কলকাতা, 3 মার্চ : কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের নাম করে ব্ল্য়াকমেলিং ৷ গোপন ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি ৷ ভয়ে ‘আত্মঘাতী’ অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সহকারী প্রীতম দে ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে একটি ফোন আসে নারকেলডাঙা থানায় ৷ সেই ফোনের ভিত্তিতেই স্থানীয় নর্থ রোডের একটি বাড়ি থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তদন্ত শুরু হতেই জানা যায়, প্রীতম দে নামে ওই যুবক টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার পিএ ৷ বেশ কয়েক বছর ধরেই অঙ্কুশের সঙ্গে কাজ করছিলেন তিনি ৷
প্রীতমের এই অস্বাভাবিক মৃত্য়ুর খবর ফেসবুকে পোস্ট করেন অঙ্কুশ নিজেই ৷ যার জেরে স্বভাবতই এ নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই হুমকি ফোন পাচ্ছিলেন প্রীতম ৷ যেমন, তেমন কেউ নন, খোদ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের নাম করে হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে ৷ গোপন কোনও ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাওয়া হয় মোটা টাকা ৷
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর থেকেই ক্রমশ গুটিয়ে যান প্রীতম ৷ তাঁর ভয় ছিল, গোপন ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেলে সম্মানহানি হবে তাঁর ৷ এরপরই উদ্ধার হয় ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ ৷
আরও পড়ুন : বৌভাতের দিন যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্মানহানির ভয় ও লাগাতার টাকার জন্য চাপ সহ্য করতে পারেননি প্রীতম ৷ খুব সম্ভবত সেই কারণেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি ৷ তবে অন্য কোনও সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে খুনের তত্ত্বও ৷
আপাতত প্রীতমের দেহের ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ ৷ তাঁর স্মার্টফোনটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ কে, বা কারা প্রীতমকে হমকি দিচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ কেন এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের নাম জড়ানো হল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও ৷ নারেকলডাঙা থানার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারও ৷