কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর: আজ থেকে তিন বছর আগে অর্থাৎ 2019 সালে মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের শুরুতেই মাথার উপরের ছাদটুকু হারিয়ে ছিলেন টালা ব্রিজের নীচ থাকা 100টি পরিবার ৷ তারপর কেটে গিয়েছে তিন বছর ৷ তাঁরা আশ্বাস পেয়েছিলেন নতুন ঘরের ৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত ঘর পাননি ৷ রাত পোহালেই টালা ব্রিজের উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Tala Bridge will be Inaugurate Tomrrow) ৷ তার আগেই ঘরের দাবি জানালেন ঘর হারা বাসিন্দারা ৷ তাঁদের একটাই দাবি, মাথার উপর স্থায়ী ছাদের।
![Tala Bridge](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/16435303_wb_pic.jpg)
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, 1 নম্বর বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা এলাকাবাসীকে টালা ব্রিজ তৈরির কথা জানিয়েছিলেন ৷ তাই তাদেঁর বাসস্থানটুকু ছেড়ে দিতে হবে ৷ পরিবর্তে তাঁদের ঘর দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন ৷ তার উপর ভরসা করেই ঘর ছেড়ে ছিল পরিবারগুলি ৷ মহালয়ার শুভক্ষণে ভিটেহীন হয়েছিল 100টি পরিবার ৷ চোখের সামনে ভেঙে ফেলা হয়েছিল তিল তিল করে গড়ে তোলা ঘর। চোখের জলকে সম্বল করেই বাঁশ কাঠামো প্লাস্টিকের ছাউনিতে মাথা গুঁজে ছিলেন তাঁরা। তিন বছর কেটে গিয়েছে । ঝড় জলে এলোমেলো হয়েছে ঘর। তবু প্রশাসনের তরফে মেলেনি সাহায্য, দাবি বাসিন্দাদের। খাল পারে ঝড় জল ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া, পানীয় জল সমস্যা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে সঙ্গে নিয়েই দিনযাপন করছেন 38-40টি পরিবার। সেতুর কাছে রেলের জমিতে আছে আরও 25-30টি পরিবার আছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আরও বেশ কিছু পরিবার ৷
আরও পড়ুন: পিতৃপক্ষেই খুলছে টালা ব্রিজ, পরশু উদ্বোধন করবেন মমতা
উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দা রুবি হরি বলেন, ‘‘2019- এ মহালয়ার দিন বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহার কথায় তাঁরা ঘর ছাড়েন ৷ তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, সেতু হয়ে গেলে ব্যাবস্থা করে দেব। তিন বছর কেটে গেলেও কিছু করেননি। বহু জায়গায় গিয়েছি । আমাদের খুব অবস্থা খারাপ । শুধু আশ্বাস দিচ্ছেন। দিদি আসবেন, কোনও ব্যাবস্থা তিনি করবেন। উন্নয়নে বাধা দিচ্ছি না। আমরা তো মানুষ, আমাদের তো ঘর দরকার। কাল আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত-পা ধরে আবেদন করব।’’