কলকাতা, 24 অক্টোবর: টাকার প্রয়োজন ছিল অবশ্যই । কিন্তু সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়িচালককে খুনের অভিপ্রায় ছিল না বলে এবার জেরায় গোয়েন্দাদের জানালেন গড়িয়াহাট জোড়া খুন-কাণ্ডে ধৃত মিঠু হালদার । তবে পাল্টা মিঠু এবং তার ছেলে ভিকি হালদারের দিকেই আঙুল তুলছে অন্য দুই ধৃত জাহির গাজি এবং বাপি মণ্ডল । মা ও ছেলে মিলে তাদের ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ দু’জনের ৷
গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তা সুবীর এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডল খুন হন ৷ ছেলে ভিকির সঙ্গে মিলে মিঠুই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ তার জন্য জাহির এবং বাপিকে মিঠুই জোগাড় করে বলে জানা গিয়েছে ৷ সেই থেকে লাগাতার মিঠু এবং ধৃত দু’জনকে জেরা করে চলেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷
আরও পড়ুন: Asansol Art Exhibition : পুলিশকর্তার উদ্যোগে প্রকৃতির কোলে বসে ছবি আঁকলেন শিল্পীরা
রবিবার মিঠুর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় জাহির এবং বাপিকে ৷ সেখানে মিঠু জানান, টাকার দরকার ছিল ৷ তাই ছেলেকে নিয়ে ছক কষেছিল সে ৷ তবে খুনের কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাদের ৷ কিন্তু এর পাল্টা মিঠুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় জাহির এবং বাপি ৷ ইচ্ছাকৃত ভাবে মিঠু এবং ভিকি তাদের ফাঁসিয়েছে বলে দাবি করেন তারা ৷
এক সপ্তাহ আগের এই ঘুনের ঘটনায় এখনও ভিকির খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন তদন্তকারীরা ৷ ঘটনার পর থেকেই ফেরার সে ৷ অন্য দিকে ঘটনার দিন ভিকির সঙ্গে দেখা করতে আসা এক অজ্ঞত পরিচয় ব্যক্তির কথাও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ বালিগঞ্জে যে নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করত ভিকি, ওই দিন বিকেলে সেখানে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তার সঙ্গে দেখা করতে আসে এবং খানিকটা তফাতে গিয়ে দু’জনে একান্তে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলে বলে ভিকির সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: Bangladesh Violence : বাংলাদেশে হিংসার প্রতিবাদে আসানসোলে ইসকনের মিছিল
তবে এখনও পর্যন্ত না ভিকি ও ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি, দু’জনের কারও নাগালই মেলেনি ৷ খুনের দিন মায়ের ঠিক করে দেওয়া জাহির এবং বাপি ছাড়াও নিজে থেকে সঙ্গে করে ভিকি একজনকে নিয়ে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি সেই তৃতীয় ব্যক্তি কি না, তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি ৷ তাই ধৃতদের জিজ্ঞাসা করেই বিশদ তথ্য হাতে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