা হয়।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "ভেষজ আবির যেগুলিকে বলা হচ্ছে, সেগুলি ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু যাঁর শ্বাসনালীর সমস্যা রয়েছে বা অ্যালার্জি রয়েছে, তিনি যেন সেই আবির ব্যবহার না করেন।"

_____

বাইট: RAP-এ
ডাক্তার কৌশিক চক্রবর্তী
wb_kol_8002_20march_dolyatra_doc_7203421

_____
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.