কলকাতা, 9 মার্চ: মহিলাদের মাদক খাইয়ে প্রতিবাদের মুখ বানানো হচ্ছে ৷ রবিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই মন্তব্যই করলেন BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন অনেকেই । দিলীপ ঘোষকে বয়কটের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম ৷
রবীন্দ্রভারতীতে প্রাক-দোলে অশ্লীলতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এই রাজ্যের সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ৷ নারীরা রাজ্যের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে ৷ মাদক ব্যবহার করে তাদের প্রতিবাদের মুখ করে তোলা হচ্ছে ৷ তারা সারাদিন চিৎকার করে চলেছে শুধু ৷ কী ধরনের বাংলা এটা ৷’’
এখানেই শেষ নয় । তিনি আরও বলেন, ‘‘মহিলারা যদি এরকম ব্যবহার করে, তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের সঙ্গে কীরকম ব্যবহার করবে? তারা জুলুমের শিকার হয়ে উঠবে ৷’’ তবে সংস্কৃতির অবক্ষয়ের ঘটনায় তিনি নির্দিষ্ট করে কাউকে দোষারোপ করতে চাননি । বলেন, ‘‘এটি কারও একার কাজ নয়, মিলিত ঘটনা ৷ সবাইকে একত্রিত হয়ে এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে ৷’’
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আগে এটা জানা দরকার যে তিনি নিজে মাদকের নেশায় রয়েছেন কি না ৷ একজন অসভ্য ও বর্বর মানুষ তিনি ৷ BJP এরকম একজনকে তাদের রাজ্য সভাপতির পদে বসিয়েছে ৷ বাংলার মানুষের উচিত তাকে বয়কট করা ৷’’
সাংবাদিক বৈঠক শেষে সাফাই দিতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘যাদবপুর বা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অপসংস্কৃতি নিয়ে এসেছে, তারা অধিকাংশই ড্রাগিস্ট, এই তথ্য প্রমাণিত ৷ তৃণমূল ও কমিউনিস্ট পার্টির মতো দল প্রতিবাদের নামে অপসংস্কৃতির প্রচারে সাহায্য করছে ৷’’
বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ এই অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের পিঠে ও বুকে অশ্লীল শব্দ লেখা ছবি ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায় ৷ পরে জানা যায়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, হুগলির একটি কলেজের পড়ুয়া ৷