কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর : আগামী 30 সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (Bhabanipur By Election) ৷ শুক্রবার আলিপুরে সার্ভে বিল্ডিংয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়তে দেখা যাবে বিজেপির আইনজীবী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে ৷ তবে উপনির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পুরো মন্ত্রীসভাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷
করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা নিয়ে আগেই আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ এ সম্পর্কে এদিন দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, "আইনি পথে তো সাধারণ মানুষই গিয়েছেন। ওখানকার লোকই প্রশ্ন করেছেন, কেন এধরণের নির্বাচন হচ্ছে ৷ স্বাভাবিক পার্টির তো আর কেস লড়ার কথা নয়। কেউ না-করলে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। মানুষই তা করেছেন ৷ আমাদের লড়াই পুরোপুরি হবে ৷ আমরা তো এখনও নামিনি। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পুরো মন্ত্রীসভাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন। বুঝতেই পারছেন বিজেপির ভয় কতটা।"
আরও পড়ুন : ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতার মনোনয়ন জমা
এছাড়াও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে প্রশাসনকে একহাত নেন বিজেপি নেতা ৷ নিউটাউনের ইকোপার্কে শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণের পর শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, "বলার কিছু নেই। এই সরকার স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে কাজ করছে ৷ কারও কথা শুনতে রাজি নয়। সরকারী কর্মচারীরা সবদিক দিয়ে বঞ্চিত ৷ বিক্ষোভ আন্দোলনের মাধ্যমে তারা নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন ৷ একই আন্দোলন বিশ্বভারতীতে হলে এই সরকার সাপোর্ট করছে ৷ টিচার্স, কর্মচারী আর পুলিশের লোকেরা যদি আন্দোলন করে নিজের অধিকারের জন্য, তখন তাদের ট্রান্সফার করার ভয় দেখানো হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে তুলে আনা হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "মিডিয়ার লোকেরা সরকারের সমালোচনা করলে রাত একটার সময় তাকে তুলে আনা হচ্ছে ৷ ভয় দেখানো হচ্ছে, যাতে কেউ সমালোচনা না-করে। যা ইচ্ছা করতে পারেন। প্রশাসনের উপর সরকারের কোনও কন্ট্রোল নেই। পুলিশ প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা না-করে পার্টির সেবা করছে ৷ এর ফলে পুরো সমাজের চোর-ডাকাত ও গুন্ডাবদমাশ টেরোরিস্টদের দাদাগিরি চলছে।"
দেবদত্ত মাঝির হোমগার্ডকে চড় মারা প্রসঙ্গে রাজ্যের এটাই বাস্তব চিত্র বলে কটাক্ষ করেন দিলীপবাবু ৷ তিনি বলেন, " ও তো স্বাভাবিক ঘটনা ৷ আমাদেরকে সুযোগ পেলে একটা কেস দিয়ে দেয়। হাসপাতালে আমাদের লোককে ঢুকতেই দিচ্ছে না ৷ আমরা মরদেহ আনতে যাচ্ছি, এর চেয়ে বড় অপরাধ কী হবে ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে এর জন্য সুয়োমোটো কেস হওয়া উচিত। দেবদত্ত যদি কিছু করে থাকে, তার বিচার হওয়া উচিত।"