ETV Bharat / city

মমতা মাওবাদীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, প্রমাণ আছে : দিলীপ - Dilip Ghosh attacks TMC

মমতা ব্যানার্জি ও ওঁর নেতারা জঙ্গলমহলের প্রাক্তন মাওবাদীদের সঙ্গে বার বার বৈঠক করছেন ৷ তাঁদের আবার সক্রিয় করে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের প্রচেষ্টা করছেন ৷ মন্তব্য BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ৷

দিলীপ ঘোষ
author img

By

Published : Sep 2, 2019, 10:47 PM IST

Updated : Sep 2, 2019, 11:31 PM IST

কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর : BJP-র বিরুদ্ধে মাওবাদীদের কাজে লাগাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৷ আজ এভাবেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷

লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিতে দুই BJP কর্মীকে হত্যা করা হয় । ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক কর্মী ৷ হত্যাকারীদের ফাঁসি ও কর্মীদের খুনের CBI তদন্তের দাবিতে আজ থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করল BJP ৷ দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন BJP নেতা সায়ন্তন বসু ৷

সভামঞ্চ থেকে দিলীপবাবু বলেন, "পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকে তিনজন যুব-কর্মীকে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা । অনেকে বলছে তাতে মাওবাদীদের হাত আছে । আজ বিরোধীদের আটকানোর জন্য পুলিশ বা গুন্ডা দিয়ে হচ্ছে না । মাওবাদীদের থেকেও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে । আর BJP যখন জিতেছে, শক্তি সঞ্চয় করছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে এবং মন্ত্রীমণ্ডলের লোকেরা প্রাক্তন মাওবাদীদের একত্রিত করার জন্য জঙ্গলমহলে বারে বারে যাচ্ছেন । আমার কাছে খবর আছে । মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সমস্ত তথ্য দিয়ে দেব । তিনি নিজে গিয়ে মিটিং করেছেন ৷ কারণ গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের আটকাতে পারছেন না । তাই আবার হত্যার রাজনীতি, আবার মাওবাদী রাজনীতি শুরু করতে চাইছেন ।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে ৷ প্রমাণও রয়েছে ৷ মমতা ব্যানার্জি ও ওঁর নেতারা জঙ্গলমহলের প্রাক্তন মাওবাদীদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করছেন ৷ তাঁদের আবার সক্রিয় করে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের প্রচেষ্টা করছেন ৷"

দেখুন ভিডিয়ো...

অসমে NRC-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গেও NRC হবে বলে জানিয়ে রাখলেন দিলীপ ঘোষ । বলেন, "আগে অসমে হয়ে যাক ৷ তারপর বাংলারটা আমরা দেখব ৷" কিন্তু এরাজ্যে NRC-র প্রয়োজন কী ? দিলীপবাবু বলেন, "বাংলায় অনুপ্রবেশ বেশি হয়েছে ৷ এই অনুপ্রবেশকারীদের যতক্ষণ না চিহ্নিত করা হচ্ছে, বাংলার রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন কোনও কিছুই সুরক্ষিত নয় ৷"

ব্যারাকপুরের ঘটনা নিয়ে এরাজ্যকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন দিলীপবাবু ৷ বলেন, "একজন পুলিশ কমিশনার লাঠি ভাঙছেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে । পিস্তল চালাচ্ছেন খোলাখুলি । আইন-শৃঙ্খলা কোথায় গেছে? কাশ্মীরে আমাদের সেনাদের এরকমভাবে গুলি চালাতে হত না । আজ কাশ্মীরের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের । এখানে পার্টি করতে হলে একটাই পার্টি করতে হবে TMC ৷ অন্য কোনও পার্টি করলে বাঁচার অধিকার নেই । আপনাকে গুলি করে মারা হবে ৷ আপনাকে পিটিয়ে মারা হবে ৷ কেস দেওয়া হবে ৷ জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে ।" তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে । বাঙালির জীবনে এত অধঃপতন, এত দুর্নীতি জীবনে দেখিনি । আজ আমি একটা পুজো উদ্বোধন করতে গেছিলাম সল্টলেকে । ওখানকার প্রাক্তন মেয়র, MLA, পুজোর প্রেসিডেন্ট সব্যসাচীবাবু বলছেন যে, কাশ্মীর শান্ত হয়ে গেল । অথচ বাংলা এখনও শান্ত হল না । কাশ্মীরের থেকেও পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপ । এতদিন আমরা বলে এসেছিলাম । এখন ওঁর পার্টির লোকজন বলছেন । কাশ্মীরে বন্দুক-গুলি নেই । তাতে দিদির খুব কষ্ট হচ্ছে ৷ লোককে না কি ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখা হয়েছে । কিন্তু আপনি চোর, চিটিংবাজ, তোলাবাজ, কাটমানিখোরদের রাস্তায় ছেড়ে রেখেছেন । ভদ্রলোক রাস্তায় বের হতে পারছেন না । এই পশ্চিমবঙ্গ চাই না । লন্ডন, সিঙ্গাপুর, সুইৎজ়ারল্যান্ড বা গোয়া হল না, পুরো পশ্চিমবঙ্গ আজ কাশ্মীর হয়ে গেছে, পাকিস্তান হয়ে গেছে । উনি নাকি কথায় কথায় বলেন, আমরা বাইরের লোকদের নিয়ে এসেছি । কিন্তু বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী এলে, মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা এলে তারা কিন্তু ওঁর ভাই আর ভাইপো ! "

কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর : BJP-র বিরুদ্ধে মাওবাদীদের কাজে লাগাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৷ আজ এভাবেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷

লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিতে দুই BJP কর্মীকে হত্যা করা হয় । ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক কর্মী ৷ হত্যাকারীদের ফাঁসি ও কর্মীদের খুনের CBI তদন্তের দাবিতে আজ থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করল BJP ৷ দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন BJP নেতা সায়ন্তন বসু ৷

সভামঞ্চ থেকে দিলীপবাবু বলেন, "পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকে তিনজন যুব-কর্মীকে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা । অনেকে বলছে তাতে মাওবাদীদের হাত আছে । আজ বিরোধীদের আটকানোর জন্য পুলিশ বা গুন্ডা দিয়ে হচ্ছে না । মাওবাদীদের থেকেও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে । আর BJP যখন জিতেছে, শক্তি সঞ্চয় করছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে এবং মন্ত্রীমণ্ডলের লোকেরা প্রাক্তন মাওবাদীদের একত্রিত করার জন্য জঙ্গলমহলে বারে বারে যাচ্ছেন । আমার কাছে খবর আছে । মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সমস্ত তথ্য দিয়ে দেব । তিনি নিজে গিয়ে মিটিং করেছেন ৷ কারণ গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের আটকাতে পারছেন না । তাই আবার হত্যার রাজনীতি, আবার মাওবাদী রাজনীতি শুরু করতে চাইছেন ।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে ৷ প্রমাণও রয়েছে ৷ মমতা ব্যানার্জি ও ওঁর নেতারা জঙ্গলমহলের প্রাক্তন মাওবাদীদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করছেন ৷ তাঁদের আবার সক্রিয় করে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের প্রচেষ্টা করছেন ৷"

দেখুন ভিডিয়ো...

অসমে NRC-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গেও NRC হবে বলে জানিয়ে রাখলেন দিলীপ ঘোষ । বলেন, "আগে অসমে হয়ে যাক ৷ তারপর বাংলারটা আমরা দেখব ৷" কিন্তু এরাজ্যে NRC-র প্রয়োজন কী ? দিলীপবাবু বলেন, "বাংলায় অনুপ্রবেশ বেশি হয়েছে ৷ এই অনুপ্রবেশকারীদের যতক্ষণ না চিহ্নিত করা হচ্ছে, বাংলার রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন কোনও কিছুই সুরক্ষিত নয় ৷"

ব্যারাকপুরের ঘটনা নিয়ে এরাজ্যকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন দিলীপবাবু ৷ বলেন, "একজন পুলিশ কমিশনার লাঠি ভাঙছেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে । পিস্তল চালাচ্ছেন খোলাখুলি । আইন-শৃঙ্খলা কোথায় গেছে? কাশ্মীরে আমাদের সেনাদের এরকমভাবে গুলি চালাতে হত না । আজ কাশ্মীরের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের । এখানে পার্টি করতে হলে একটাই পার্টি করতে হবে TMC ৷ অন্য কোনও পার্টি করলে বাঁচার অধিকার নেই । আপনাকে গুলি করে মারা হবে ৷ আপনাকে পিটিয়ে মারা হবে ৷ কেস দেওয়া হবে ৷ জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে ।" তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে । বাঙালির জীবনে এত অধঃপতন, এত দুর্নীতি জীবনে দেখিনি । আজ আমি একটা পুজো উদ্বোধন করতে গেছিলাম সল্টলেকে । ওখানকার প্রাক্তন মেয়র, MLA, পুজোর প্রেসিডেন্ট সব্যসাচীবাবু বলছেন যে, কাশ্মীর শান্ত হয়ে গেল । অথচ বাংলা এখনও শান্ত হল না । কাশ্মীরের থেকেও পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপ । এতদিন আমরা বলে এসেছিলাম । এখন ওঁর পার্টির লোকজন বলছেন । কাশ্মীরে বন্দুক-গুলি নেই । তাতে দিদির খুব কষ্ট হচ্ছে ৷ লোককে না কি ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখা হয়েছে । কিন্তু আপনি চোর, চিটিংবাজ, তোলাবাজ, কাটমানিখোরদের রাস্তায় ছেড়ে রেখেছেন । ভদ্রলোক রাস্তায় বের হতে পারছেন না । এই পশ্চিমবঙ্গ চাই না । লন্ডন, সিঙ্গাপুর, সুইৎজ়ারল্যান্ড বা গোয়া হল না, পুরো পশ্চিমবঙ্গ আজ কাশ্মীর হয়ে গেছে, পাকিস্তান হয়ে গেছে । উনি নাকি কথায় কথায় বলেন, আমরা বাইরের লোকদের নিয়ে এসেছি । কিন্তু বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী এলে, মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা এলে তারা কিন্তু ওঁর ভাই আর ভাইপো ! "

