ETV Bharat / city

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে কড়া পদক্ষেপ, বৈঠকে বার্তা সুদীপ জৈনের - Deputy Election Commissioner meeting in stages

প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন । বৈঠকে চলতি মাসের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অসমাপ্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সংগঠিত করতে সবরকম পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন । প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কর্তব্যে ন্যূনতম গাফিলতি হলে রেয়াত করা হবে না ।

A
AAA
author img

By

Published : Jan 14, 2021, 12:57 PM IST

কলকাতা, 14 জানুয়ারি : সামনে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন । তবে সবার নজর পশ্চিমবঙ্গে । জাতীয় নির্বাচনও যে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বাড়তি নজর দিচ্ছে তা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের দ্বিতীয় সফরে পরিষ্কার ।

প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন চলতি মাসের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অসমাপ্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন । অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সংগঠিত করতে সবরকম পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন । প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কর্তব্যে ন্যূনতম গাফিলতি হলে রেয়াত করা হবে না ।

প্রশাসনিক মহলের মতে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বা ভোট পরিচালনায় যুক্ত কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কমিশন আগে তাঁকে শোকজ় করত । যথাযথ উত্তর না পেলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিত করত কমিশন । কিন্তু এবাররের নির্বাচনের আগে প্রত্যেকের উপরে নজর এতটাই জোরালো যে, ন্যূনতম গাফিলতি হলে কমিশন সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিসারকে শাস্তি দিতে পারে বলে একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছেন সুদীপ জৈন ।

নির্বাাচন কমিশন সূত্রে খবর, জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন জৈন । নির্দেশ দেন, দু’-এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই সব পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি । অতি স্পর্শকাতর, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন সুদীপ জৈন । 2016 এবং 2019 সালের নির্বাচনের হিংসার তথ্য তুলে ধরে হিংসায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন ।

আরও পড়ুন ট্রায়াল শেষের আগেই শুরু কোভিশিল্ডের কমার্শিয়াল ম‍্যানুফ‍্যাকচারিং ? প্রশ্ন সরকারি চিকিৎসকদের

পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের জৈন কড়া বার্তা দিয়েছেন । বলেছেন, নির্বাচনে হিংসা নিয়ন্ত্রণের কাজে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না । হিংসা রুখে অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে প্রয়োজনে কমিশন কড়া পদক্ষেপ করবে । প্রতি সপ্তাহে অপরাধ এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তালিকা তৈরির উপরে জোর দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের দিক থেকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিকেও চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে ।

আরও পড়ুন দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে ইমপিচ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন সংগঠিত করতে চাইছে কমিশন । কোভিড আবহে কমিশনের সিদ্ধান্ত, এ বার ভোটকেন্দ্রে সর্বাধিক 1050 জন ভোটার থাকবেন । রাজ্যে বুথ রয়েছে 78 হাজারের কিছু বেশি । প্রশাসনিক সূত্রের ধারণা, নতুন বিধিতে কমবেশি 29 হাজার বুথ বাড়বে । সেই অনুযায়ী বাড়বে ভোটকর্মী, নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও ।

আরও পড়ুন গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানে কোরোনামুক্তির প্রার্থনা

কোরোনা পরিস্থিতিতে ভোটাররা যাতে সরকারি নিয়ম ও বিধি মেনে চলেন , তার উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে । প্রয়োজনে জেলাশাসকদের সশরীরে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে । নির্বাচনের কাজে যুক্ত কোনও কর্মী-অফিসারদের গাফিলতির অভিযোগ উঠলে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন জৈন ।

কলকাতা, 14 জানুয়ারি : সামনে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন । তবে সবার নজর পশ্চিমবঙ্গে । জাতীয় নির্বাচনও যে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বাড়তি নজর দিচ্ছে তা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের দ্বিতীয় সফরে পরিষ্কার ।

প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন চলতি মাসের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অসমাপ্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন । অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সংগঠিত করতে সবরকম পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন । প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কর্তব্যে ন্যূনতম গাফিলতি হলে রেয়াত করা হবে না ।

প্রশাসনিক মহলের মতে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বা ভোট পরিচালনায় যুক্ত কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কমিশন আগে তাঁকে শোকজ় করত । যথাযথ উত্তর না পেলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিত করত কমিশন । কিন্তু এবাররের নির্বাচনের আগে প্রত্যেকের উপরে নজর এতটাই জোরালো যে, ন্যূনতম গাফিলতি হলে কমিশন সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিসারকে শাস্তি দিতে পারে বলে একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছেন সুদীপ জৈন ।

নির্বাাচন কমিশন সূত্রে খবর, জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন জৈন । নির্দেশ দেন, দু’-এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই সব পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি । অতি স্পর্শকাতর, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন সুদীপ জৈন । 2016 এবং 2019 সালের নির্বাচনের হিংসার তথ্য তুলে ধরে হিংসায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন ।

আরও পড়ুন ট্রায়াল শেষের আগেই শুরু কোভিশিল্ডের কমার্শিয়াল ম‍্যানুফ‍্যাকচারিং ? প্রশ্ন সরকারি চিকিৎসকদের

পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের জৈন কড়া বার্তা দিয়েছেন । বলেছেন, নির্বাচনে হিংসা নিয়ন্ত্রণের কাজে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না । হিংসা রুখে অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে প্রয়োজনে কমিশন কড়া পদক্ষেপ করবে । প্রতি সপ্তাহে অপরাধ এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তালিকা তৈরির উপরে জোর দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের দিক থেকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিকেও চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে ।

আরও পড়ুন দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে ইমপিচ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন সংগঠিত করতে চাইছে কমিশন । কোভিড আবহে কমিশনের সিদ্ধান্ত, এ বার ভোটকেন্দ্রে সর্বাধিক 1050 জন ভোটার থাকবেন । রাজ্যে বুথ রয়েছে 78 হাজারের কিছু বেশি । প্রশাসনিক সূত্রের ধারণা, নতুন বিধিতে কমবেশি 29 হাজার বুথ বাড়বে । সেই অনুযায়ী বাড়বে ভোটকর্মী, নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও ।

আরও পড়ুন গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানে কোরোনামুক্তির প্রার্থনা

কোরোনা পরিস্থিতিতে ভোটাররা যাতে সরকারি নিয়ম ও বিধি মেনে চলেন , তার উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে । প্রয়োজনে জেলাশাসকদের সশরীরে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে । নির্বাচনের কাজে যুক্ত কোনও কর্মী-অফিসারদের গাফিলতির অভিযোগ উঠলে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন জৈন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.