ETV Bharat / city

বউবাজারের ধ্বংসস্তূপে মা এলেন শান্তি রূপে

নেই থিম ৷ নেই মণ্ডপসজ্জার চমক৷ তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তৈরি এই মণ্ডপে আন্তরিকতার অভাব নেই ৷ এলাকাবাসীদের একটাই প্রার্থনা ফিরে আসুক শান্তি । বন্ধ হোক ধ্বংসলীলা । সমস্ত অশুভ শক্তিকে হারিয়ে প্রতিষ্ঠিত হোক শুভ শক্তির জয় ।

প্রতিমা
author img

By

Published : Oct 4, 2019, 11:34 PM IST

কলকাতা : ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন ও স্যাঁকরাপাড়া লেনে ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি ৷ ফাটল ধরেছে অনেক বাড়িতে ৷ ঘরছাড়া প্রায় 350টি পরিবার ৷ এই পরিস্থিতিতেও পুজো বন্ধ হবে না সিদ্ধান্ত স্যাঁকরা পাড়ার বাসিন্দাদের ৷ পুজোর জন্য অনুমতি পেতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনপত্র জমা দেন তারা ৷ অবশেষে অনুমতিও পান ৷ অন্য বছরের মতো হয়তো এবার সেই জাঁকজমক নেই ৷ তবে সাদামাটা ভাবেই মাতৃবন্দনায় মেতেছেন এলাকাবাসী ৷

নেই থিম ৷ নেই মণ্ডপসজ্জার চমক৷ তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তৈরি এই মণ্ডপে আন্তরিকতার অভাব নেই ৷ এলাকাবাসীদের একটাই প্রার্থনা ফিরে আসুক শান্তি । বন্ধ হোক ধ্বংসলীলা । সমস্ত অশুভ শক্তিকে হারিয়ে প্রতিষ্ঠিত হোক শুভ শক্তির জয় ।

প্রতি বছর 12 ফুটের প্রতিমা আসে । সেখানে এ বছর প্রতিমার উচ্চতা 5 ফুট । মণ্ডপের উচ্চতাও কমে হয়েছে 8 ফুট । সেইসঙ্গে রয়েছে হাজারটা বিধিনিষেধ । মণ্ডপের সামনে সাধারণ দর্শকের যাবার অনুমতি নেই । যাওয়ার অনুমতি শুধু মিলেছে পুজো উদ্যোক্তাদের ও এই পাড়ার বাসিন্দাদের । এ বছর 58তম বর্ষে পা দিল স্যাঁকরা পাড়া দুর্গাপুজো । যতই নিয়মের নিষেধ থাকুক, যতই অবসাদ থাকুক, উমা আসার আনন্দ সব দুঃখ-অবসাদকে ছাপিয়ে গেছে আজ, বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

স্থানীয় বাসিন্দা মৌমিতা ঘোষ বলেন, "আমার বাড়িতে ফাটল ধরেছে ৷ এখন আমি হোটেলে রয়েছি ৷ পুজো হবে না শুনে প্রথমে খুব কষ্ট হয়েছিল ৷ তারপর পুজো হবে জেনে খুব ভালো লাগল ৷"

কলকাতা : ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন ও স্যাঁকরাপাড়া লেনে ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি ৷ ফাটল ধরেছে অনেক বাড়িতে ৷ ঘরছাড়া প্রায় 350টি পরিবার ৷ এই পরিস্থিতিতেও পুজো বন্ধ হবে না সিদ্ধান্ত স্যাঁকরা পাড়ার বাসিন্দাদের ৷ পুজোর জন্য অনুমতি পেতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনপত্র জমা দেন তারা ৷ অবশেষে অনুমতিও পান ৷ অন্য বছরের মতো হয়তো এবার সেই জাঁকজমক নেই ৷ তবে সাদামাটা ভাবেই মাতৃবন্দনায় মেতেছেন এলাকাবাসী ৷

নেই থিম ৷ নেই মণ্ডপসজ্জার চমক৷ তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তৈরি এই মণ্ডপে আন্তরিকতার অভাব নেই ৷ এলাকাবাসীদের একটাই প্রার্থনা ফিরে আসুক শান্তি । বন্ধ হোক ধ্বংসলীলা । সমস্ত অশুভ শক্তিকে হারিয়ে প্রতিষ্ঠিত হোক শুভ শক্তির জয় ।

