ETV Bharat / city

Survey of NaMo team in Bengal: নজরে 2024 লোকসভা ভোট, মোদির নমো টিমের সমীক্ষায় বাংলায় চিন্তায় বিজেপি

2024 লোকসভা ভোটকে (2024 Lok Sabha polls) সামনে রেখে বাংলায় সমীক্ষা চালিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নমো টিম (NaMo team conducts survey in Bengal )৷ তার রিপোর্ট যথেষ্টই চিন্তায় রাখছে বিজেপিকে (Survey of NaMo team in Bengal)৷

eyeing-2024-lok-sabha-polls-narendra-modis-namo-team-conducts-survey-in-bengal
নজরে 2024 লোকসভা ভোট, মোদির নমো টিমের সমীক্ষায় বাংলায় চিন্তায় বিজেপি
author img

By

Published : May 18, 2022, 12:02 PM IST

Updated : May 18, 2022, 1:59 PM IST

কলকাতা, 18 মে: নজরে 2024-এর লোকসভা নির্বাচন (2024 Lok Sabha polls)৷ রাজ্যের মানুষের মন বুঝতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'NAMO' টিম (Survey of NaMo team in Bengal) 42টি লোকসভা কেন্দ্রেই বিশেষ সমীক্ষা চালিয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর । সেই সমীক্ষায় বেশকিছু তথ্য উঠে এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে । বিজেপির জয়লাভ করা 18টি আসনের মধ্যে 12টি আসনই 'রেড-জোনে' আছে । বাকি মাত্র 6টি আসন 'সবুজ' জোনে আছে ।

সূত্রের খবর, যে 6টি আসন সবুজ জোনে আছে সেগুলি হল, খড়গপুর, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, বঁনগা, জলপাইগুড়ি ও বিষ্ণুপুর । বাকি 12টি আসন ধরে রাখা বিজেপির কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ ।

নমো টিম (NaMo team conducts survey in Bengal ) সূত্রে জানা গিয়েছে, 18টি আসনে নিজের সাংসদরা কতটা সময় দেন ? এই প্রশ্নের জবাবে সমীক্ষায় 18টি আসনেই বিজেপি সাংসদরা সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন । অর্থাৎ ফেইল করেছেন ৷ এলাকার ভোটারদের অধিকাংশ অভিযোগ করেছেন সাংসদরা নিজের এলাকায় সময় দেন না । কেবলমাত্র ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, খড়গপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ, বিষ্ণপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ 100-র মধ্যে 80 শতাংশ নম্বর পেয়েছেন । বাকি সাংসদরা 100-এর মধ্যে 'শূন্য' পেয়েছেন ।

এই 18টি লোকসভা কেন্দ্রে স্থানীয় বিজেপি কর্মী ও সাংসদদের কাজে কি আপনারা খুশি ? সেই মতামত চাওয়া হয় ৷ সেখানেও 1-2 জন সাংসদকে বাদ দিলে বাকি বিজেপি সাংসদের কাজ কর্মে খুশি নন স্বয়ং স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাই । তা হলে সাধারণ মানুষ ওই সাংসদ সম্পর্কে কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না ।

আরও পড়ুন: State BJP Plan: লক্ষ্য 2024 লোকসভা ভোট, রাজ্য বিজেপি'তে নতুন মুখেদের প্রাধান্য

42টি লোকসভা কেন্দ্রে 5 মাস ধরে এই সমীক্ষা করা হয় ৷ দিল্লি থেকে বিশেষ টিম আসে । আর যাতে এই সমীক্ষা গোপন রাখা যায়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সে দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিল । যাতে কাকপক্ষীতেও না টের পায় । তাতে সমীক্ষার আসল রিপোর্ট তৈরিতে সমস্য হয় । এই সমীক্ষা রিপোর্টে স্পষ্ট, বাংলায় 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির বুথস্তরের সংগঠন একেবারে ভেঙে পড়েছে ।

সূত্রের খবর, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 40 শতাংশ ভোট পায় । 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সেই ভোট শতাংশ কমে দাঁড়ায় 38 শতাংশে । এর পর কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনে বিজেপির আরও ভোট কমে হয় মাত্র 9 শতাংশ । এই ভোট কমার বিষয় নিয়ে NAMO টিম-এর পক্ষ থেকে একটা সমীক্ষা চালানো হয় ।

কী কারণে বিজেপির ভোট এ ভাবে কমছে ?

সূত্রের খবর, এর পিছনে একাধিক কারণ আছে । সমস্ত কারণগুলি নিয়ে 50 পাতার একটি লিখিত নোট তৈরি করা হয়েছে । বিজেপির ক্রমাগত ভোট হ্রাস হওয়ার পিছনে মূল কারণ হিসাবে উঠে এসেছে, দলীয় কর্মীরা বসে যাওয়া । 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে 294টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির যে পরিমাণে কর্মী বেরিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে 80 শতাংশ বিজেপি কর্মীই বাড়িতে বসে গিয়েছেন ।

দ্বিতীয় যে কারণটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে তা হল, দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে অধিকাংশ বিজেপি কর্মীদের কাজে লাগানো হয় । নতুন যাঁরা পদ পেয়েছিলেন তাঁদের অভিজ্ঞতা কম ।

সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে । এ বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "দেখুন কী সমীক্ষা হয়েছে ? কে সমীক্ষা করেছে । আমার কিছুই জানা নেই । এটা বিশ্বের সব থেকে বড় পার্টি । তাই সর্বভারতীয় দল হিসেবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দলের অনেক অভ্যন্তরীণ মাধ্যম আছে । এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না ৷"

কলকাতা, 18 মে: নজরে 2024-এর লোকসভা নির্বাচন (2024 Lok Sabha polls)৷ রাজ্যের মানুষের মন বুঝতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'NAMO' টিম (Survey of NaMo team in Bengal) 42টি লোকসভা কেন্দ্রেই বিশেষ সমীক্ষা চালিয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর । সেই সমীক্ষায় বেশকিছু তথ্য উঠে এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে । বিজেপির জয়লাভ করা 18টি আসনের মধ্যে 12টি আসনই 'রেড-জোনে' আছে । বাকি মাত্র 6টি আসন 'সবুজ' জোনে আছে ।

সূত্রের খবর, যে 6টি আসন সবুজ জোনে আছে সেগুলি হল, খড়গপুর, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, বঁনগা, জলপাইগুড়ি ও বিষ্ণুপুর । বাকি 12টি আসন ধরে রাখা বিজেপির কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ ।

নমো টিম (NaMo team conducts survey in Bengal ) সূত্রে জানা গিয়েছে, 18টি আসনে নিজের সাংসদরা কতটা সময় দেন ? এই প্রশ্নের জবাবে সমীক্ষায় 18টি আসনেই বিজেপি সাংসদরা সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন । অর্থাৎ ফেইল করেছেন ৷ এলাকার ভোটারদের অধিকাংশ অভিযোগ করেছেন সাংসদরা নিজের এলাকায় সময় দেন না । কেবলমাত্র ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, খড়গপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ, বিষ্ণপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ 100-র মধ্যে 80 শতাংশ নম্বর পেয়েছেন । বাকি সাংসদরা 100-এর মধ্যে 'শূন্য' পেয়েছেন ।

এই 18টি লোকসভা কেন্দ্রে স্থানীয় বিজেপি কর্মী ও সাংসদদের কাজে কি আপনারা খুশি ? সেই মতামত চাওয়া হয় ৷ সেখানেও 1-2 জন সাংসদকে বাদ দিলে বাকি বিজেপি সাংসদের কাজ কর্মে খুশি নন স্বয়ং স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাই । তা হলে সাধারণ মানুষ ওই সাংসদ সম্পর্কে কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না ।

আরও পড়ুন: State BJP Plan: লক্ষ্য 2024 লোকসভা ভোট, রাজ্য বিজেপি'তে নতুন মুখেদের প্রাধান্য

42টি লোকসভা কেন্দ্রে 5 মাস ধরে এই সমীক্ষা করা হয় ৷ দিল্লি থেকে বিশেষ টিম আসে । আর যাতে এই সমীক্ষা গোপন রাখা যায়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সে দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিল । যাতে কাকপক্ষীতেও না টের পায় । তাতে সমীক্ষার আসল রিপোর্ট তৈরিতে সমস্য হয় । এই সমীক্ষা রিপোর্টে স্পষ্ট, বাংলায় 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির বুথস্তরের সংগঠন একেবারে ভেঙে পড়েছে ।

সূত্রের খবর, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 40 শতাংশ ভোট পায় । 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সেই ভোট শতাংশ কমে দাঁড়ায় 38 শতাংশে । এর পর কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনে বিজেপির আরও ভোট কমে হয় মাত্র 9 শতাংশ । এই ভোট কমার বিষয় নিয়ে NAMO টিম-এর পক্ষ থেকে একটা সমীক্ষা চালানো হয় ।

কী কারণে বিজেপির ভোট এ ভাবে কমছে ?

সূত্রের খবর, এর পিছনে একাধিক কারণ আছে । সমস্ত কারণগুলি নিয়ে 50 পাতার একটি লিখিত নোট তৈরি করা হয়েছে । বিজেপির ক্রমাগত ভোট হ্রাস হওয়ার পিছনে মূল কারণ হিসাবে উঠে এসেছে, দলীয় কর্মীরা বসে যাওয়া । 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে 294টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির যে পরিমাণে কর্মী বেরিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে 80 শতাংশ বিজেপি কর্মীই বাড়িতে বসে গিয়েছেন ।

দ্বিতীয় যে কারণটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে তা হল, দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে অধিকাংশ বিজেপি কর্মীদের কাজে লাগানো হয় । নতুন যাঁরা পদ পেয়েছিলেন তাঁদের অভিজ্ঞতা কম ।

সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে । এ বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "দেখুন কী সমীক্ষা হয়েছে ? কে সমীক্ষা করেছে । আমার কিছুই জানা নেই । এটা বিশ্বের সব থেকে বড় পার্টি । তাই সর্বভারতীয় দল হিসেবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দলের অনেক অভ্যন্তরীণ মাধ্যম আছে । এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না ৷"

Last Updated : May 18, 2022, 1:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.