কলকাতা, 29 অগাস্ট: সেপ্টেম্বরে শুরু হবে আনলক 4 । সেপ্টেম্বর থেকেই লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা চালু হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। পরিষেবা চালু হলে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালাতে হবে ট্রেন। মানতে হবে সামাজিক দূরত্বও। ধাপে ধাপে প্রস্তুত হচ্ছে পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেল, জানাল কতৃপক্ষ।
শুক্রবার এই বিষয়ে শিয়ালদা ডিভিশনের বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন শিয়ালদার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (DRM) সিলেন্দ্র প্রতাপ সিং। দীর্ঘ ছয় মাস চলেনি লোকাল ট্রেন। তাই যেদিনই পরিষেবা শুরু হোক, বিভিন্ন বিভাগ ঠিক কতখানি প্রস্তুত সেই দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। পাশাপাশি ট্রেন পরিষেবা শুরু হলে কোরোনা মোকাবিলায় কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়। সাধারণত শিয়ালদা বিভাগে প্রায় 768টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে প্রতিদিন। অন্যদিকে হাওড়া ডিভিশনে চলে প্রায় 212টি লোকাল ট্রেন। এর আগের একটি বৈঠকে DRM জানিয়েছিলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শুধুমাত্র যাঁদের কাছে বৈধ টিকিট থাকবে তাঁদেরকেই প্ল্যাটফর্ম চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
শুক্রবার সিলেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, "ইন্টার্নাল বৈঠক ছিল। যদিও এই বৈঠকে ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে একটা কথা বলতে পারি, ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নির্ভর করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকার উপর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে নির্দেশিকা এলে তা যাবে রেল মন্ত্রকের কাছে। এরপর রেল মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেবে ঠিক কবে থেকে এবং কী কী সতর্কতা মেনে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে। এরপর রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।"
শিয়ালদার DRM আরও জানান, "এই মুহূর্তে সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় পরিষেবা শুরু করার কোনও নির্দেশিকা নেই। তবে, ধাপে ধাপে আমরাও প্রস্তুত হচ্ছি। যখনই সবুজ সঙ্কেত পাব তখনই পরিষেবা আরম্ভ করব। পরিষেবা চালু হলে প্রয়োজনে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।"
অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক বিধান চন্দ্র বলেন, "প্রতিটি স্টেশন, স্টেশন চত্বর, বুকিং অফিস সহ অন্যান্য স্থানগুলিও স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। ট্রেন পরিষেবা চালু করতে দক্ষিণ পূর্ব রেল প্রস্তুত। যেদিন বলবে সেদিন থেকে আমরা ট্রেন চালাতে পারব।"