কলকাতা, 23 জুলাই: এসএসসি টেট দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে নেমে এবার রাজ্য পুলিশের ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ(ডিজিপি) মনোজ মালব্যের কাছে নিরাপত্তা চাইল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা (ED Seeks Security from WB Police)। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা চাইছে ?
রাজ্যে কয়লা পাচার কাণ্ডে থেকে শুরু করে গরু পাচার কাণ্ড এবং শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা সিবিআই গোয়েন্দারা যখন কোথাও তল্লাশি অভিযানে যাচ্ছেন সেই সময়ে নিজেদের সঙ্গে রাখছেন সিআররপিএফ বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের । এই বিষয়ে পুলিশ মহলের একাংশের দাবি গতকাল হরিদেবপুরে একটি অভিজাত আবাসন থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক অভিনেত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় 21 কোটি টাকা, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও একাধিক দামি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র । সেগুলির নিরাপত্তার স্বার্থে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর এর গোয়েন্দারা রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা চাইতে পারেন। শুধু তাই নয় এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে যদি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করে সে ক্ষেত্রে যদি এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ইডি আধিকারিকরা ৷ তাই রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে আগাম নিরাপত্তা চেয়ে রাখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দারা। তবে এই বিষয়ে ভবানী ভবনের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: "ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই", সাফাই কুণালের
রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে এবার কোমর বেঁধে সিবিআই এর সঙ্গে ময়দানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গোয়েন্দাদের অনুমান, যোগ্য প্রার্থীদের নাম প্যানেল থেকে সরিয়ে এবং রাজ্যের রাজনৈতিক প্রভাবশালী থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রভাবশালীদের কথায় অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়া হয়েছে । তার পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা । আর সেই টাকা থেকে কোনও কোনও প্রভাবশালী লাভবান হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।