ETV Bharat / city

Fake Vaccination Case: নবান্নের স্ট্যাম্প জাল করে চাকরির বিজ্ঞাপন, 90 লাখ আত্মসাত্ দেবাঞ্জনের !

পুরসভার ও নবান্নের স্ট্যাম্প জাল করা কোনও ব্যাপারই ছিল না ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডে (Fake Vaccination Case) মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) কাছে ৷ পাশাপাশি নিজের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে 90 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে সে ৷

fake vaccination case: debanjan deb fraud kmc and nabanna stamp
নবান্নের স্ট্যাম্প জাল করে চাকরির বিজ্ঞাপন, ₹90 লাখ আত্মসাত্ দেবাঞ্জনের !
author img

By

Published : Jun 25, 2021, 6:51 PM IST

কলকাতা, 25 জুন : পুরসভার স্ট্যাম্প, এমনকি নবান্নের স্ট্যাম্প জাল করে সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডে (Fake Vaccination Case) মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb) । গোয়েন্দাদের দাবি, দেবাঞ্জনের নেপথ্যে হাত আছে কোনও প্রভাবশালীর । কারণ নিজেকে প্রায় বছর খানেক ধরে রাজ্য সরকারি আমলা বলে পরিচয় দেওয়া, কলকাতা পুরসভা ও নবান্নের স্ট্যাম্প জাল করা - কখনওই একা কোনও ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয় বলে ধারণা গোয়েন্দাদের ।

তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দেবাঞ্জন দেব নিজেকে সুশান্ত দাস বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় 90 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে । ইতিমধ্যেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর কসবা থানায় ওই ব্যবসায়ী যোগাযোগ করেন । পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার সত্যতা যাচাই করছেন তদন্তকারীরা ।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী ট্যাংরা এলাকার বাসিন্দা । নিজেকে পুরসভার বড়কর্তা বলে পরিচয় দিয়ে বাইপাস লাগোয়া একটি ফাঁকা জমিতে কমিউনিটি হল তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেবাঞ্জন ৷ এ কথা বলেই ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে 90 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে সে । ইউনিফায়েড সলিউশন নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিল দেবাঞ্জন । সেটিও ভুয়ো । আর ওই ভুয়ো কোম্পানির আড়ালেই চালানো হত লোক ঠকানোর ব্যবসা ।

আরও পড়ুন: একাধিক মহিলা সাগরেদ থাকার অনুমান, কত বড় চক্র ছিল দেবাঞ্জনের ?

বৃহস্পতিবার দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একাধিক টিকার ভায়াল । পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একাধিক ভুয়ো ভ্যাকসিনের বোতল ৷ একাধিক নথিপত্রও উদ্ধার হয়েছে । ইতিমধ্যেই সমস্ত বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা জানিয়েছেন, দেবাঞ্জন দেবের কাছ থেকে একাধিক ক্যেমিস্টের খোঁজ মিলেছে । নিজেকে কলকাতা পুরসভার আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে একাধিক ক্যেমিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করত দেবাঞ্জন । লালবাজারের এক আধিকারিকের কথায়, দেবাঞ্জনের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার, একাধিক ফোন ।

আরও পড়ুন : Fake IAS : মুচিপাড়া থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইএমএ-র রাজ্য শাখার

দেবাঞ্জন দেবের বেশ কিছু ভুয়ো ই-মেল আইডি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা । পাশাপাশি দেবাঞ্জনের একাধিক ফোন থেকে বেশ কিছু কল রেকর্ডও ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের । দেবাঞ্জন শেষ কার সঙ্গে কথা বলেছিল ? তার কি কথা হয়েছিল ? যাবতীয় তথ্য জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা ।

আরও পড়ুন : অস্তিত্বহীন ব্যক্তিদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্টও খুলেছিল দেবাঞ্জন

ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে দেবাঞ্জনের সঙ্গে একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ফোনের কথোপকথনের রেকর্ড । সেই রেকর্ডগুলির সত্যতা যাচাই করতে ফরেনসিক টেস্টের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে । কল রেকর্ড থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু সরকারি আমলার সঙ্গে দেবাঞ্জনের কথোপকথনের রেকর্ড । যদিও কোন কোন আমলার সঙ্গে তার কথা হয়েছিল ? সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা । পাশাপাশি দেবাঞ্জনের ফোন ঘেঁটে গোয়েন্দারা বেশ কিছু ওষুধ ব্যবসায়ীরও নাম এবং ঠিকানা পেয়েছেন । তাঁদেরকে একে একে লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে ।

কলকাতা, 25 জুন : পুরসভার স্ট্যাম্প, এমনকি নবান্নের স্ট্যাম্প জাল করে সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডে (Fake Vaccination Case) মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb) । গোয়েন্দাদের দাবি, দেবাঞ্জনের নেপথ্যে হাত আছে কোনও প্রভাবশালীর । কারণ নিজেকে প্রায় বছর খানেক ধরে রাজ্য সরকারি আমলা বলে পরিচয় দেওয়া, কলকাতা পুরসভা ও নবান্নের স্ট্যাম্প জাল করা - কখনওই একা কোনও ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয় বলে ধারণা গোয়েন্দাদের ।

তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দেবাঞ্জন দেব নিজেকে সুশান্ত দাস বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় 90 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে । ইতিমধ্যেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর কসবা থানায় ওই ব্যবসায়ী যোগাযোগ করেন । পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার সত্যতা যাচাই করছেন তদন্তকারীরা ।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী ট্যাংরা এলাকার বাসিন্দা । নিজেকে পুরসভার বড়কর্তা বলে পরিচয় দিয়ে বাইপাস লাগোয়া একটি ফাঁকা জমিতে কমিউনিটি হল তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেবাঞ্জন ৷ এ কথা বলেই ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে 90 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে সে । ইউনিফায়েড সলিউশন নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিল দেবাঞ্জন । সেটিও ভুয়ো । আর ওই ভুয়ো কোম্পানির আড়ালেই চালানো হত লোক ঠকানোর ব্যবসা ।

আরও পড়ুন: একাধিক মহিলা সাগরেদ থাকার অনুমান, কত বড় চক্র ছিল দেবাঞ্জনের ?

বৃহস্পতিবার দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একাধিক টিকার ভায়াল । পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একাধিক ভুয়ো ভ্যাকসিনের বোতল ৷ একাধিক নথিপত্রও উদ্ধার হয়েছে । ইতিমধ্যেই সমস্ত বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা জানিয়েছেন, দেবাঞ্জন দেবের কাছ থেকে একাধিক ক্যেমিস্টের খোঁজ মিলেছে । নিজেকে কলকাতা পুরসভার আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে একাধিক ক্যেমিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করত দেবাঞ্জন । লালবাজারের এক আধিকারিকের কথায়, দেবাঞ্জনের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার, একাধিক ফোন ।

আরও পড়ুন : Fake IAS : মুচিপাড়া থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইএমএ-র রাজ্য শাখার

দেবাঞ্জন দেবের বেশ কিছু ভুয়ো ই-মেল আইডি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা । পাশাপাশি দেবাঞ্জনের একাধিক ফোন থেকে বেশ কিছু কল রেকর্ডও ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের । দেবাঞ্জন শেষ কার সঙ্গে কথা বলেছিল ? তার কি কথা হয়েছিল ? যাবতীয় তথ্য জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা ।

আরও পড়ুন : অস্তিত্বহীন ব্যক্তিদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্টও খুলেছিল দেবাঞ্জন

ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে দেবাঞ্জনের সঙ্গে একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ফোনের কথোপকথনের রেকর্ড । সেই রেকর্ডগুলির সত্যতা যাচাই করতে ফরেনসিক টেস্টের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে । কল রেকর্ড থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু সরকারি আমলার সঙ্গে দেবাঞ্জনের কথোপকথনের রেকর্ড । যদিও কোন কোন আমলার সঙ্গে তার কথা হয়েছিল ? সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা । পাশাপাশি দেবাঞ্জনের ফোন ঘেঁটে গোয়েন্দারা বেশ কিছু ওষুধ ব্যবসায়ীরও নাম এবং ঠিকানা পেয়েছেন । তাঁদেরকে একে একে লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.