ETV Bharat / city

সিবিএসই-র পরীক্ষা বাতিল, পড়ুয়াদের উপর প্রভাব ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?

মনোবিদ সঞ্চিতা পাকড়াশি বললেন, স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক শিক্ষাও হয় ৷ স্কুল, পরীক্ষা বন্ধ হয়ে সেই পরিসর নষ্ট হচ্ছে ৷

author img

By

Published : Apr 15, 2021, 8:12 AM IST

experts-comments-on-cbse-exam-cancel-and-postponed
experts-comments-on-cbse-exam-cancel-and-postponed

কলকাতা, 15 এপ্রিল: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংকটে গোটা দেশে ৷ এই অবস্থায় সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হয়েছে । দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও স্থগিত হয়েছে । এর ফলে কতটা প্রভাব পড়বে পড়ুয়াদের উপর ? কী বলছেন মনোবিদ, চিকিৎসকরা ?

এমনিতে মহামারী পরিস্থিতি, এইসঙ্গে লকডাউন ছোটো-বড় সকলকেই মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছে ৷ স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হওয়ায় তৈরি হচ্ছে মানসিক অস্থিরতা ৷ তবে, ছেলেমেয়েরা যাতে সংক্রমিত না হয়, সেটাও ভাবতে হবে ৷ তার জন্যে অনলাইন পড়াশুনোই পথ ৷ তবে অনলাইন শিক্ষা কখনই স্কুলের বিকল্প নয় ৷ বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

মনোবিদ, ডক্টর (ডক্টরেট) সঞ্চিতা পাকড়াশি বলেন, "স্কুলে শুধুমাত্র পড়াশোনা হয়, তা নয় । সেখানে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে সামাজিক শিক্ষাও হয় । এই জায়গাটা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ । এইসঙ্গে অনলাইনে পড়াশোনা ও পরীক্ষার ফলে যেটা হচ্ছে, বাচ্চাদের মধ্যে পড়াশোনা নিয়ে সেই সচেতনতা, সতর্কতা অনেকটাই চলে যাচ্ছে ।" সঞ্চিতা রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ৷ বললেন, "নির্বাচন নেতা ও এত মানুষ প্রচারে সামিল হচ্ছেন । এতে কি করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে না ? অবষশ্যই ছড়াচ্ছে । অথচ সমাজের একটি স্তরের মানুষই অস্বস্তিতে পড়ছেন, যাঁরা গত এক বছর ধরে গৃহবন্দি । সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে কি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেত না ?"

আরও পড়ুন: বোর্ড পরীক্ষা বাতিল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শিক্ষক মহলে

বিশিষ্ট মনোবিদের মতে, পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট ব্যবধানে বসিয়ে, স্যানিটাইজ়শনের ব্যবস্থা করে, মাস্ক বাধ্যতামূলক করে একটা ব্যবস্থা করা যেত । স্কুল খোলার পক্ষে সঞ্চিতা পাকড়াশি ৷ তাঁর মতে, 5-6 ঘণ্টার বদলে দুই ঘণ্টা স্কুল হতে পারত ৷ বলেন, "আমি বুঝতে পারছি না, এই ধরনের চিন্তা-ভাবনা সরকারে কেন করছে না । কেনই বা বাবা-মায়েরাও দরবার করছেন না ৷ রোগ থেকে বাঁচাতে গিয়ে বাচ্চাদের মানসিক জায়গাটা অস্বীকার করছেন !"

সম্পূর্ণ বিপরীত মত ফিজ়িওলজ়ি বিভাগের ফ্যাকাল্টি তীর্থঙ্কর গুহ ঠাকুরতার ৷ তিনি বললেন, "মহামারী পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল হওয়াটা গৌণ বিষয় । আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষা বিষয়টিকে এত গুরুত্ব দিই, অথচ একজনের শিক্ষিত হয়ে ওঠার বিষয়ে গুরুত্ব দিই না । আমার মনে হয়, পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত যথার্থ ।"

