ETV Bharat / city

Sujit Adhikari Children: ফের স্কুলে যাবে সুজিতের দুই ছেলে, পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন প্রধান শিক্ষক - সুজিত অধিকারী

সহৃদয় শিক্ষক ৷ হাসপাতাল থেকে ঝাঁপ দেওয়া সুজিত অধিকারীর ছেলেদের(Sujit Adhikari Children)শিক্ষার খরচের দায়িত্ব তুলে নিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক(Headmaster)৷ খুব শীঘ্রই আবার স্কুলে যাবে তারা ৷

Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children
Sujit Adhikari Children
author img

By

Published : Jul 5, 2022, 10:08 PM IST

কলকাতা, 5 জুলাই: মে মাসে হারিয়েছিল মাকে । আর তার ঠিক একমাসের মাথায় চলে গেলেন বাবা । মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক ঘটনা(Mullick Bazar Incident)। যেখানে হাসপাতালের আটতলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছিল লেকটাউনের বাসিন্দা সুজিত অধিকারীর । এখন শুধু রয়ে গেছেন তার দুই ছেলে(Sujit Adhikari Children) ৷ মা-বাবাকে হারিয়ে তারা অসহায় ৷

তারপর অনেকটা সময় গড়িয়েছে ৷ কিন্তু এত কিছুর মধ্যে চুপ করে ছিল সুজিতের দুই ছেলে শিবম অধিকারী ও ঋষি অধিকারী । কিছু বোঝার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের ৷ নয় আর আড়াই বছর বয়সের শিশুদের এখন সম্বল বলতে দুই দিদা ৷ মা ও বাবাকে হারিয়ে জীবন কাটছে তাঁদের সঙ্গেই । এর মধ্যে বাবার শ্রাদ্ধের সমস্ত কাজও সেরে ফেলেছে ছোট্ট শিবম ।

Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children
ফের স্কুলে যাবে সুজিত অধিকারীর দুই ছেলে

তবে সব কিছু সারা হলেও আটকে গিয়েছিল তাদের স্কুল যাওয়া । নারায়ণ দাস বাঙ্গুর মেমোরিয়াল মাল্টি পারপাস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিবম । মা বাবার হাত ধরে এ বছরেই ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল সে । কিন্ত এখন দুই দিদা ছাড়া তাদের আর কেউ নেই । কীভাবে চলবে দুই ভাইয়ের পড়াশোনা ?

Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children
নয় আর আড়াই বছর বয়সের শিশুদের এখন সম্বল বলতে দুই দিদা

আর ঠিক এই পরিস্থিতিতেই নজির গড়লেন নারায়ণ দাস বাঙ্গুল মেমোরিয়াল মাল্টি পারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া । পাশে এসে দাঁড়ালেন এই দুই শিশুর ৷ ছাত্রকে স্কুলে ফেরানোর জন্য নিজের কাঁধে তুলে নিলেন দায়িত্ব । সুজিত অধিকারীর বাড়ি গিয়ে তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে শিবমকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন প্রধান শিক্ষক নিজেই (Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children) ।

প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন," আমি যখন জানতে পারি শিবম আমার স্কুলের ছাত্র, তখন আমি তার বাড়ি যাই এবং ওর বর্তমান অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলি । শিবমের উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাখাতে যে ব্যয় হবে সেই দায়িত্ব আমরা কাঁধে তুলে নিই । ওর স্কুলে আসার জন্য একটি পুলকারের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয় । বাড়ির লোক জানিয়েছে, বুধবার থেকে ফের স্কুলে আসবে শিবম ।"

Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children
শিক্ষার খরচের দায়িত্ব তুলে নিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক

সুজিত অধিকারীর পিসি বাসন্তী অধিকারী বলেন, "স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসেছিলেন । তিনি প্রচুর জিনিস নিয়ে এসেছিলেন দুই ভাইয়ের জন্যে । তারপর আমাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন স্কুলে আমরা শিবমকে পাঠাই । স্যার সব ব্যবস্থাই নিয়েছেন । আর যেহেতু ওর মা শিবমকে ওই স্কুলে ভর্তি করেছিল ফলে আমরা ওকে ছাড়াতে চাই না । ওর ভাইকেও একই স্কুলে ভর্তি করার কথাও স্যার বলে গিয়েছেন ।"

আরও পড়ুন: সুজিতের মৃত্যুতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের পরিবারের

