ETV Bharat / city

কেষ্টপুরে পুলিশ কর্তার বাড়িতে বিস্ফোরণ, গুরুতর আহত স্ত্রী

প্রাথমিকভাবে পুলিশের বক্তব্য, কোনওভাবে দাহ্য গ্যাসে ভরে গিয়েছিল ঘর । সেই কারণেই আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ হয় ।

এই আবাসনেই হয় বিস্ফোরণ
author img

By

Published : Sep 7, 2019, 1:22 PM IST

Updated : Sep 7, 2019, 3:22 PM IST

কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর : কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর দেবাশিস রায়ের কেষ্টপুরের বাড়িতে বিস্ফোরণ । 90 শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তাঁর স্ত্রী সাথি রায়ের শরীর ৷ তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভরতি করা হয়েছে ৷

গতরাতে কেষ্টপুরে ত্রিমূর্তি আবাসনের এক তলার একটি ঘর থেকে বিকট শব্দ শোনা যায় । সেই সময় গৃহকর্তা দেবাশিস রায় ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন । তাঁর স্ত্রী সাথি রান্নাঘরে ছিলেন । আওয়াজ শুনে দেবাশিসবাবু ও তাঁর শ্যালক দু'জনেই ঘরের ভিতরে যান । দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর শরীরের অনেকাংশই পুড়ে গেছে । ঘরের দরজা ভেঙে গেছে । শোওয়ার এবং খাবার ঘরও লন্ডভন্ড ৷ কিন্তু রান্না ঘরে বিস্ফোরণ হলেও সেখানে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি । গ্যাস সিলিন্ডার ও চিমনি অবিকৃত ছিল ।

আরও পড়ুন : কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে গায়িকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

দ্রুত সাথি রায়কে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বাগুইআটি থানার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থানে যায় । ওই আবাসনের নিরাপত্তাকর্মী প্রবীরবাবু জানিয়েছেন, "আমাদের আবাসনের সম্পাদক দেবাশিসবাবু । রাতে পাড়ার গণেশ পুজোর নিরঞ্জন সেরে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন । পরে আমরা একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই । আর তখনই ছুটে গিয়ে দেখি দেবাশিসবাবু তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন ।"

বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে । প্রাথমিকভাবে পুলিশের বক্তব্য, কোনওভাবে দাহ্য গ্যাসে ভরে গিয়েছিল ঘর । সেই কারণেই আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ হয় ।

কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর : কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর দেবাশিস রায়ের কেষ্টপুরের বাড়িতে বিস্ফোরণ । 90 শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তাঁর স্ত্রী সাথি রায়ের শরীর ৷ তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভরতি করা হয়েছে ৷

গতরাতে কেষ্টপুরে ত্রিমূর্তি আবাসনের এক তলার একটি ঘর থেকে বিকট শব্দ শোনা যায় । সেই সময় গৃহকর্তা দেবাশিস রায় ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন । তাঁর স্ত্রী সাথি রান্নাঘরে ছিলেন । আওয়াজ শুনে দেবাশিসবাবু ও তাঁর শ্যালক দু'জনেই ঘরের ভিতরে যান । দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর শরীরের অনেকাংশই পুড়ে গেছে । ঘরের দরজা ভেঙে গেছে । শোওয়ার এবং খাবার ঘরও লন্ডভন্ড ৷ কিন্তু রান্না ঘরে বিস্ফোরণ হলেও সেখানে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি । গ্যাস সিলিন্ডার ও চিমনি অবিকৃত ছিল ।

আরও পড়ুন : কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে গায়িকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

দ্রুত সাথি রায়কে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বাগুইআটি থানার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থানে যায় । ওই আবাসনের নিরাপত্তাকর্মী প্রবীরবাবু জানিয়েছেন, "আমাদের আবাসনের সম্পাদক দেবাশিসবাবু । রাতে পাড়ার গণেশ পুজোর নিরঞ্জন সেরে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন । পরে আমরা একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই । আর তখনই ছুটে গিয়ে দেখি দেবাশিসবাবু তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন ।"

বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে । প্রাথমিকভাবে পুলিশের বক্তব্য, কোনওভাবে দাহ্য গ্যাসে ভরে গিয়েছিল ঘর । সেই কারণেই আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ হয় ।

Intro:

কলকাতা পুলিশে কর্মরত স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর দেবাশীষ রায়ের কেষ্টপুরের ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ। গতকাল রাতের এই ঘটনায় তার স্ত্রী সাথী রায়ের শরীর ৯০% পুড়ে গিয়েছে। সাথী কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।

Body:পুলিশ জানিয়েছে গতকাল রাতে ত্রিমুর্তি আবাসনের এক তলার ঘরে বিষ্ফোরনের জেরেই আহত হন ওই গৃহবধু। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ওই আবাসনের এক তলার একটি ঘরে বিকট শব্দ শোনা যায়। গৃহকর্তা দেবাশিষ রায় সেই সময়ে ঘরের বাইরে দাড়িয়ে ছিলেন। তার স্ত্রী সাথী রান্নাঘরে রান্না করতে গিয়েছিলেন। রান্না ঘরে গিয়ে আগুন জ্বালার চেষ্টা করতেই বিকট শব্দ তৈরি হয়। আওয়াজ শুনে ঘরের বাইরে দাড়িয়ে থাকা দেবাশিষবাবু এবং তার শ্যালক দুজনেই ঘরের ভিতরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান সাথীর শরীরের অনেকাংশই পুড়ে গিয়েছে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ঘরের ভিতরের কোনও অংশেই আর পুড়ে যাওয়ার কোনও চিহ্ন নেই। অথচ দুই কামড়ার ঘর কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। ঘরের দরজা ভেঙে গিয়েছে। শোয়ার এবং খাবার ঘরের আসবাবপত্র, দরজা মাটিতে ভেঙে পড়ে আছে। কিন্তু রান্না ঘরে বিষ্ফোরন ঘটলেও সেখানে খুব বেশী ক্ষতি নেই। রান্না ঘরের চিমনি অবিকৃত ছিল। দ্রুত স্ত্রীকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে জান দেবাশিস বাবু।

Conclusion:বাগুইআটি থানার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গোটা ঘর তারা ভাল করে পরিক্ষা করে। কিন্তু সেখানে বিষ্ফোরনের কোনও কারণ তারা জানতে পারেনি। এমনিক রান্না ঘরে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারও একেবারে অবিকৃত ছিল বলেই পুলিশ সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে। তাহলে এই বিষ্ফোরন কিভাবে ঘটল তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এদিকে ওই আবাসনের নিরাপত্তা কর্মি প্রবীরবাবু জানিয়েছেন, "আমাদের আবাসনের সম্পাদক দেবাশিষবাবু। ওই দিন রাতে পাড়ার গণেশ পুজোর ভাসান সেরে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি। পরে আমরা একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই। আর তখনই ছুটে গিয়ে দেখি দেবাশিষবাবু তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন।" এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও একই রকমভাবে এই বিষ্ফোরনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি দেবাশিষবাবুর এক ছেলে এবং মেয়ে। দুজনেই দিল্লির নিবাসী। এমনিতে পরিবারের সকল সদস্যরাই খুব মিশুকে ছিলেন। কিন্তু কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়েই প্রশ্ন সকলের মধ্যে। এদিকে বিধাননগর সিটি পুলিশেত তরফে গোটা ঘটনার কারণ জানার জন্য ফরেন্সিক তদন্তকারি দলকে ডেকে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের দাবি ঘরে কোনওভাবে দাহ্য গ্যাস ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই আগুন জ্বালার সঙ্গে সঙ্গেই তাতে বিষ্ফোরন হয়।
Last Updated : Sep 7, 2019, 3:22 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.