প্রতি বছর 12 ফুটের প্রতিমা আসে । সেখানে এ বছর প্রতিমার উচ্চতা 5 ফুট । মণ্ডপের উচ্চতাও কমে হয়েছে 8 ফুট । সেইসঙ্গে রয়েছে হাজারটা বিধিনিষেধ । মণ্ডপের সামনে সাধারণ দর্শকের যাবার অনুমতি নেই । যাওয়ার অনুমতি শুধু মিলেছে পুজো উদ্যোক্তাদের ও এই পাড়ার বাসিন্দাদের । এ বছর 58তম বর্ষে পা দিল স্যাঁকরা পাড়া দুর্গাপুজো । যতই নিয়মের নিষেধ থাকুক, যতই অবসাদ থাকুক, উমা আসার আনন্দ সব দুঃখ-অবসাদকে ছাপিয়ে গেছে আজ, বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

স্থানীয় বাসিন্দা মৌমিতা ঘোষ বলেন, "আমার বাড়িতে ফাটল ধরেছে ৷ এখন আমি হোটেলে রয়েছি ৷ পুজো হবে না শুনে প্রথমে খুব কষ্ট হয়েছিল ৷ তারপর পুজো হবে জেনে খুব ভালো লাগল ৷"

Intro:ধ্বংসস্তূপে মা এলেন শান্তি রূপে-- এক অন্য দুর্গা পুজোর কাহিনী। এখানে ধ্বংসলীলার যেন অসুর হয়ে এসেছিল স‍্যাকরা পাড়ার বুকে।মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য দুর্গা পাতুরি লেন ও স‍্যাকরা পারা একের পর এক বাড়ি ভেঙে ধুলিস্যাৎ হয়ে পড়ে। ফাটল ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহুবারই। এই ঘটনায় আতঙ্কে বহু মানুষ নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। অনেকেই গৃহহীন হয়েছেন। বিষয় সম্বল হারিয়ে অসহায় নিরাশ্রয় মানুষ খুজেছে তাদের হারিয়ে যাওয়া মাথার ওপর ছাদ। এই অবস্থাতেই স‍্যাকরা পারা লেনের বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নেন পুজো বন্ধ হবে না। যেভাবেই হোক মাকে ফিরিয়ে আনতে হবে তাহলেই ফিরবে শান্তি থামবে ধ্বংসলীলা। এর পরেই তারা পুজো করার আবেদন চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনপত্র জমা দেন। অবশেষে অনুমতি পায় এই পুজোর।


Body: এখনও সাকরা পাড়া সেই ধ্বংসলীলার আতঙ্ক বাসিন্দাদের মনের মধ্যে রয়েছে। অসহায় অবসাদপূর্ণ এই পরিস্থিতির মধ্যেও এক লহমায় খুশির হাওয়া নিয়ে এলো সা্যাকরা পাড়া বাসিন্দাদের মনে। অবশেষে ধ্বংসস্তূপের মাঝেই তৈরি হয়েছে মন্ডপ। আর সেই মণ্ডপেই ঘরের মেয়ে উমা ফিরে এসেছে। শত জাঁকজমক কমেছে অনেকটাই প্রতিমার আকার অন্য বছরের তুলনায় ছোট। মন্ডপ শাদামাতা নেই বেশি জাঁকজমক। নকশা কারুকার্য কিছু না থাকলেও এ পুজো এলাকাবাসীর অনেক বেশি হৃদয়ের। তাই আজ অবসাদ কাটিয়ে খুশির হাওয়া বাসিন্দাদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে। আগামী কাল ভোরে বোধনের পুজো দিয়ে শুরু হবে দেবী বন্দনা। এলাকাবাসীর প্রার্থনা ফিরে আসুক শান্তি। বন্ধ হোক ধ্বংসলীলা। সমস্ত অশুভ শক্তিকে হারিয়ে প্রতিষ্ঠিত হোক শুভ শক্তি।


Conclusion: মহাপ্রলয় ধ্বংসস্তূপে মা আসুক শান্তি রূপে, এই বিশ্বাস এই পুজো আয়োজন করেছেন স‍্যাকরা পাড়ার পুজো উদ্যোক্তারা। প্রতিবাদ 12 ফুট এর প্রতিমা আসে। সেইখানে এবছর প্রতিমার উচ্চতা 5 ফুট। সামঞ্জস্য ভাবে মন্ডপের উচ্চতা কমে হয়েছে 8 ফুট। রয়েছে হাজারো বিধি নিষেধ। মণ্ডপের সামনে সাধারণ দর্শকের যাবার অনুমতি নেই। মন্ডবে যাওয়ার অনুমতি শুধু মিলেছে পুজো উদ্যোক্তাদের ও এই পাড়ার বাসিন্দাদের। এবছর 58 তম বর্ষে পা দিল সাকরা পাড়া দুর্গাপুজো। যতই নিয়মের নিষেধ থাকুক , যতই অবসাদ থাকুক ।উমা আসার আনন্দ সব দুঃখ অবসাদ কে ছাপিয়ে গেছে আজ। পাড়ার সকলে আজ ব্যস্ত ওমা বরণের প্রস্তুতিতে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.