ETV Bharat / city

এত নির্লজ্জ কেন? বনগাঁর পৌরপ্রধানকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

author img

By

Published : Jul 19, 2019, 4:39 PM IST

Updated : Jul 19, 2019, 6:48 PM IST

বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের ৷ আজ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের উদ্দেশ্যে বলেন , কেন ক্ষমতা ধরে আছেন ? আস্থাভোটে যেতে ভয় পাচ্ছেন কেন?

হাইকোর্ট

কলকাতা, 19 জুলাই : একইদিনে জোড়া অস্বস্তি রাজ্য সরকারের ৷ হালিশহর ও বনগাঁ পৌরসভা নিয়ে হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনা ৷

বনগাঁ ও হালিশহর পৌরসভা নিয়ে কিছুদিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন ৷ অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে দিন কয়েক আগেই বনগাঁ পৌরসভায় খণ্ডযুদ্ধ চলেছিল ৷ আজ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা আপনার সঙ্গে নেই ৷ আপনি জনগণের প্রতিনিধি ৷ আস্থাভোটের মুখোমুখি হন ৷ এত ভয় পাচ্ছেন কেন ? সত্যিই চেয়ারম্যান অত নির্লজ্জ হন কীভাবে ? এখানেই শেষ হয়নি ৷ এরপর বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোট নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে জেলশাসক বা মহকুমাশাসকের দপ্তরে করানো হোক আস্থাভোট ৷ আগামী তিনদিনের মধ্যে এবিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি ৷

বনগাঁ পৌরসভা নিয়ে বিচারপতির আরও মন্তব্য, সরকার ভুল করলে তা শুধরে দেব ৷ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আস্থাভোটের দিন বনগাঁয় পৌরসভার অনেক কাউন্সিলরকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তা জলের মতো স্বচ্ছ ৷ এপ্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনকেও ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্ট ৷ সূত্রের খবর, প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোট হতে পারে ৷

আরও পড়ুন : বনগাঁয় আস্থা ভোটে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য হয়েছে অভিযোগে আদালতে BJP

গত 16 জুলাই বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোট ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে ৷ অনেক কাউন্সিলর আস্থাভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলেও অভিযোগ ওঠে ৷ এরপরই BJP-র অভিযোগ ছিল, পুলিশ দিয়ে তাদের দুই কাউন্সিলরকে আস্থাভোটের দিন আটকে রাখা হয়েছিল ৷ সেই বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত ৷ আজ চূড়ান্ত রায় না দিলেও ফের অনাস্থা ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ বিচারপতির এদিনের মন্তব্যে আশার আলো দেখছে BJP ৷ কারণ, ফের ভোট হলে যে তাদেরই জয় হবে এবিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত গেরুয়া শিবির ৷ 22 আসনের বনগাঁ পৌরসভার 14 জন কাউন্সিলর BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন ৷ যদিও পরে 3 জন ফিরে আসেন তৃণমূলে ৷ বিচারপতির মন্তব্যের পর অবশ্য রাজ্য প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, BJP সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছে ৷ সেদিন BJP কাউন্সিলররা নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ করেছিলেন বলেই দাবি তৃণমূল শিবিরের ৷

বনগাঁর পাশাপাশি হালিশহর নিয়েও তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের ৷ আজ তিনটের সময় হালিশহর পৌরসভায় ডাকা অনাস্থা বৈঠকে শুধু স্থগিতাদেশই দেওয়া হয়নি ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ আগামী 23 জুলাই পর্যন্ত কোনও অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না ৷ এপ্রসঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কেন এত তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে ৷ হোয়াটসঅ্যাপে চিঠি পাঠানো নিয়েও হাইকোর্ট তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে ৷

আরও পড়ুন : হালিশহর পৌরবোর্ড "পুনর্দখল" করল তৃণমূল

অভিযোগ ছিল, আইন না মেনে অনাস্থা মিটিং ডাকা হয়েছে ৷ আসলে এটা ছিল সম্পূর্ণ ভুয়ো ৷ সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন এবং নির্দেশ দেন আগামী 23 জুলাইয়ের আগে তাড়াহুড়ো করে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না ৷

কলকাতা, 19 জুলাই : একইদিনে জোড়া অস্বস্তি রাজ্য সরকারের ৷ হালিশহর ও বনগাঁ পৌরসভা নিয়ে হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনা ৷

বনগাঁ ও হালিশহর পৌরসভা নিয়ে কিছুদিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন ৷ অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে দিন কয়েক আগেই বনগাঁ পৌরসভায় খণ্ডযুদ্ধ চলেছিল ৷ আজ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা আপনার সঙ্গে নেই ৷ আপনি জনগণের প্রতিনিধি ৷ আস্থাভোটের মুখোমুখি হন ৷ এত ভয় পাচ্ছেন কেন ? সত্যিই চেয়ারম্যান অত নির্লজ্জ হন কীভাবে ? এখানেই শেষ হয়নি ৷ এরপর বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোট নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে জেলশাসক বা মহকুমাশাসকের দপ্তরে করানো হোক আস্থাভোট ৷ আগামী তিনদিনের মধ্যে এবিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি ৷

