কলকাতা, ২৬ মার্চ: কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্যের জন্য ২০০ কোটির আপৎকালীন ত্রাণ তহবিল শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই তহবিলে দল-মত নির্বিশেষে, বিধায়ক, সব স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকলকে মুক্তহস্তে দান করার আবেদন জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । আজ তিনি নিজেই সেই ত্রাণ তহবিলে তহবিলে বিধায়ক বেতন থেকে ২ লাখ টাকা দান করলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে মুক্ত হস্তে দান করার আবেদন জানিয়ে গতকাল ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, SSK, MSK, পার্শ্বশিক্ষক, আংশিক সময়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীসহ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সকলকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করার আবেদন করেন। আবেদন জানান তৃণমূল, বাম সহ অন্যান্য গণসংগঠনগুলির কাছেও । পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে তিনি বিধায়কদের উদ্দেশ্যেও বলেন, "আমি সকল বিধায়কদের কাছে অনুরোধ জানাব আপনারা এ বিষয়ে সুচিন্তিতভাবে আপনাদের অর্জিত অর্থ, যা বিধানসভায় আমরা বেতন হিসাবে পাই, তার কিছু অংশ বা আপনারা যেটা ভালো বুঝবেন তা যদি এই তহবিলে দান করা যায়, তাহলে কাজটা অনেক বেশি তৎপরতার সঙ্গে করা যাবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা যেন সবাই এই মুহূর্তে সরকারের পাশে দাঁড়াই।"
নিজের আবেদন অনুযায়ীই আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় 2 লাখ টাকা দান করলেন মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে। তিনি নিজের ফেসবুকে এ বিষয়ে লেখেন, "কোরোনা ত্রাণ তহবিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আমি বিধায়কের বেতন থেকে ২ লাখ টাকা ত্রাণ তহবিলে দান করলাম।"
অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও । অধ্যাপক, পার্শশিক্ষক, অতিথি অধ্যাপক, প্রাথমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের মতো বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকরা, এমনকি চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষকরাও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তহবিলে দান করছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অধ্যাপক সংগঠন যত দ্রুত সম্ভব সংঘবদ্ধভাবে এই ত্রাণ তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে দান করবেন ।’’