Intro:কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: মাওবাদীদের সক্রিয় করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নেতারা জঙ্গলমহলে গিয়ে প্রাক্তণ মাওবাদীদের সঙ্গে বার বার বৈঠক করছেন। মুখ‍্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁদের কাছে এই সংক্রান্ত তথ‍্যপ্রমাণও রয়েছে বলে দাবি তাঁর। মাওবাদীদের আবার সক্রিয় করে তাঁদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন‍্যই মুখ‍্যমন্ত্রী এটা করছেন বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।



Body:লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিতে বিজেপির দুই কর্মীকে হত‍্যা করা হয়। আর এক কর্মী নিখোঁজ। দেবদাস মণ্ডল নামের ওই বিজেপি কর্মীকেও হত‍্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। কর্মীদের হত‍্যাকারীর ফাঁসি ও কর্মীদের খুনের CBI তদন্তের দাবিতে আজ থেকে শ‍্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে তিনদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করল বিজেপি। এই অবস্থান বিক্ষোভে আসেন বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু সহ আরও অনেক বিজেপি নেতা। উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালিতে মৃত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের লোকজনেররাও।

তিনদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আজকে আমরা বাধ্য হয়েই পাঁচ মাথার মোড় আটকে বসতে বাধ্য হয়েছি। কারণ একটাই, সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যেভাবে খুন হত্যার রাজনীতি চলছে, রক্তের নদী বয়ে যাচ্ছে, এই হিংসার, অত্যাচারের রাজনীতির বিরোধিতা করার জন্য আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এই হিংসার রাজনীতি বন্ধ হচ্ছে না। আমরা একবারের জন‍্যেও শুনলাম না মুখ্যমন্ত্রী অ্যাপিল করেছেন, এই হিংসার রাজনীতি বন্ধ হোক। আমরা ইলেকশনের আগে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শুনেছি, উনি নাকি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবেন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী এই ভাষা বলেন সেখানে শান্তির আশা করা বিড়ম্বনা, মূর্খামি সাড়া পশ্চিমবাংলায় গত বছরের এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত আমাদেরই প্রায় 65 জন কর্মীকে হত‍্যা করা হয়েছে।"

এই হিংসার রাজনীতি ও তাতে মাওবাদীদের হাত থাকার প্রসঙ্গেই প্রথমে মঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, "পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকে তিনজন যুবক কর্মীকে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা। অনেকে বলছে তাতে মাওবাদীদের হাত আছে। আজকে বিরোধীদের আটকানোর জন্য পুলিশ গুন্ডা দিয়ে হচ্ছে না। মাওবাদীদের থেকেও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। আর বিজেপি যখন জিতেছে, শক্তি সঞ্চয় করছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে এবং মন্ত্রীমণ্ডলের লোকেরা প্রাক্তন নকশালদের একত্রিত করার জন্য জঙ্গলমহলে বারে বারে যাচ্ছেন। আমার কাছে খবর আছে। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সমস্ত তথ্য দিয়ে দেব। তিনি নিজে গিয়ে মিটিং করেছেন কারণ, গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের আটকাতে পারছেন না। তাই আবার হত্যার রাজনীতি, আবার নকশাল রাজনীতি, মাওবাদী রাজনীতি শুরু করতে চাইছেন। অস্ত্রশস্ত্র হত্যাকারীদের সম্মিলিত করার চেষ্টা হচ্ছে।"

পরে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের কাছে ইনফরমেশন ও প্রমাণ রয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নেতারা জঙ্গলমহলে যে প্রাক্তন মাওবাদী রয়েছেন তাদের সঙ্গে বার বার বৈঠক করছেন। ওদের আবার সক্রিয় করে আমাদের বিরুদ্ধে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এই সব খবর আমাদের কাছে আছে।"