বনগাঁ পৌরসভা নিয়ে বিচারপতির আরও মন্তব্য, সরকার ভুল করলে তা শুধরে দেব ৷ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আস্থাভোটের দিন বনগাঁয় পৌরসভার অনেক কাউন্সিলরকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তা জলের মতো স্বচ্ছ ৷ এপ্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনকেও ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্ট ৷ সূত্রের খবর, প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোট হতে পারে ৷

আরও পড়ুন : বনগাঁয় আস্থা ভোটে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য হয়েছে অভিযোগে আদালতে BJP

গত 16 জুলাই বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোট ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে ৷ অনেক কাউন্সিলর আস্থাভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলেও অভিযোগ ওঠে ৷ এরপরই BJP-র অভিযোগ ছিল, পুলিশ দিয়ে তাদের দুই কাউন্সিলরকে আস্থাভোটের দিন আটকে রাখা হয়েছিল ৷ সেই বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত ৷ আজ চূড়ান্ত রায় না দিলেও ফের অনাস্থা ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ বিচারপতির এদিনের মন্তব্যে আশার আলো দেখছে BJP ৷ কারণ, ফের ভোট হলে যে তাদেরই জয় হবে এবিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত গেরুয়া শিবির ৷ 22 আসনের বনগাঁ পৌরসভার 14 জন কাউন্সিলর BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন ৷ যদিও পরে 3 জন ফিরে আসেন তৃণমূলে ৷ বিচারপতির মন্তব্যের পর অবশ্য রাজ্য প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, BJP সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছে ৷ সেদিন BJP কাউন্সিলররা নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ করেছিলেন বলেই দাবি তৃণমূল শিবিরের ৷

বনগাঁর পাশাপাশি হালিশহর নিয়েও তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের ৷ আজ তিনটের সময় হালিশহর পৌরসভায় ডাকা অনাস্থা বৈঠকে শুধু স্থগিতাদেশই দেওয়া হয়নি ৷ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ আগামী 23 জুলাই পর্যন্ত কোনও অনাস্থা বৈঠক ডাকা যাবে না ৷ এপ্রসঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কেন এত তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে ৷ হোয়াটসঅ্যাপে চিঠি পাঠানো নিয়েও হাইকোর্ট তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে ৷

আরও পড়ুন : হালিশহর পৌরবোর্ড "পুনর্দখল" করল তৃণমূল

অভিযোগ ছিল, আইন না মেনে অনাস্থা মিটিং ডাকা হয়েছে ৷ আসলে এটা ছিল সম্পূর্ণ ভুয়ো ৷ সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন এবং নির্দেশ দেন আগামী 23 জুলাইয়ের আগে তাড়াহুড়ো করে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না ৷

Intro:বনগাঁ পৌরসভা সংক্রান্ত মামলায় কোন রায় দিল না হয় আগামী সোমবার আবার শুনানি


Body:বনগাঁ পুরসভায় বিজেপিতে যোগদান কারী 11 জন কাউন্সিলর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কাউন্সিলরদের দাবি ছিল পুরো প্রধানের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্ট অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল সেই নির্দেশ মানা হয়নি। আজ দীর্ঘক্ষন এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে আজ আবেদনকারীদের তরফ থেকে আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী বলেন," আমাদের দুজন কাউন্সিলর কে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল অনাস্থা প্রস্তাব আনতে। সেই মতো আমাদের কাউন্সিলররা ভোট দিতে গেলেও তাদেরকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। পরে 11 জন কাউন্সিলর পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের সম্মতিতে রেজোলিউশন আনে।


Conclusion:এর পাল্টা বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান এর তরফ আইনজীবী বলেন," হাইকোর্টের নির্দেশের পর জানানো হয় অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত মিটিং হবে বনগাঁও পুরসভার বিভূতিভূষণ কক্ষে । বেলা তিনটার সময় হবে এই মিটিং। কিন্তু কিন্তু বিজেপির কাউন্সিলর কি করেন না তারা বেলা 3 টা 45 মিনিটে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি তে নিজেদের মত মিটিং রেজুলেশন করেন। ফলে স্পষ্টতই তারা সময় মতো আসেন আসেন নি।" বিচারপতি সভাপতি চট্টোপাধ্যায় তখন মন্তব্য করেন কাউন্সিলর নিজে ন দশ জনকে নিয়ে ঢুকে যাচ্ছে আর এরা ঢুকতে পারল না এর থেকেই তো পরিষ্কার হয় যে পুলিশ প্রশাসন ওদের আটকে ছে, সত্যিই চেয়ারম্যান এতটা নির্লজ্জ হন কি করে? তার সঙ্গে মেজর মেজরিটি নেই তাই তিনি এতো ভয় পাচ্ছেন? তিনি তো জনগণের প্রতিনিধি তাকে এই অনাস্থা প্রস্তাবের সম্মুখীন হতে হবে।
Last Updated : Jul 19, 2019, 6:48 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.