বিধাননগর, 30 জুলাই : কেষ্টপুরে এক যুবতির অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রহস্য ৷ এলাকার প্রফুল্লকাননের একটি ফ্ল্যাটে শামিমা খাতুন নামে এক যুবতির মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷
আজ দুপুরে আবাসনের বাসিন্দারা ওই ফ্ল্যাট থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন । এরপরই বাগুইআটি থানার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয় ৷ দরজা খুলতেই দেখা যায়, সারা ঘর লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে ৷ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে দেহটি । সেটি ফুলে গিয়ে পচন ধরেছে । বাসিন্দারা বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই আবাসনে ভাড়া নিয়ে থাকতেন শামিমা ও তাঁর স্বামী সৌম্য গঙ্গোপাধ্যায় ।
পুলিশ সূত্রে খবর, যুবতি IT কর্মী ছিলেন ৷ ঘটনাস্থান থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে । সেখানে পারিবারিক অশান্তির কথার উল্লেখ রয়েছে । কিন্তু হাতের লেখা যে শামিমারই তার কোনও প্রমাণ মেলেনি ৷ এ থেকেই ঘনিয়েছে রহস্য ৷ প্রথমত, সারা ঘর অগোছালো ছিল ৷ দ্বিতীয়ত, ফ্যান থেকে ঝুলন্ত দেহের পা খাটের সঙ্গে লেগেছিল ৷ সাধারণত খুন করে ঝুলিয়ে দিলে অনেক ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে ৷ এছাড়াও ঘটনার পর থেকেই পলাতক শামিমার স্বামীও ৷ সবমিলিয়ে ওই যুবতির মৃত্যু আদৌ আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে ৷
পুলিশ এসে ওই মহিলার পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে । আবাসনের বাসিন্দা সুখরঞ্জন তালুকদার বলেন, ''ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায় । ভিতর থেকে দরজায় কোনও লক করা ছিল না, এমনটাই মনে করছে পুলিশ ৷ ''
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে শামিমার সঙ্গে সৌম্যর বিয়ে হয়েছিল জানুয়ারি মাসে । ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