কলকাতা, 28 জুন : কলকাতায় গ্য়াংওয়ার ! দুই দল দুষ্কৃতীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ ৷ কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গুলি ৷ কোনও মতে প্রাণে বাঁচলেও ইটের ঘায়ে জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে ৷ রবিবার রাতের ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত দক্ষিণ কলকাতার একবালপুর থানা এলাকার ড. সুধীর বোস রোড ৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার চার ৷ রুজু মামলা ৷
আরও পড়ুন : শ্মশানযাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ লিলুয়া থানার এসআই
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকা দখল এবং এলাকায় অবৈধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত ৷ বাসিন্দাদের দাবি, এই দুই দল দুষ্কৃতীর মধ্যে বিবাদ নতুন নয় ৷ কিন্তু রবিবার রাতে তা চরম আকার নেয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একবালপুর থানার পুলিশ ৷ তখনই পুলিশকে দুষ্কৃতীদের মারমুখী আক্রমণের মুখে পড়তে হয় ৷ এমনকি, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা এলাকায় পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা লাগাতার ইট, পাটকেল ছুড়তে শুরু করে ৷ ইটের আঘাত থেকে পুলিশকর্মীরা যখন নিজেদের মাথা বাঁচাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই শোনা যায় গুলি চলার আওয়াজ ৷ পুলিশের দাবি, সঞ্জয় পান্ডে নামে একবালপুর থানার এক কনস্টেবলকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা ৷ কিন্তু সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি ৷ আর ঠিক তখনই উড়ে আসে ইটের খণ্ড ৷ লাগে সঞ্জয়ের পায়ে ৷ আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ৷ রবিবার রাতভর তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা ৷ সোমবার সঞ্জয়কে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন : বেহালায় চলল গুলি, উঠছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব
ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধৃতরা হল তনবীর আলম, মহম্মদ ইমরান, মহম্মদ জাহিদ এবং ফিরহাদ আলম ৷ পাশাপাশি, আরও অন্তত ছ’জন দুষ্কৃতীর খোঁজ চলছে ৷ সূত্রের খবর, ধরপাকড় শুরু হতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে তারা ৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় খুনের চেষ্টা, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে কাজে বাধা, অবৈধ জমায়েত-সহ একাধিক ধারায় একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।