কলকাতা, 5 জুলাই: বিপুল পরিমাণে অর্থাৎ, 100 কেজির বেশি বর্জ্য উৎপাদন করে এমন আবাসন, হোটেল, হাসপাতাল ও স্কুল-কলেজকে বাধ্যতামূলকভাবে কম্প্যাক্টর মেশিন এবং কম্পোস্ট মেশিন বসাতে হবে (Follow The Waste Management Rule of KMC Compulsory for Residential Building and Companies) ৷ কলকাতা পৌরনিগমের কঠিন বর্জ্য ব্য়বস্থাপনা বিভাগের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷ এ সংক্রান্ত নিয়ম থাকলেও, এতদিন তা বেশিরভাগই মেনে চলতেন না ৷ এবার থেকে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মানতে হবে ৷ আর এ নিয়ে নজরদারি চালাবে কলকাতা পৌরনিগম ৷ প্রয়োজনে পৌরনিগমের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
পরিবেশরক্ষায় কলকাতার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নির্দিষ্ট নিয়ম আছে ৷ যেখানে বর্জ্যের স্থান সংকুলানের ক্ষেত্রে কম্প্যাক্টর মেশিন বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 5 হাজার বর্গমিটার বা তার বেশি এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা আবাস, হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ৷ কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ পালন করছে না ৷ তাই এবার আরও কঠোর হচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৷ বাধ্যতামূলকভাবে সব আবাসন, হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিকে কঠিন বর্জ্যের স্থান সংকুলানে কম্প্যাক্টর মেশিন এবং পচনশীল বর্জ্য থেকে সার তৈরি করতে কম্পোস্ট মেশিন বসাতে হবে ৷
আরও পড়ুন: কোরোনা : চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহে বেসরকারি সংস্থা নিয়োগ পৌরনিগমের
জায়গার অভাব থাকলে সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পৌরনিগমকে টাকা দেবে ৷ পৌরনিগম আবাসন বা প্রতিষ্ঠানের ধারে কাছে সেই কম্প্যাক্টর মেশিন বসাবে ৷ আর সেখানেই কঠিন ও পচনশীল বর্জ্য আলাদা করার ব্য়বস্থা রাখতে হবে ৷ সেই সঙ্গে পচনশীল বর্জ্যকে কম্পোস্ট মেশিনের সাহায্যে সার তৈরি করতে হবে ৷ এতদিন এই নিয়ম থাকলেও, তা মানা হত না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার ৷ এই নিয়ম না মানলে জরিমানা করা হবে বলেও জানান তিনি ৷ তবে, সবার আগে নাগরিকদের এ নিয়ে সচেতন করা হবে বলে জানান মেয়র পারিষদ ৷ এ নিয়ে পৌরনিগমেরর তরফে টাউন হলে একটি কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছিল ৷