মেদিনীপুর, 15 সেপ্টেম্বর : মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) ফের একবার ভোটে হারানোই তাঁদের লক্ষ্য ৷ মেদিনীপুরে দলীয় কর্মসূচিতে এসে একথা বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ তাঁর অভিযোগ, নিয়ম মাফিক সমস্ত ভোটপ্রার্থীকেই তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা মোকদ্দমার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হয় ৷ মনোনয়ন পেশের সময়েই এইসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য পেশ করার কথা ৷ কিন্তু মমতা সেই নিয়ম মানেননি ৷ তাই তাঁর মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত বলেই মনে করেন দিলীপ ৷ প্রসঙ্গত, এই একই তত্ত্বকে সামনে রেখে মমতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলে সরব হয়েছেন ভবানীপুর (Bhabanipur) বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সজল ঘোষ ৷
আরও পড়ুন : Priyanka Tibrewal : প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ, জবাব তলব কমিশনের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসন থেকে ভোটে লড়েন মমতা ৷ কিন্তু, সেই আসনে পরাজিত হতে হয় তাঁকে ৷ মমতাকে হারিয়ে বিধায়ক হন বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ তবে নন্দীগ্রামে হারলেও তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে সরকার গড়ে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা স্বয়ং ৷ মোটামুটি তখনই স্থির হয়ে গিয়েছিল, ছ’মাসের মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসন থেকেই ফের ভোটে দাঁড়াবেন মমতা ৷ কারণ, ওই আসনে তাঁর জয় একপ্রকার নিশ্চিত বলে মত ওয়াকিহাল মহলের ৷
সূত্রের খবর, আসন্ন উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের জয় নিয়ে আশাবাদী তৃণমূলশিবিরও ৷ তবুও প্রচারে ও জনসংযোগে খামতি রাখছেন না তৃণমূলনেত্রী ৷ নিজের গড়ে তাঁকে হারানো যে কঠিন, সেকথা অজানা নয় প্রধান বিরোধী বিজোপি-রও ৷ বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এই কারণেই যেকোনওভাবে মমতাকে আটকাতে মরিয়া গেরুয়াশিবির ৷ সেক্ষেত্রে মমতা যদি মনোনয়ন পেশ করতে গিয়ে কোনও অনিয়ম করেন, তবে তা লুফে নেবে বিজেপি ৷ মমতার বিরুদ্ধে মামলার তথ্যাবলী সামনে এনে সেই কাজই করছে তারা ৷
আরও পড়ুন : Abhishek Banerjee : ভিন্ন কায়দায় মমতার হয়ে প্রচারে নামছেন অভিষেক
পাশাপাশি, নন্দীগ্রামে মমতাকে হারতে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ৷ সেই ফল নিয়ে দীর্ঘদিন নানা আলোচনা, সমালোচনা চললেও শেষমেশ নতুন করে ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি আগামী পাঁচ বছরের জন্য পাকা করতে চেয়েছেন মমতা ৷ বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ এটাকেই মমতার হার স্বীকার হিসাবে ধরে নিচ্ছেন ৷ তাই ভবানীপুর মমতার গড় হলেও বিনা যুদ্ধে তাঁকে জমি ছাড়ার কথা ভাবতেও নারাজ গেরুয়াশিবির ৷ সেই কারণেই প্রচার চলছে পুরো দমে ৷ অন্যদিকে, মমতার লক্ষ্য, ভবানীপুর আসন থেকে তৃণমূলের পক্ষে জয়ের ব্যবধান আরও অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া ৷ কোন পক্ষের বাসনা পূরণ হবে, তার উত্তর দেবে সময় ৷ তবে লড়াই শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত ভবানীপুরই যে তৃণমূল ও বিজেপি-র পাখির চোখ, তা দিলীপ ঘোষের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট ৷