কলকাতা, 24 অক্টোবর : আশঙ্কা সত্যি করে পুজো মিটতেই কলকাতা এবং শহরতলিতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে ৷ কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, গত 24 ঘণ্টায় শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন 449 জন ৷ অথচ স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সংখ্যাটা 268 ৷ আর তার পরেই আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে পৌরনিগম ও স্বাস্থ্য দফতরের মতানৈক্য প্রকাশ্যে ৷
পুজোর দিনগুলিতে বাঁধ ভাঙা ভিড় দেখা গিয়েছিল কলকাতার রাস্তায় ৷ বেপরোয়া ভিড়ের ধাক্কায় ধুয়ে মুছে গিয়েছিল সমস্ত করোনাবিধি ৷ এই অবস্থায় পুজো মিটতেই কলকাতায় বাড়ছে করোনার হানা ৷ গত 24 ঘণ্টায় শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে শতাধিক ৷ আর এই সংখ্যা নিয়েই প্রকট হয়েছে পৌরনিগম ও স্বাস্থ্য দফতরের মতানৈক্য ৷ পৌরনিগমের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী শনিবার একদিনে কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে 449 জন ৷ আরও চিন্তার বিষয় হল, এই 449 জনের মধ্যে 257 জন উপসর্গহীন এবং 194 জন দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৷ যদিও করোনা ভাইরাসের এই বাড়বাড়ন্তের জন্য সাধারণ মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা ৷
আরও পড়ুন : Covid-19: করোনা সচেতনতায় পদযাত্রা জলপাইগুড়ি পুলিশের
তাঁরা বলছেন, পুজোর ক’দিন যাঁরা নিয়ম না মেনে যথেচ্ছাচার করেছেন ৷ ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে এই ধরনের উপসর্গ আসছে ৷ যে ভয় আমরা পাচ্ছিলাম তা ক্রমেই সত্যি হচ্ছে ৷ কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম মেনে নিচ্ছেন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা ৷ তবে, প্র্যাকটিক্যাল যে সমস্যা সবচেয়ে বেশি পৌরনিগমের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা হল, উপসর্গহীন রোগীদের সঙ্গে মিশে যাঁদের করোনা হচ্ছে, সেই সমস্ত উপসর্গহীনদের চিহ্নিত করা ৷ এই অবস্থায় পৌরনিগমের পক্ষে কনটেইনমেন্ট জোনগুলিকে নির্দিষ্ট করাও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : Viral Infection : বর্ধমান মেডিক্যালে এক মাসে মৃত্যু 9 শিশুর, ভর্তি 1200 ; কোভিড নয় বলে দাবি চিকিৎসকদের
তবে, এই অবস্থায় শুধু আশঙ্কার কথা শুনিয়েই চুপ করে বসে থাকেনি পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ ৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যে সমস্ত সেশনগুলি শুরু করা হয়েছিল ৷ সেগুলি আবার চালু করার বিষয় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ ইতিমধ্যেই, তপসিয়ায় একটি সেফহোমের দ্রুত সংস্কারের কাজ চালাচ্ছে কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য দফতর ৷ একইভাবে টেংরায় পৌরনিগম পরিচালিত চম্পামণি মাতৃ সদনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৷ উত্তর কলকাতার হরেকৃষ্ণ শেখ লেনে তৈরি করা হয়েছে 60 শয্যার চাইল্ড অ্যান্ড মাদার সেফ হোম ৷ অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে ৷ এখানেই শেষ নয়, পৌরনিগমের তরফে যেমন করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে ৷ একইভাবে কারা কারা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে ৷