এছাড়াও কিছুদিন আগে শিবম ও তার ভাই ঋষিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি হোম থেকে এক ভদ্রলোক আসেন । তবে বাবা-মা না থাকলেও তার দুই দিদা রয়েছে ৷ ফলে কোনও অনাথ আশ্রমে নয়, ওরা দুজন বড় হবে নিজের লোকের কাছেই বলে ওই ভদ্রলোককে ফিরিয়ে দেন সুজিত অধিকারীর দিদা ও পিসি ।

কলকাতা, 5 জুলাই: মে মাসে হারিয়েছিল মাকে । আর তার ঠিক একমাসের মাথায় চলে গেলেন বাবা । মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক ঘটনা(Mullick Bazar Incident)। যেখানে হাসপাতালের আটতলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছিল লেকটাউনের বাসিন্দা সুজিত অধিকারীর । এখন শুধু রয়ে গেছেন তার দুই ছেলে(Sujit Adhikari Children) ৷ মা-বাবাকে হারিয়ে তারা অসহায় ৷

তারপর অনেকটা সময় গড়িয়েছে ৷ কিন্তু এত কিছুর মধ্যে চুপ করে ছিল সুজিতের দুই ছেলে শিবম অধিকারী ও ঋষি অধিকারী । কিছু বোঝার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের ৷ নয় আর আড়াই বছর বয়সের শিশুদের এখন সম্বল বলতে দুই দিদা ৷ মা ও বাবাকে হারিয়ে জীবন কাটছে তাঁদের সঙ্গেই । এর মধ্যে বাবার শ্রাদ্ধের সমস্ত কাজও সেরে ফেলেছে ছোট্ট শিবম ।

Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children
ফের স্কুলে যাবে সুজিত অধিকারীর দুই ছেলে

তবে সব কিছু সারা হলেও আটকে গিয়েছিল তাদের স্কুল যাওয়া । নারায়ণ দাস বাঙ্গুর মেমোরিয়াল মাল্টি পারপাস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিবম । মা বাবার হাত ধরে এ বছরেই ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল সে । কিন্ত এখন দুই দিদা ছাড়া তাদের আর কেউ নেই । কীভাবে চলবে দুই ভাইয়ের পড়াশোনা ?

Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children
নয় আর আড়াই বছর বয়সের শিশুদের এখন সম্বল বলতে দুই দিদা

আর ঠিক এই পরিস্থিতিতেই নজির গড়লেন নারায়ণ দাস বাঙ্গুল মেমোরিয়াল মাল্টি পারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া । পাশে এসে দাঁড়ালেন এই দুই শিশুর ৷ ছাত্রকে স্কুলে ফেরানোর জন্য নিজের কাঁধে তুলে নিলেন দায়িত্ব । সুজিত অধিকারীর বাড়ি গিয়ে তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে শিবমকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন প্রধান শিক্ষক নিজেই (Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children) ।

প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন," আমি যখন জানতে পারি শিবম আমার স্কুলের ছাত্র, তখন আমি তার বাড়ি যাই এবং ওর বর্তমান অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলি । শিবমের উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাখাতে যে ব্যয় হবে সেই দায়িত্ব আমরা কাঁধে তুলে নিই । ওর স্কুলে আসার জন্য একটি পুলকারের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয় । বাড়ির লোক জানিয়েছে, বুধবার থেকে ফের স্কুলে আসবে শিবম ।"

Headmaster takes education responsibility of Sujit Adhikari Children
শিক্ষার খরচের দায়িত্ব তুলে নিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক

সুজিত অধিকারীর পিসি বাসন্তী অধিকারী বলেন, "স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসেছিলেন । তিনি প্রচুর জিনিস নিয়ে এসেছিলেন দুই ভাইয়ের জন্যে । তারপর আমাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন স্কুলে আমরা শিবমকে পাঠাই । স্যার সব ব্যবস্থাই নিয়েছেন । আর যেহেতু ওর মা শিবমকে ওই স্কুলে ভর্তি করেছিল ফলে আমরা ওকে ছাড়াতে চাই না । ওর ভাইকেও একই স্কুলে ভর্তি করার কথাও স্যার বলে গিয়েছেন ।"

আরও পড়ুন: সুজিতের মৃত্যুতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের পরিবারের

এছাড়াও কিছুদিন আগে শিবম ও তার ভাই ঋষিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি হোম থেকে এক ভদ্রলোক আসেন । তবে বাবা-মা না থাকলেও তার দুই দিদা রয়েছে ৷ ফলে কোনও অনাথ আশ্রমে নয়, ওরা দুজন বড় হবে নিজের লোকের কাছেই বলে ওই ভদ্রলোককে ফিরিয়ে দেন সুজিত অধিকারীর দিদা ও পিসি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.