কলকাতা, 26 অগস্ট : নিয়োগ দুর্নীতিতে (Bengal Recruitment Scam) গ্রেফতার হয়ে এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ৷ আপাতত তাঁর ঠিকানা কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেল (Presidency Correctional Home) ৷ শুক্রবার সেখানে গিয়েই পার্থকে জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ৷ ইডি সূত্রের খবর, এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনেকটা গল্পের ছলে কথা বলেন তদন্তকারীদের সঙ্গে৷ ঠান্ডা মেজাজে উত্তর দেন সব প্রশ্নের ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গ্রেফতার হওয়ার পর টানা 14 দিন ইডির হেফাজতে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সামনে এসেছিল ৷ ইডি সূত্রের খবর, জেল হেফাজতে কিন্তু অনেকটাই শান্ত মেজাজে এদিন পাওয়া গিয়েছে রাজ্য়ের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ৷
নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যেদিন ইডি (ED) অভিযান চালায় ৷ সেদিনই পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Aprita Mukherjee) বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় 22 কোটি টাকা ৷ তার পরই পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ এর পর অর্পিতার অন্য একটি ফ্ল্য়াট থেকে আরও প্রায় 28 কোটি টাকা উদ্ধার হয় ৷ এছাড়া কয়েক কোটি টাকার সোনার গয়না, জমির নথিপত্র, বিমার কাগজও উদ্ধার হয়েছে ৷
এদিন ইডির আধিকারিকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এই সব প্রশ্নেরই উত্তর চেয়েছেন ৷ তবে তিনি কী উত্তর দিয়েছেন, তা নিয়ে ইডি আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন ৷ একটি সূত্রের খবর, কার নির্দেশে এই নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে, এই প্রশ্নও করা হয় ৷ উত্তরে পার্থ কী জানিয়েছেন, তা জানা যায়নি ৷
একই সঙ্গে এদিন ইডির আধিকারিকরা বেশ কিছু নথি নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ সেই নথিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই রয়েছে ৷ ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয় যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই নথিতে পার্থ কী নিজেই সই করেছিলেন, নাকি অন্য কারও নির্দেশে তাঁকে এই কাজ করতে হয়েছিল ? যদি সেটা হয়ে থাকে, তাহলে ওই নথিগুলিতে সই করতে কে নির্দেশ দিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ?
আরও পড়ুন : ইডির থেকে পার্থ সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল সংগ্রহ সিবিআইয়ের