কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও দালালচক্র বহাল তবিয়তে রয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। অভিযোগ, এবার তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদের পরিচিত এক COVID-19 রোগীর পরিবার দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত ওই সাংসদের হস্তক্ষেপেই হাসপাতালে মিলল পরিষেবা।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 16 অগাস্ট থেকে বেলগাছিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা 49 বছরের এক মহিলার চিকিৎসা চলছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গ্রিন বিল্ডিংয়ে। এই মহিলা COVID-19 আক্রান্ত। এই রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করানোর সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, চিকিৎসক শান্তনু সেনের সহায়তা রোগীর পরিবার পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার ওই রোগীর ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য এই রোগীর স্বামীর হাতে এক ব্যক্তি একটি কাগজ দেন। ওই কাগজের উপরের অংশ ছেঁড়া ছিল। তবে, ওই কাগজে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম লেখা ছিল। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনও একটি থেকে এই রোগীর ডেঙ্গি পরীক্ষা করিয়ে আনতে বলা হয়। অথচ, বিনামূল্যে এই পরীক্ষা হাসপাতালেই হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, ওই রোগীর স্বামী এই বিষয়টি চিকিৎসক শান্তনু সেনকে জানান। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদের হস্তক্ষেপে ওই রোগীর ডেঙ্গির পরীক্ষা হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদ NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "হাসপাতাল থেকে বাইরে পাঠানো হচ্ছিল। জানাজানি হওয়ায়, আমি হস্তক্ষেপ করায় আটকানো গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে টেস্ট হয়েছে।" কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক COVID-19 রোগীর ডেঙ্গি পরীক্ষা হাসপাতালের বাইরে থেকে করিয়ে আনার অভিযোগ উঠলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
COVID-19-এর এই পরিস্থিতির মধ্যে এর আগেও কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দালালচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। কখনও কোনও পরীক্ষা হাসপাতালের বাইরে থেকে করিয়ে আনার অভিযোগ, কখনও টাকার বিনিময়ে কোনও রোগীকে ভরতি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দালালচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগেও এক ব্য়ক্তি গ্রেপ্তার হয়। হাসপাতালে দালালচক্রের অভিযোগ বারবার উঠলেও এর পরেও দালালচক্রের কারবার বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন হাসপাতালে দালালচক্রের বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযোগ উঠছে, সেই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, "প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রশাসন নিশ্চয়ই দেখছে।"
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের পরিচিত রোগীর পরিবারই পড়ল দালালচক্রের খপ্পরে
রাজ্য়ের বিভিন্ন হাসপাতালে বারবার দালাল চক্রের অভিযোগ উঠছে ৷ এবার তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদের পরিচিত এক COVID-19 রোগীর পরিবার কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ল ৷
কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও দালালচক্র বহাল তবিয়তে রয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। অভিযোগ, এবার তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদের পরিচিত এক COVID-19 রোগীর পরিবার দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত ওই সাংসদের হস্তক্ষেপেই হাসপাতালে মিলল পরিষেবা।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 16 অগাস্ট থেকে বেলগাছিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা 49 বছরের এক মহিলার চিকিৎসা চলছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গ্রিন বিল্ডিংয়ে। এই মহিলা COVID-19 আক্রান্ত। এই রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করানোর সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, চিকিৎসক শান্তনু সেনের সহায়তা রোগীর পরিবার পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার ওই রোগীর ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য এই রোগীর স্বামীর হাতে এক ব্যক্তি একটি কাগজ দেন। ওই কাগজের উপরের অংশ ছেঁড়া ছিল। তবে, ওই কাগজে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম লেখা ছিল। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনও একটি থেকে এই রোগীর ডেঙ্গি পরীক্ষা করিয়ে আনতে বলা হয়। অথচ, বিনামূল্যে এই পরীক্ষা হাসপাতালেই হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, ওই রোগীর স্বামী এই বিষয়টি চিকিৎসক শান্তনু সেনকে জানান। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদের হস্তক্ষেপে ওই রোগীর ডেঙ্গির পরীক্ষা হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদ NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "হাসপাতাল থেকে বাইরে পাঠানো হচ্ছিল। জানাজানি হওয়ায়, আমি হস্তক্ষেপ করায় আটকানো গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে টেস্ট হয়েছে।" কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক COVID-19 রোগীর ডেঙ্গি পরীক্ষা হাসপাতালের বাইরে থেকে করিয়ে আনার অভিযোগ উঠলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
COVID-19-এর এই পরিস্থিতির মধ্যে এর আগেও কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দালালচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। কখনও কোনও পরীক্ষা হাসপাতালের বাইরে থেকে করিয়ে আনার অভিযোগ, কখনও টাকার বিনিময়ে কোনও রোগীকে ভরতি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দালালচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগেও এক ব্য়ক্তি গ্রেপ্তার হয়। হাসপাতালে দালালচক্রের অভিযোগ বারবার উঠলেও এর পরেও দালালচক্রের কারবার বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন হাসপাতালে দালালচক্রের বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযোগ উঠছে, সেই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, "প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রশাসন নিশ্চয়ই দেখছে।"