কলকাতা, 6 নভেম্বর : পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো বাজারে আলুর দামে বড় ফারাক । এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা বাজারে হানা দিয়ে বুঝতে পারলেন তেমনটাই। অন্তত বেহালা বাজারে প্রতি কেজি 6 টাকা বেশি দরে আলু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশ্ন তোলেন এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা। আর তাতেই আঁতে ঘা লেগে যায় ব্যবসায়ীদের। তাঁরা উত্তেজিতভাবে বচসা শুরু করেন এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকদের সঙ্গে।
হিমঘরে আলু মজুত আছে যথেষ্টই। কিন্তু খোলাবাজারে মধ্যবিত্তের পকেটে রীতিমতো ছ্যাঁকা লাগাচ্ছে আলুর দাম। সরকার ট্রান্সপোর্ট আলুর দাম 25 টাকা প্রতি কিলোতে বেঁধে দিয়েছে। গত অগাস্টের শুরুতে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, 25 টাকার বেশি কিলো প্রতি আলুর দর নেওয়া যাবে না। কিন্তু, সেটা কথার কথা হয়ে রয়ে গেছে। তাই আর বাবা বাছা নয়। এবার কড়া পদক্ষেপের পথেই হাঁটছে প্রশাসন। আজ সকাল থেকেই এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা চারটি দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন বাজারে হানাদারি চালায়। টালা থেকে টালিগঞ্জ, বেলেঘাটা থেকে বেহালার বাজারে চলে হানাদারি।
বেহালার বাজারে প্রথমে সবজি বাজার ঘুরে দেখেন এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা। বোঝা যায়, বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ব্যবসায়ীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন আধিকারিকরা। পরে যখন আলু পেঁয়াজের বাজারে ঢোকেন, তখন তাঁরা দেখেন কলকাতা শহরে অন্যান্য বাজারের থেকে বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে বেহালা বাজারে। অফিসাররা প্রতিবাদ করেন। তখন আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসারদের বচসা বেধে যায়। অভিযোগ, অফিসারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বিক্রেতারা। একজন আলু ব্যবসায়ী তার মধ্যে আজকের আলু কেনার চালান দেখান। দেখা যায়, আলু কেনা পড়েছে 36 টাকা কেজি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আলু বিক্রি করছেন 42 টাকায়। কেন আলুর দাম কিলো প্রতি 6 টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে? অফিসাররা তার প্রতিবাদ করলে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বচসা বেধে যায়। পরে রিপোর্ট লিখে অফিসাররা চলে যান বাজার থেকে।