কলকাতা, 24 অগস্ট: কেটে গিয়েছে এক দশকের বেশি সময় । কিন্তু এখনও বাকি জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ। চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে নিম্ন আদালতে বিচারক না থাকায় শুনানি আপাতত বন্ধ। এমতাবস্থায় তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে তার সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (HC wants to Know the progress in Jnaneswari Probe ) । এই হাইপ্রোফাইল মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কতটা এগিয়েছে সেটাই রিপোর্ট পেশ করে আদালতে জানাতে হবে ।
এর আগে জ্ঞানেশ্বরী মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মোট ছ'জন। সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। 2010 সালের 28 মে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ( Jnaneswari Express Incident) উলটে ঘটেছিল ভয়াবহ দুর্ঘটনা ৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল 148 জনের ৷ বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি । গুরুতর আহতও হয়েছিলেন অনেকে । এই ঘটনার পর একাধিক মাওবাদীকেও গ্রেফতার করা হয় । ঘটনায় নাম জড়ায় তৎকালীন জনগণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো-সহ একাধিক ব্যক্তির। তাদের অনেকেই এখনও জেলে ৷
আরও পড়ুন: উলটে যাওয়া দুধের গাড়ি থেকে বেরিয়ে এল একের পর এক গরু, পুরুলিয়ায় চাঞ্চল্য
জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের উপর একটি মালগাড়ি উঠে পড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেদিন ৷ সরডিহা ও ক্ষেমাসুলির মধ্যে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে ভয়ঙ্কর নাশকতার ঘটনা ঘটেছিল সেদিন । তখন পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল-সহ আশপাশের এলাকায় মাওবাদীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। মাওবাদী কার্যকলাপ ভাবিয়ে তুলেছিল প্রশাসনকেও ৷ সেদিনও রাতের অন্ধকারে মাওবাদীরা ট্রেন লাইনের ফিশপ্লেট খুলে রাখায় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে তদন্তে উঠে এসেছে ৷