কলকাতা, 29 : পূর্বাভাস ছিলই ৷ সেই মতো মঙ্গলবার রাত থেকে অঝোরে বৃষ্টি চলছে কলকাতা শহর ও শহরতলীতে । বুধবার সকালেও অব্যাহত বৃষ্টি ৷ দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকা ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সারাদিনই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত চলবে । বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর । আজ সন্ধ্যার পর কলকাতা ও সন্নিহিত অংশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমার সম্ভাবনা রয়েছে । তবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ । আজ সকাল পর্যন্ত কলকাতা শহরের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণের যে তথ্য মিলেছে সেই অনুযায়ী, মানিকতলায় 38 মিলিমিটার, বেলগাছিয়ায় 63 মিলিমিটার, ধাপা লকগেটে 21 মিলিমিটার, তপসিয়ায় 131 মিলিমিটার, উল্টোডাঙ্গায় 29 মিলিমিটার, পালমের ব্রিজ এলাকায় 38 মিলিমিটার, ঠনঠনিয়ায় 38 মিলিমিটার, বালিগঞ্জে 32 মিলিমিটার, মোমিনপুরে 34 মিলিমিটার, চেতলায় 46 মিলিমিটার, যোধপুর পার্কে 45 মিলিমিটার, কালীঘাটে 57 মিলিমিটার, দত্ত বাগানে 23 মিলিমিটার, জিনজিরা বাজারে 59 মিলিমিটার, বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে 63 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Ahiritola Building Collapse : টানা বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পুরানো বাড়ির একাংশ
ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বেহালা, আলিপুর, খিদিরপুর, একবালপুর, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, উল্টোডাঙ্গা, পাতিপুকুর আন্ডারপাস, সুখিয়া স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, কলেজস্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, এম জি রোড, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকা-সহ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা ।
অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা 6:48 মিনিটে গঙ্গার জলস্তর হবে 4.31 মিটার (14.14ft)৷ আগাম সতর্কতা হিসেবে লকগেট বন্ধ রাখা হবে বিকেল 4.45 থেকে রাত 8.45 পর্যন্ত । পৌরনিগম সূত্রে খবর, গঙ্গার পাশের লকগেটগুলি যখন বন্ধ থাকবে তখন যদি বৃষ্টি হয় তবে শহরে জল জমবে । লকগেট খোলার পর জল দ্রুত নেমে যাবে জানিয়েছেন কলকাতা পৌর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তারক সিং । এই মুহূর্তে কলকাতায় 76 টি পাম্পিং স্টেশন সচল রয়েছে । 76 টি পাম্পিং স্টেশনে এই মুহূর্তে কাজ করছে 408টি পাম্প । সেইসঙ্গে নিচু এলাকা থেকে জল নাম আমার জন্য আরও 450 টি অতিরিক্ত পাম্পিং মটর এর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম । বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে শহরের নিচু এলাকাগুলিতে মোটর বসিয়ে দ্রুত জমা জল বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌরনিগম ৷