কলকাতা, 4 অগস্ট: রোজই তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে ৷ এ বার এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নাকতলার বাড়ি এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Partha Arpita) বেলঘড়িয়া ও টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক নথিপত্র উদ্ধার করেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা । এ বার সেই উদ্ধার হওয়া নথিপত্রের মাধ্যমে ইডি গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন দক্ষিণ কলকাতার একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার নাম ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, প্রয়োজন হলে ওই সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হবে । ইডি গোয়েন্দাদের অনুমান, কালো টাকা সাদা করতেই এই সংস্থায় বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । যদিও পার্থর সঙ্গে কথা বলে গোয়েন্দারা এই লগ্নি সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ কিছু জানতে পারেননি ।
আরও পড়ুন: পণ্ডিতিয়া রোডের আবাসনের মালিক কি অর্পিতা ? তথ্য পেতে পুলিশের দুয়ারে ইডি
ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক কাগজপত্র উদ্ধার করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা । তাঁদের অনুমান, এসএসসি দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই একাধিক সংস্থায় লগ্নি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । সেই সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা । খুব শিগগিরই দক্ষিণ কলকাতার ওই রিয়েল এস্টেট সংস্থার কর্ণধারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা ।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সরোবর থানায় যান ইডি (ED)-এর প্রতিনিধিরা ৷ জানতে চান, এই আবাসনের সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) কাণ্ডে ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) কী সম্পর্ক রয়েছে ৷ ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ইডি-এর প্রতিনিধিরা দীর্ঘক্ষণ রবীন্দ্র সরোবর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁরা জানতে চান, স্থানীয় থানার কাছে আদৌ এই আবাসনের মালিকানা সংক্রান্ত কোনও তথ্য রয়েছে কি না ৷ গত সোমবার ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনে হাজির হয়েছিলেন ইডি-এর গোয়েন্দারা ৷ তাঁদের কাছে খবর ছিল, এই আবাসনটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৷