কলকাতা, 13 জুলাই: শহরে এ বার বিমা সংস্থার নাম করে প্রতারণা (Kolkata Fraud Case)। খাস কলকাতার বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার (Fraud Case in Kolkata)।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই প্রকারের একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন গোয়েন্দারা (Fraud in the name of Life Insurance Company)। তদন্তের স্বার্থে অভিযোগকারীদের নাম পরিচয় গোপন রাখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । তবে লালবাজার সুত্রের খবর, অনিরুদ্ধ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি গত 15 বছর ধরে একটি নামকরা বিমা সংস্থার গ্রাহক থাকলেও কয়েক মাস তিনি তাঁর প্রিমিয়াম সময়মতো জমা দিতে পারেননি । অভিযোগ, এর পরেই তাঁর কাছে ফোন আসে । ফোনের অপর প্রান্তে থাকা এক ব্যক্তি বিভিন্ন ভাবে অনিরুদ্ধর বিশ্বাস অর্জন করেন এবং তাঁকে আশ্বস্ত করেন, যে মাসগুলিতে তিনি প্রিমিয়াম জমা দিতে পারেননি, তার ব্যবস্থা হয়ে যাবে এবং প্রিমিয়ামের বেশ কিছুটা ছাড় পাবেন তিনি । কিন্তু তার জন্য একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে জমা না পড়া সেই প্রিমিয়ামের টাকা ।
সেই মতো অনিরুদ্ধ ওই ব্যক্তির দেওয়া অ্যাকাউন্টে 26 হাজার 490 টাকা পাঠিয়ে দেন । কিন্তু তিনি যে প্রিমিয়াম জমা দিয়ে দিয়েছেন তার কোনও মেসেজ না আসায় তিনি সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন । এরপরেই চোখ কপালে ওঠে তাঁর । জানা যায়, সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার তরফে তাঁর সঙ্গে নাকি যোগাযোগই করা হয়নি । তিনি বুঝতে পারেন যে ব্যাংক প্রতারণার শিকার হয়েছেন ।
আরও পড়ুন: শহরে ফের সাইবার প্রতারণা, সিআইএসএফ কর্মী সেজে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে টাকা লুট
প্রথমে তিনি স্থানীয় থানা এবং পরে কলকাতা পুলিশের ব্যাংক প্রতারণা বিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এর পরই ঘটনার তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দারা ।
অনিরুদ্ধর মতো একাধিক ব্যক্তি শহরের বিভিন্ন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ । গোটা বিষয়টি মানুষকে জানিয়ে সতর্ক করা হয় প্রতারকদের সম্পর্কে ।
লালবাজার সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে এই প্রকারের বিমা বা ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত কল বা ফোন কোনও ব্যক্তির কাছে এলে তিনি বিষয়টি যেন গুরুত্ব দিয়ে দেখেন এবং সত্যতা নিশ্চিত করেন । গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে সরাসরি কথা বলতে হবে গ্রাহককে । তারপরেও যদি কেউ এই প্রতারণার শিকার হন, তাহলে লালবাজারের পাশাপাশি স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে হবে ।