কলকাতা, 4 জুলাই: দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদার(Tarun Majumdar)। তাঁর ইচ্ছেমতোই সম্পূর্ণ হল শেষকৃত্য । বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয় । তবে মৃত্যুর পরেও রেখে গেলেন এক অনন্য অবদান । তাঁর শেষকৃত্য মুছে দিল রাজনৈতিক ভেদাভেদ । শেষবারের মতো বর্ষীয়ান পরিচালককে দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হলেন বিজেপি থেকে শুরু করে তৃণমূল ও বাম নেতারা ।
এসএসকেএম-এ(SSKM) তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । হাসপাতালে তখন ছিলেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় । এসএসকেএম এনাটমি বিভাগের সামনে তৈরি হল এক অনন্য ছবি । কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে দেখা মিলল সৌজন্যমূলক ব্যবহার । তাঁর শরীর কেমন আছে সেই বিষয়েও খোঁজ নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি । প্রণাম জানিয়ে বার্তা বিনিময় করলেন দু'জন ।
এছাড়াও এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে প্রিয় বন্ধু তরুণ মজুমদারকে শেষবারের মতো দেখতে এসেছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও শতরূপ ঘোষ । উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন । বর্ষীয়ান পরিচালককে দেখতে হাসপাতালে ছিলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষও। ছিলেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায় ও শ্যামল চক্রবর্তীর কন্যা উষসী(Different Political leaders seen at funeral of Tarun Majumdar)।
আরও পড়ুন: বাংলার সমাজজীবনের বড় ক্ষতি হল, তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে মন্তব্য সুজনের
সোমবার সকল রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে দেখা গেল এক সৌজন্যমূলক ব্যবহার । কোন রাজনীতি নয়, তাঁদের মধ্যে দেখা গেল বন্ধুত্বের চিত্র । তরুণ মজুমদার নিজে ছিলেন একজন বামপন্থী । হাসপাতালে শুয়েও তিনি জানিয়েছিলেন, ছবি কিন্তু হবেই । শেষে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়র উপর ডকুমেন্ট্রি করার ইচ্ছা ছিল বর্ষীয়ান পরিচালকের । তবে ইচ্ছা থাকলেও সায় দিল না তাঁর বয়স ও শরীর । তাই সেই ভাবনা আর বাস্তবায়িত করা হল না । প্রিয় বন্ধুকে শেষবারের মতো দেখতে এসে কোনও কথা বলতে পারলেন না বর্ষীয়ান বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় । কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখ ভরে গেল জলে ।