চিকিৎসক তীর্থঙ্কর গুহ ঠাকুরতা আরও বলেন, "হয়তো এখন ছেলেমেয়েরা কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়বে । কারণ তারা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল । কিন্তু একজন চিকিৎসক, শিক্ষক এবং অভিভাবক হিসাবে মনে করি, এই মূহূর্তে বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলা উচিত না । সম্ভব হলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে । "

কলকাতা, 15 এপ্রিল: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংকটে গোটা দেশে ৷ এই অবস্থায় সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হয়েছে । দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও স্থগিত হয়েছে । এর ফলে কতটা প্রভাব পড়বে পড়ুয়াদের উপর ? কী বলছেন মনোবিদ, চিকিৎসকরা ?

এমনিতে মহামারী পরিস্থিতি, এইসঙ্গে লকডাউন ছোটো-বড় সকলকেই মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছে ৷ স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হওয়ায় তৈরি হচ্ছে মানসিক অস্থিরতা ৷ তবে, ছেলেমেয়েরা যাতে সংক্রমিত না হয়, সেটাও ভাবতে হবে ৷ তার জন্যে অনলাইন পড়াশুনোই পথ ৷ তবে অনলাইন শিক্ষা কখনই স্কুলের বিকল্প নয় ৷ বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

মনোবিদ, ডক্টর (ডক্টরেট) সঞ্চিতা পাকড়াশি বলেন, "স্কুলে শুধুমাত্র পড়াশোনা হয়, তা নয় । সেখানে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে সামাজিক শিক্ষাও হয় । এই জায়গাটা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ । এইসঙ্গে অনলাইনে পড়াশোনা ও পরীক্ষার ফলে যেটা হচ্ছে, বাচ্চাদের মধ্যে পড়াশোনা নিয়ে সেই সচেতনতা, সতর্কতা অনেকটাই চলে যাচ্ছে ।" সঞ্চিতা রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ৷ বললেন, "নির্বাচন নেতা ও এত মানুষ প্রচারে সামিল হচ্ছেন । এতে কি করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে না ? অবষশ্যই ছড়াচ্ছে । অথচ সমাজের একটি স্তরের মানুষই অস্বস্তিতে পড়ছেন, যাঁরা গত এক বছর ধরে গৃহবন্দি । সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে কি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেত না ?"

আরও পড়ুন: বোর্ড পরীক্ষা বাতিল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শিক্ষক মহলে

বিশিষ্ট মনোবিদের মতে, পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট ব্যবধানে বসিয়ে, স্যানিটাইজ়শনের ব্যবস্থা করে, মাস্ক বাধ্যতামূলক করে একটা ব্যবস্থা করা যেত । স্কুল খোলার পক্ষে সঞ্চিতা পাকড়াশি ৷ তাঁর মতে, 5-6 ঘণ্টার বদলে দুই ঘণ্টা স্কুল হতে পারত ৷ বলেন, "আমি বুঝতে পারছি না, এই ধরনের চিন্তা-ভাবনা সরকারে কেন করছে না । কেনই বা বাবা-মায়েরাও দরবার করছেন না ৷ রোগ থেকে বাঁচাতে গিয়ে বাচ্চাদের মানসিক জায়গাটা অস্বীকার করছেন !"

সম্পূর্ণ বিপরীত মত ফিজ়িওলজ়ি বিভাগের ফ্যাকাল্টি তীর্থঙ্কর গুহ ঠাকুরতার ৷ তিনি বললেন, "মহামারী পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল হওয়াটা গৌণ বিষয় । আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষা বিষয়টিকে এত গুরুত্ব দিই, অথচ একজনের শিক্ষিত হয়ে ওঠার বিষয়ে গুরুত্ব দিই না । আমার মনে হয়, পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত যথার্থ ।"

চিকিৎসক তীর্থঙ্কর গুহ ঠাকুরতা আরও বলেন, "হয়তো এখন ছেলেমেয়েরা কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়বে । কারণ তারা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল । কিন্তু একজন চিকিৎসক, শিক্ষক এবং অভিভাবক হিসাবে মনে করি, এই মূহূর্তে বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলা উচিত না । সম্ভব হলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.