কলকাতা, 2 মে : ময়নাগুড়ি, নেত্রা, পিংলা, শান্তিনিকেতন, নামখানা ৷ রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেজন্য রাজ্যকে দু'সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিল আদালত (HC directs to compensate the victims family in five rape incident) ৷ রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণের মাত্রা স্থির করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ তবে এ পর্যন্ত ঘটা ধর্ষণের ঘটনাগুলিতে পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে হাঁসখালি ধর্ষণের ঘটনায় এদিন সিবিআই আদালতে গোপন তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেছে ৷ পাশাপাশি হাঁসখালি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া নিম্ন আদালত থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করার আবেদন জানান আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। কারণ, কেস ডায়েরিতে কোনওরকম উল্লেখ ছাড়াই ঘটনায় দু'জন অভিযুক্তকে নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ একইসঙ্গে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদের আত্মপরিচয় গোপন রাখার নির্দেশ দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি সেই আর্জিতে সম্মতি দিলেও মামলা স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি এখনও ৷
উল্লেখ্য, মামলাগুলির শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত নির্যাতিতাদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে রাজ্য তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে যে সমস্ত রিপোর্ট দিয়েছে আদালতে তার কপি মামলাকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি ৷ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ক্ষতিপূরণের আবেদন জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে ৷ নামখানা-সহ রাজ্যে চারটি ধর্ষণের ঘটনায় দময়ন্তী সেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ কেস ডায়েরি আদালতে পেশ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই ৷ নামখানার ঘটনায় অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ ঘটনাস্থলের ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : কেন গরমের ছুটি দেড় মাস ? হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
অন্যদিকে আইপিএস পারুল কুষ জৈন পিংলার ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান এজি ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি 8 জন সাক্ষীর গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে ৷ এদিকে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে এদিন মামলায় হাজির থাকতে বলেছিল আদালত ৷ কিন্তু তিনি হাজির হতে পারেননি ৷ পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করার ব্যাপারে কথা বলার জন্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আইনজীবীকেও এদিন আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ৷ তিনিও হাজির না-থাকায় 10 মে পরবর্তী শুনানির দিন ফের তাঁদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। রাজনৈতিক যোগের তদন্তে ময়নাগুড়ির ঘটনায় রাজ্যের কাছে ফের হলফনামা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ৷