ETV Bharat / city

পৌরভোট নিয়ে আপডেট নেবেন রাজ্যপাল, জানেন না কমিশনার - পৌর নির্বাতন

27 ফেব্রুয়ারি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে ডাকা হয়েছে বলে টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ যদিও বিষয়টি জানেন না বলে ETV ভারতকে জানিয়েছেন সৌরভবাবু।

State Election Commission
রাজ্য নির্বাচন কমিশন
author img

By

Published : Feb 24, 2020, 5:12 PM IST

Updated : Feb 24, 2020, 7:28 PM IST

কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি : পৌরভোট নিয়েও সক্রিয় হলেন রাজ্যপাল । পৌরভোটের গতিপ্রকৃতি বুঝতে তলব করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে । 27 ফেব্রুয়ারি তাঁর থেকে আপডেট জানতে চাইবেন বলে টুইটও করেন তিনি । যদিও বিষয়টি জানেন না বলে ETV ভারতকে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। ফলে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা । এই ঘটনার জেরে ফের নবান্ন-রাজভবন সংঘাতের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই ।

সরকারিভাবে লিখিত প্রস্তাব এখনও যায়নি ঠিকই । তবে নবান্ন সূত্রে খবর, পৌরভোটের প্রস্তাবিত দিন চূড়ান্ত করে ফেলেছে রাজ্য সরকার । পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, ট্র্যাডিশন কিছুটা বদলে ফেলে এবার কলকাতার সঙ্গেই ভোট হবে হাওড়া পৌরনিগমের । শেষবারও শুধু কলকাতায় একদিনে নির্বাচন হয়েছিল । 15 দিন পর হয় বাকি পৌরনিগম ও পৌরসভাগুলির নির্বাচন হয়। সব ঠিক থাকলে এবারও তেমনটাই হতে চলেছে ।

  • Will seek an update as regards upcoming Municipal Elections from the State Election Commissioner Saurabh Kumar Das on Feb 27. The Commission is a constitutional body for superintendence, direction and control of Municipal Elections under article 243K of the Constitution of India.

    — Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 24, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

সূত্রের খবর, এবার 12 এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়া পৌরনিগম এবং 26 এপ্রিল বাকি পৌরসভা ও পৌরনিগমগুলিতে ভোটের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। সাধারণভাবে রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাবেই সিলমোহর দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন । এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয় । যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে একদিনে মোট 102টি পৌরসভা ও পৌরনিগমে ভোট করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল । কমিশন চেয়েছিল কয়েকটি দফায় ভোট করতে । কিন্তু মীরা পান্ডের মতো কয়েকজন ব্যতিক্রমী নির্বাচন কমিশনার ছাড়া ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্বৈরথে যাননি কোনও নির্বাচন কমিশনার । সেই ট্র্যাডিশন বজায় থাকলে ধরেই নেওয়া যায় 12 এবং 26 এপ্রিল হতে চলেছে রাজ্যের পৌরসভা এবং পৌরনিগমের ভোট । পৌর এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ব্যারাকপুর এলাকার 8টি পৌরসভার ভোট এখনই হবে না । কারণ রাজ্য সরকার ব্যারাকপুরকে পৌরনিগম হিসেবে তৈরি করতে চাইছে । যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের বিশ্লেষণ, BJP সাংসদ অর্জুন সিং এবার ওই অঞ্চলের পৌরসভাগুলির দখল পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাবেন । এমনিতেই কিছুদিন আগে পর্যন্ত অশান্ত ছিল ভাটপাড়া, গারুলিয়া, কাঁকিনাড়ার মতো কয়েকটি অঞ্চল । এই মুহূর্তে সেখানে ভোট হলে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশল হল কোনওভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দৃশ্য ফিরিয়ে আনা যাবে না । কারণ তা মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছে বলে অনেকের মত । তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনওভাবেই ভোটারদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে দেওয়া যাবে না । হয়ত সেই কারণেই ব্যারাকপুর পৌরনিগমের তৈরির প্রক্রিয়ার কথা সামনে রেখে ওই এলাকার ভোট পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত ।

এই পরিস্থিতিতে পৌরভোট নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন রাজ্যপাল । সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে, একটি সাংগঠনিক পদে থেকে অন্য সাংবিধানিক পদে থাকা কোনও ব্যক্তিকে এভাবে তলব করা যায় কি না । এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় একটি টুইট করেছেন । লিখেছেন, "ভারতীয় সংবিধানের 243 K নম্বর ধারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পৌরভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে ।" এর আগে কোনও রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে ভোটের গতিপ্রকৃতি জানতে চেয়েছেন কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা । এদিকে রাজ্যপাল নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিয়ে টুইট করলেও এখনও পর্যন্ত রাজভবনের তরফে কোনও বার্তা নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছায়নি বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সৌরভ দাস । তিনি বলেন, "আমরা এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে কোনও চিঠি পাইনি । ট‍ুইটারে বিষয়টি দেখেছি । কিন্তু সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছুই জানি না ।" রাজ্যপাল কি এভাবে ডাকতে পারেন? এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না উনি চিঠি দিয়ে আমায় ডাকবেন । যদি ফোন করেন তখন ভেবে দেখব কী করা যায় ।"

বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই রাজভবনের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কয়েকমাস বাদেই রাজ্যে পৌর নির্বাচন ৷ নির্বাচন সংক্রান্ত আপডেটের জন্য 27 ফেব্রুয়ারি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ রাজ্যপাল অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উপর জোর দিচ্ছেন ৷ কোনওরকম অশান্তি এড়িয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য জনগণের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন ৷ পাশাপাশি গণতন্ত্রে নির্বাচনের গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন ৷

কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি : পৌরভোট নিয়েও সক্রিয় হলেন রাজ্যপাল । পৌরভোটের গতিপ্রকৃতি বুঝতে তলব করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে । 27 ফেব্রুয়ারি তাঁর থেকে আপডেট জানতে চাইবেন বলে টুইটও করেন তিনি । যদিও বিষয়টি জানেন না বলে ETV ভারতকে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। ফলে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা । এই ঘটনার জেরে ফের নবান্ন-রাজভবন সংঘাতের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই ।

সরকারিভাবে লিখিত প্রস্তাব এখনও যায়নি ঠিকই । তবে নবান্ন সূত্রে খবর, পৌরভোটের প্রস্তাবিত দিন চূড়ান্ত করে ফেলেছে রাজ্য সরকার । পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, ট্র্যাডিশন কিছুটা বদলে ফেলে এবার কলকাতার সঙ্গেই ভোট হবে হাওড়া পৌরনিগমের । শেষবারও শুধু কলকাতায় একদিনে নির্বাচন হয়েছিল । 15 দিন পর হয় বাকি পৌরনিগম ও পৌরসভাগুলির নির্বাচন হয়। সব ঠিক থাকলে এবারও তেমনটাই হতে চলেছে ।

  • Will seek an update as regards upcoming Municipal Elections from the State Election Commissioner Saurabh Kumar Das on Feb 27. The Commission is a constitutional body for superintendence, direction and control of Municipal Elections under article 243K of the Constitution of India.

    — Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 24, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

সূত্রের খবর, এবার 12 এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়া পৌরনিগম এবং 26 এপ্রিল বাকি পৌরসভা ও পৌরনিগমগুলিতে ভোটের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। সাধারণভাবে রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাবেই সিলমোহর দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন । এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয় । যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে একদিনে মোট 102টি পৌরসভা ও পৌরনিগমে ভোট করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল । কমিশন চেয়েছিল কয়েকটি দফায় ভোট করতে । কিন্তু মীরা পান্ডের মতো কয়েকজন ব্যতিক্রমী নির্বাচন কমিশনার ছাড়া ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্বৈরথে যাননি কোনও নির্বাচন কমিশনার । সেই ট্র্যাডিশন বজায় থাকলে ধরেই নেওয়া যায় 12 এবং 26 এপ্রিল হতে চলেছে রাজ্যের পৌরসভা এবং পৌরনিগমের ভোট । পৌর এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ব্যারাকপুর এলাকার 8টি পৌরসভার ভোট এখনই হবে না । কারণ রাজ্য সরকার ব্যারাকপুরকে পৌরনিগম হিসেবে তৈরি করতে চাইছে । যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের বিশ্লেষণ, BJP সাংসদ অর্জুন সিং এবার ওই অঞ্চলের পৌরসভাগুলির দখল পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাবেন । এমনিতেই কিছুদিন আগে পর্যন্ত অশান্ত ছিল ভাটপাড়া, গারুলিয়া, কাঁকিনাড়ার মতো কয়েকটি অঞ্চল । এই মুহূর্তে সেখানে ভোট হলে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশল হল কোনওভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দৃশ্য ফিরিয়ে আনা যাবে না । কারণ তা মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছে বলে অনেকের মত । তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনওভাবেই ভোটারদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে দেওয়া যাবে না । হয়ত সেই কারণেই ব্যারাকপুর পৌরনিগমের তৈরির প্রক্রিয়ার কথা সামনে রেখে ওই এলাকার ভোট পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত ।

এই পরিস্থিতিতে পৌরভোট নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন রাজ্যপাল । সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে, একটি সাংগঠনিক পদে থেকে অন্য সাংবিধানিক পদে থাকা কোনও ব্যক্তিকে এভাবে তলব করা যায় কি না । এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় একটি টুইট করেছেন । লিখেছেন, "ভারতীয় সংবিধানের 243 K নম্বর ধারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পৌরভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে ।" এর আগে কোনও রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে ভোটের গতিপ্রকৃতি জানতে চেয়েছেন কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা । এদিকে রাজ্যপাল নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিয়ে টুইট করলেও এখনও পর্যন্ত রাজভবনের তরফে কোনও বার্তা নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছায়নি বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সৌরভ দাস । তিনি বলেন, "আমরা এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে কোনও চিঠি পাইনি । ট‍ুইটারে বিষয়টি দেখেছি । কিন্তু সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছুই জানি না ।" রাজ্যপাল কি এভাবে ডাকতে পারেন? এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না উনি চিঠি দিয়ে আমায় ডাকবেন । যদি ফোন করেন তখন ভেবে দেখব কী করা যায় ।"

বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই রাজভবনের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কয়েকমাস বাদেই রাজ্যে পৌর নির্বাচন ৷ নির্বাচন সংক্রান্ত আপডেটের জন্য 27 ফেব্রুয়ারি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ রাজ্যপাল অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উপর জোর দিচ্ছেন ৷ কোনওরকম অশান্তি এড়িয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য জনগণের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন ৷ পাশাপাশি গণতন্ত্রে নির্বাচনের গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন ৷

Last Updated : Feb 24, 2020, 7:28 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.