কলকাতা,29 জুলাই : রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরেও চমকে দেওয়ার মতো নানা তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। দীর্ঘ সাড়ে ২৭ ঘন্টার জেরার পর শনিবার গ্রেফতারির সময় তাঁর নাকতলার বাড়ি থেকে বহু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে (ED seized many documents involving SSC scam) ৷ সেইগুলির পরীক্ষা করেই অবাক হওয়ার মতো বিভিন্ন তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের ৷
ইডি আধিকারিকদের অনুমান, খাতায়-কলমে জমি-বাড়ি,পরিবহণ থেকে শুরু করে আরও বেশ কিছু ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন রাজ্য় মন্ত্রিসভার এই প্রাক্তন হেভিওয়েট সদস্য ৷ কিন্তু আসলে সেই সব সংস্থার কোনও অস্তিত্বই নেই। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া নথি থেকে সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে ৷ কিন্তু বাস্তবে তাঁদেরও কোনও অস্তিত্ব নেই বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ তাঁদের অনুমান, এভাবে একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খুলে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে জাল পরিচয় পত্র বানিয়ে তাদেরকে ডিরেক্টর পদ দেখিয়ে ঘুরপথে অন্যত্র কালো টাকা পাচার করে দেওয়া হতো।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বাড়িতে গেলেও গুপ্তধন পেত এজেন্সি, বিস্ফোরক কুণাল
কলকাতা থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ জেলায় জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক সংস্থা ৷ কিন্তু তাদের বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই নেই। অন্যদিকে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া নথি থেকেও বিভিন্ন ব্যক্তির নাম এবং পরিচয় পত্র পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অস্তিত্ব এখনও পাওয়া যায়নি যায়নি। এভাবেও টাকা পাচার হত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷ এসব দেখে তাঁদের সন্দেহ উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটির বাইরেও আরও বেশ কিছু আর্থিক লেনেদেন হয়ে থাকতে পারে ৷