কলকাতা, 2 জুলাই : মুকুল রায়কে (Mukul Roy) নিলর্জ্জ বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ কারণ, মুকুল রায় শুক্রবার বিধানসভায় বিজেপির (BJP) বেঞ্চে বসেছিলেন ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, মুকুল রায় এখনও কৃষ্ণনগরের উত্তরের বিধায়ক ৷ ওই আসনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়াই করেছিলেন ৷ কিন্তু জেতার পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগদান করেন ৷ অথচ তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি ৷ খাতায় কলমে তিনি এখনও বিরোধী দলের বিধায়ক ৷ আর সেই কারণেই বিধানসভায় তিনি বিরোধী বেঞ্চে বসার জায়গা পেয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : বিধানসভায় অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপির বিক্ষোভ, চার মিনিটেই শেষ রাজ্যপালের ভাষণ
এই প্রসঙ্গটিই শুক্রবার তুলে ধরেন দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি জানান, মুকুল রায় বিজেপির হয়ে জিতেছেন ৷ তার পর তৃণমূলের পতাকা ধরে ওই দলে যোগদান করেছেন ৷ অথচ নিলর্জ্জের মতো আজ বিজেপির বেঞ্চে বসেছিলেন ৷ তাই গোটা ঘটনাটিকে নাটক বলে ব্যাখ্যা করেছেন দিলীপ ঘোষ ৷
কেন মুকুল রায় বিজেপির বেঞ্চে বসেছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷ তিনি জানতে চান যে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (Public Accounts Committee) চেয়ারম্যান হওয়ার জন্যই কি বিরোধীদের দিকে বসেছেন মুকুল রায় ?
আরও পড়ুন : বিজেপির বাধায় প্রথম দিনই তপ্ত বিধানসভা, 'স্বৈরতান্ত্রিক' সরকারের বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু
এছাড়া এদিন একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ ৷ কলকাতা হাইকোর্ট যে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে ৷ এই নিয়ে তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের সর্বস্তরে দুর্নীতি ছড়িয়ে গিয়েছে ৷ একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ ৷
উল্লেখ্য, এদিন বিধানসভার অধিবেশন হয় মাত্র চার মিনিট ৷ বিজেপির বিক্ষোভে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) ভাষণ পাঠ করতে পারেননি ৷ বিজেপির দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েই বিক্ষোভ দেখানো হয় ৷ এই নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, বিধানসভায় বিজেপির ভূমিকা দলের অন্দরে নেওয়া প্রস্তাব মেনেই করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : দলবদলেও বাঁচবে কি, শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি কুণালের
এছাড়া ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি ৷ আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলেও, তাঁদের ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ৷