মুখ‍্যমন্ত্রীর এই হিংসার রাজনীতির উদাহরণ হিসেবে দিলীপ ঘোষ বনগার MLA বিশ্বজিৎ দাসের উপর আক্রমণ ও গতকাল বারাকপুরের লোকসভা সাংসদ অর্জুন সিংয়ের উপর আক্রমণের ঘটনা তুলে ধরেন। তাঁরা বিজেপি করেন এই দোষেই আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, "নির্বাচনের দিন থেকে, তার আগে থেকে বার বার আক্রমণ করা হচ্ছে। প্রাণঘাতী আক্রমণ হচ্ছে তাঁর উপরে। বাড়িতে বোম মারা হচ্ছে। গুণ্ডা, পুলিশ সব মিলিতভাবে তাঁকে আক্রমণ করছে। একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। আজকে 70 জনকে ওখান থেকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে 15 জন মহিলা।"

পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কাশ্মীরের থেকেও খারাপ:-

ব্যারাকপুরের ঘটনা প্রসঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "একজন পুলিশ কমিশনার লাঠি ভাঙছেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। পিস্তল চালাচ্ছেন খোলাখুলি। আইন-শৃঙ্খলা কোথায় গেছে? কাশ্মীরে আমাদের সেনাদের এরকমভাবে গুলি চালাতে হতো না। পিস্তল ফোটাতে হতো না। আজ তাঁর থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের হয়ে গেছে। এখানে পার্টি করতে হলে একটাই পার্টি করতে হবে TMC। অন‍্য কোনও পার্টি করলে বাঁচার অধিকার নেই। আপনাকে গুলি করে মারা হবে, আপনাকে পিটিয়ে মারা হবে, কেস দেওয়া হবে, জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।"

এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ব‍্যবস্থা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে। বাঙালির জীবনে এতো অধঃপতন, এতো দুর্নীতি জীবনে দেখিনি। আজকে আমি একটা পুজো উদ্বোধন করতে গেছিলাম সল্টলেকে। ওখানকার প্রাক্তন মেয়র, MLA, পুজোর প্রেসিডেন্ট সব্যসাচী বাবু বলছেন যে, কাশ্মীর শান্ত হয়ে গেল। দু-তিন মাস ধরে কোন গালিগালা নেই। সেখানে একটা খুন হচ্ছে না। অথচ, পশ্চিমবাংলা এখনো শান্ত হলো না। কাশ্মীরের থেকেও পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপ। এতোদিন আমরা এটা বলে এসেছিলাম। এখন ওনার পার্টির লোকরা বলছেন। কাশ্মীরে বন্দুক-গুলি নেই। তাতে দিদির খুব কষ্ট হচ্ছে, লোককে নাকি ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু, আপনি চোর, চিটিংবাজ, তোলাবাজ, কাটমানি খোরদের রাস্তায় ছেড়ে রেখেছেন। ভদ্রলোক রাস্তায় বের হতে পারছে না। এই পশ্চিমবঙ্গ চাই না। লন্ডল, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড বা গোয়া হল না, পুরো পশ্চিমবাংলা আজকে কাশ্মীর হয়ে গেছে, পাকিস্তান হয়ে গেছে। উনি নাকি কথায় কথায় বলেন, আমরা বাইরের লোকদের নিয়ে এসেছি। এখানে বাংলা কথা যাঁরা বলেন না তাঁরা সবাই বাইরের লোক। কিন্তু, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী এলে, মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা আসে তারা কিন্তু ওনার ভাই আর ভাইপো। দিদিমনির এই যে মস্তিষ্ক বিকৃতির উদাহরণ আমরা দেখছি ধীরে ধীরে আমি জানি না তাঁর হাতে বাংলা থাকলে আমাদের কপালে কী আছে। ভারতের মধ্যে ছোট ছোট পাকিস্তান আছে। এটা আমি বলছি না। আমাদের মেয়র ববি হাকিম বলেছেন, মেটিয়াব্রুজটা নাকি মিনি পাকিস্তান। তাই ওখানে যাওয়া যাবে না। এইচএ ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, আর পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ছোট ছোট পাকিস্তান, এট চলতে পারে না।"

NRC ইশুতে দিলীপ ঘোষ:-

পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আগে অসমের হোক। তারপর পশ্চিমবঙ্গের দেখব। বাংলায় সব থেকে বেশি অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের যতক্ষণ না আলাদা হবে, চিহ্নিত হবে বাংলার প্রশাসন, রাজনীতি, অর্থনীতি কিছুই সুরক্ষিত নয়। এর জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতা করার জন্য প্রস্তুত।"


Conclusion:
Last Updated : Sep 2, 2019, 11:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.